ঢাকা, ০২ জানুয়ারি- আমাদের চলচ্চিত্রের ইতিহাস পড়লে দেখা যায়, এক সময় স্থানীয় সিনেমা হলগুলোতে কলকাতা অথবা লাহোরের চলচ্চিত্র প্রদর্শিত হতো। সে সময় মুখ ও মুখোশ নির্মাণ করা হয়। সিনেমাটি দারুণ সাড়া ফেলে! তখনও পূর্ব পাকিস্তানে নিজস্ব কোনো চলচ্চিত্র শিল্প গড়ে ওঠেনি। এরপর বাংলাদেশের নির্মাতারা চলচ্চিত্র নির্মাণে আগ্রহী হয়ে ওঠেন। সে সময় একের পর এক জনপ্রিয় সিনেমা মোহিত করেছে দর্শককে। তারই ধারাবাহিকতায় আমাদের সিনেমার সাফল্য দেশের গণ্ডি পেরিয়ে দেশের বাইরেও সুনাম অর্জন করে। তখন নিয়মিত শুটিং হতো। এমনকি ফ্লোর নিয়ে কাড়াকাড়ি লেগে যেত। আমাদের এই বিএফডিসিতে থাকতো উৎসবমুখর পরিবেশ। এখন দেশ অনেক এগিয়েছে। আমরা এনালগ থেকে ডিজিটাল হয়েছি। বিএফডিসিকে সরকার আধুনিক করে গড়ে তুলছে। তাহলে এখন কেন আমরা অতীতের সেই সোনালী অধ্যায়ে ফিরে যেতে পারবো না। সেই সোনালী যুগটাকে আবার দেখতে চাই। রূপালি পর্দায় সেই সোনালী যুগটা দেখতে চাই। যে সিনেমা আমাদের ঐতিহ্য বহন করে, যে সিনেমা নিজস্ব সংস্কৃতির কথা বলে এ ধরনের সিনেমা দেখতে চাই। এখন আমাদের চলচ্চিত্রে ভালো কাজ হচ্ছে। আশা করছি, সামনে আরো ভালো কাজ হবে। ২০১৭ সালের শেষ দিকে দর্শক আমার কাঁধে ভালোবাসার দায়িত্ব তুলে দিয়েছেন। এই সম্মান রাখতে চাই। তাদের ভালোবাসা একটুকু নষ্ট করতে চাই না। ভালো কাজ দিয়ে এই ভালোবাসার প্রতিদা্ন দিতে চাই। আমি চাই অতীতের চেয়েও বেটার কিছু দিতে। যে কারণে এখন থেকে ভালো কাজ না পেলে একদমই করবো না। প্রয়োজনে ঘরে বসে থাকবো। তারপরও দর্শকদের ভালোটাই দিতে চাই। তিন বছর আমি চলচ্চিত্রের সঙ্গে জড়িত। এটা একদম কম সময় নয়। আবার বেশি সময়ও বলা যায় না। তিন বছরে দর্শক আমাকে বুঝিয়ে দিয়েছে তারা আমাকে কীভাবে দেখতে চায়। আমি সেভাবেই দর্শকের সামনে ২০১৮ সালে হাজির হবো। আমার দায়িত্ববোধের জায়গা থেকেই প্রোডাকশন হাউস খুলেছি। কারণ আমরা শিল্পীরা পরিচালকের উপর ভরসা করি। পরিচালকই ভালো সিনেমা নির্মাণ করতে পারেন। আর পরিচালক ভরসা করেন প্রযোজকের উপর। কিন্তু দেখা যায় অনেক সময় পরিচালক তার চাহিদা অনুযায়ী কাজ করতে পারেন না। প্রযোজকের পক্ষ থেকে একটা বাধ্যবাধকতা থাকে। যেহেতু এর পিছনে অর্থনৈতিক কিছু বিষয় থাকে ফলে বাধ্য হয়ে পরিচালককে অল্টারনেটিভ কিছু করতে হয়। এই বিষয়গুলো খুব কাছ থেকে দেখেছি। শিল্পী হিসেবে চাই একজন পরিচালক একটা গল্প যেভাবে ভিতরে লালন করেন সেভাবেই যেন তিনি সিনেমা নির্মাণ করতে পারেন। সেই লক্ষেই প্রযোজনা হাউস করেছি। আরও পড়ুন:যদি একদিন সিনেমার নায়ক তাহসান ২০১৭ সালে আমি একটা জায়গায় অটল ছিলাম। সেটা হচ্ছে-একটা সিনেমার কাজ শেষ না হওয়া পর্যন্ত নতুন সিনেমার কাজ শুরু করবো না। একই সঙ্গে অনেকগুলো কাজ করলে বিভিন্ন সমস্যা হয়। বিশেষ করে শুটিং সিডিউল, চরিত্র অনুযায়ী লুক ঠিক না থাকা। এছাড়া্ গল্পের মধ্যে থেকে বের হয়ে যেতে হয়। এতে চরিত্রায়ণ ঠিকঠাক হয় না। নতুন বছরেও তাই হবে- একটি সিনেমার শুটিং শেষ করে নতুন সিনেমায় হাত দেব। আর সমস্যাটা শুধু শিল্পীর নয়। এটা প্রডাকশন হাউসেরও সমস্যা। যে কারণে এই সিদ্ধান্ত। ২০১৭ সালে আমাদের চলচ্চিত্রে কিছু অপ্রিতীকর ঘটনা ঘটেছে। আমি ধরেই নিচ্ছি যা কিছু ঘটেছে এগুলো ভালোর জন্যই ঘটেছে। এর মধ্য দিয়ে আমরা শিখবো, ইন্ডাস্ট্রি শিখবে। চলার পথে অনেক সমস্যা থাকবেই- এটা মেনে নিয়েই সামনে পথ চলতে হবে। অনুলিখন : রাহাত সাইফুল এমএ/১১:১০/০২ জানুয়ারি
from First Bangla interactive newspaper - Deshe Bideshe http://ift.tt/2EA8hUW
January 02, 2018 at 05:23PM
এতে সদস্যতা:
মন্তব্যগুলি পোস্ট করুন (Atom)
0 মন্তব্য(গুলি):
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন