বাংলাদেশের এক অনন্য কিংবদন্তী ক্রিকেটার মাশরাফি বিন মর্তুজা এটা যেমন বাংলাদেশের কোটি বাঙালি জানে, সেই সঙ্গে জেনে গেছে পুরো বিশ্ব। তাই তো ক্রিকেটভক্তদের মনে জায়গা করে নিয়েছে ওয়ানডে অধিনায়ক মাশরাফি। সম্প্রতি বাংলাদেশ দলের ওয়ানডে অধিনায়ক মাশরাফি প্রশংসায় ভাসিয়েছে ভারতীয় গণমাধ্যম এবেলা। এবার মাশরাফির প্রশংসায় যা লিখলো তা পাঠকদের উদ্দেশ্যে তুলে ধরা হল: বাংলাদেশের ক্রিকেটে মাশরাফি বিন মর্তুজা এক জীবন্ত কিংবদন্তি। স্বপ্নের সওদাগড় তিনি। ভাঙ্গা হাঁটু নিয়ে বাংলাদেশকে যেভাবে তিনি টেনে চলেছেন, তা সত্যিই বিস্ময়কর। ৭ বার হাঁটুতে অস্ত্রোপচারের পরেও কোনো পেসার যে দিব্যি খেলে যেতে পারেন, তা মাশরাফিকে না দেখলে বোঝার উপায় নেই। ক্রিকেটার মাশরাফিকে অনেক আগেই ছাপিয়ে গিয়েছেন মানবিক মাশরাফি। এবার এক জন মাঠকর্মীকে শ্রদ্ধা জানিয়ে ফের খবরের শিরোনামে বাংলাদেশের ওয়ানডে অধিনায়ক। মাশরাফি ও বর্ষীয়ান মাঠকর্মী মতিন ২০০৬ সালের ৮ ডিসেম্বর যাত্রা শুরু করে মিরপুরের শের ই-বাংলা স্টেডিয়াম। বুধবার (১৭ জানুয়ারি) এই মাঠেই অনুষ্ঠিত হয়েছে ১০০তম ওয়ানডে ম্যাচটি। কিন্তু, এই ঐতিহাসিক ম্যাচে নেই বাংলাদেশ। বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড চাইলেই এই ম্যাচে বাংলাদেশকে রাখতে পারত। কেন রাখা হয়নি বাংলাদেশকে? ক্রীড়াসূচি তৈরির সময়ে বিসিবি-কর্তাদের মাথাতেই আসেনি ১০০তম ওয়ানডে ম্যাচটি হবে শের-ই-বাংলা স্টেডিয়ামে। এই ভুলের প্রায়শ্চিত্ত করার একটা উদ্যোগ নিয়েছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড। মিরপুরের শের ই-বাংলা স্টেডিয়ামের ১০০তম ওয়ানডে ম্যাচকে বিসিবি কর্মকর্তারা স্মরণীয় করে রেখেছেন মাঠকর্মীদের সম্মান জানিয়ে। শততম ওয়ানডের আয়োজন উপলক্ষে ৪৬ জন কর্মীকে স্মারক জ্যাকেট উপহার দিয়েছে বিসিবি। সেই জ্যাকেটের গায়ে লেখা, শের-ই-বাংলা স্টেডিয়ামের ১০০তম ওয়ানডে। মাশরাফির পোস্ট বুধবার (১৭ জানুয়ারি) মিরপুরের শের-ই-বাংলা স্টেডিয়ামে শ্রীলঙ্কা-জিম্বাবুয়ে খেলে ফেলেছে এই মাঠের শততম ম্যাচটি। শ্রীলঙ্কা-জিম্বাবুয়ে ম্যাচের টসের সময়ে আলাদা করে নজর কেড়েছে শের-ই-বাংলার বর্ষীয়ান মাঠকর্মী আবদুল মতিনের উপস্থিতি। ধারাভাষ্যকার অ্যালিস্টার ক্যাম্পবেল তাকে ডেকে নেন। ১০০তম ম্যাচে তার প্রতি বিশেষ শ্রদ্ধা জানানোর জন্যই ডাকা হয়েছিল মতিনকে। ৩৬ বছর ধরে মতিন মাঠকর্মী হিসেবে কাজ করে চলেছেন। এই মানুষটার প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে ভোলেননি স্বয়ং মাশরাফিও। নিজের ফেসবুক পেজে মতিনের সঙ্গে ছবি দিয়ে মাশরাফি লিখেছেন, তামিম, সাকিব আরো অনেকের ১০০ পেরিয়ে আজ মতি ভাইয়ের ১০০ নট আউট যেন বেশি আনন্দের। অভিনন্দন মতি ভাই। ২০০-এর অপেক্ষায় আছে শের-ই-বাংলা। শুধু ফেসবুকে লিখেই মতিনকে শ্রদ্ধা জানাননি মাশরাফি। বুধবার (১৭ জানুয়ারি) অনুশীলন শেষে মতিনের সঙ্গে তিনি দেখাও করেন। সবার কাছ থেকে সম্মান পাওয়ায় মতিন বেশ হকচকিয়ে গিয়েছেন। তিনি যা আশা করেছিলেন, তার চেয়েও বেশি কিছু পেয়েছেন। এমনটাই এখন তার অনুভূতি। তাই মতিন বলেছেন, আমার এ রকম অভিজ্ঞতা আগে হয়নি। টস করার সময়ে আমাকে ডেকে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। সবাই এগিযে এসে আমাকে শুভেচ্ছা জানাচ্ছেন। খুব ভাল লাগছে। আজ ১০০ তম ওয়ানডে হচ্ছে। আশা করি, একদিন এখানে ৫০০ তম ওয়ানডেও হবে। তথ্যসূত্র: বিডি২৪লাইভ এআর/১৫:৪৫/১৮ জানুয়ারি
from First Bangla interactive newspaper - Deshe Bideshe http://ift.tt/2mJUZ02
January 18, 2018 at 09:44PM
এতে সদস্যতা:
মন্তব্যগুলি পোস্ট করুন (Atom)
0 মন্তব্য(গুলি):
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন