রাজধানীর মিরপুর শেরে বাংলা ন্যাশনাল স্টেডিয়ামে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ত্রিদেশীয় সিরিজের পঞ্চম ম্যাচে বাংলাদেশের সামনে অনেকগুলো মাইলফলক গড়ার সুযোগ ছিলো। দারুণ এক জয়ে সবগুলো রেকর্ডই করেছে টাইগাররা। তার মধ্যে দুটি রেকর্ড তামিমের, একটি বাংলাদেশ ওয়ানডে দলের অধিনায়ক মাশরাফি বিন মর্তুজার এবং একটি দলীয় অর্জন। মঙ্গলবার টসে জিতে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নেওয়া টাইগার বাহিনী নির্ধারিত ৫০ ওভারে ৯ উইকেট হারিয়ে ২১৭ রানের লক্ষ্য দেয় জিম্বাবুয়েকে। দলের পক্ষে তামিম সর্বোচ্চ ৭৬ রান করেন। এই ৭৬ রানের সুবাদে তামিম বাংলাদেশের প্রথম কোন খেলোয়াড় হিসেবে ছয় হাজার রানের মাইলফলক স্পর্শ করেন।এখন তার মোট রান ছয় হাজার ১০। এছাড়া বাঁহাতি এই ওপেনার কোন একটি নির্দিষ্ট স্টেডিয়ামে সর্বোচ্চ রান করার গৌরব অর্জন করেন। ভেঙেছেন বোলারদের ত্রাস সনাৎ জয়সুরিয়ার রেকর্ডও। জয়সুরিয়া শ্রীলংকার প্রেমাদাসা স্টেডিয়াসে ৭১ ম্যাচে ৪ সেঞ্চুরি এবং ১৯ হাফ সেঞ্চুরির সুবাদে দুই হাজার ৫১৪ রান করেছিলেন। আর তামিম মিরপুর শেরে বাংলা স্টেডিয়ামে করেন দুই হাজার ৫৪৯ রান। টাইগার ড্যাশিং ওপেনার এই রেকর্ড ভাঙতে খেলেন ৭৪ ম্যাচ। করেছেন ৫টি সেঞ্চুরি এবং ১৬ হাফ সেঞ্চুরি। প্রথম দুই ম্যাচে জিম্বাবুয়ে ও শ্রীলংকাকে বড় ব্যবধানে হারানো বাংলাদেশের জন্য এই ম্যাচে ২১৭ রান যথেষ্ঠ কিনা- তা নিয়ে অবশ্য সমর্থকদের মনে সংশয় ছিল। কিন্তু মাত্র ১২৫ রানে জিম্বাবুয়েকে গুটিয়ে দিয়ে সেই সংশয় জাগতেই দেয়নি ম্যাশ বাহিনী। এদিকে জয় নিশ্চিত হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে দুটি রেকর্ডও জমা হয় টাইগারদের ঝুড়িতে। আরও পড়ুন: জয়াসুরিয়ার রেকর্ড ভেঙে দিলেন তামিম প্রথমত কোন একক দলের বিপক্ষে টানা ১০ জয়ের রেকর্ড গড়েছে বাংলাদেশ দল। এর আগে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে টাইগাররা টানা নয়টি জয় পায়। এই ম্যাচে জয়ের সুবাদে সেটা দু্ই সংখ্যার এলিট ক্লাবে নিয়ে যায় মাশরাফি বাহিনী। মাশরাফি দ্বিতীয় মেয়াদে অধিনায়ক হয়ে জিম্বাবুয়ের সঙ্গে ম্যাচ দিয়ে শুরু করেন। ২০১৪ বিশ্বকাপের আগে ৫ ম্যাচ সিরিজের টুর্নামেন্টে জিম্বাবুয়েকে হোয়াইটওয়াশ দিয়ে এই যাত্রা হয়। আর আরেকটি রেকর্ড হলো মাশরাফির নিজের। মাশরাফি যে বাংলাদেশ দল এবং অধিনায়কত্বকে সম্মানের জায়গায় নিয়ে গেছেন তার পুরস্কার। আজকের জয় দিয়ে বাংলাদেশের কোন অধিনায়ক হিসেবে মাশরাফি সবচেয়ে বেশি ম্যাচে জয়ের কৃতিত্ব অর্জন করেন। ম্যাশ ভেঙেছেন হাবিবুল বাশারের রেকর্ড। দেশের হয়ে ৫৩ ম্যাচে নেতৃত্ব দিয়ে ৩০টিতে জয় পান ম্যাশ। আর হাবিবুল বাশার ৬৯ ম্যাচে নেতৃত্ব দিয়ে জয় পান ২৯ ম্যাচে। বাংলাদেশের জয়ের এই ধারা যদি অব্যাহত থাকে তাহলে মাশরাফি নিজের কৃতিত্বটা যে আরো শক্ত জায়গায় নিয়ে যাবেন- সেকথা বলার অপেক্ষা থাকেনা। সূত্র: সমকাল আর/১০:১৪/২৩ জানুয়ারি
from First Bangla interactive newspaper - Deshe Bideshe http://ift.tt/2E3j6Pm
January 24, 2018 at 05:08AM
এতে সদস্যতা:
মন্তব্যগুলি পোস্ট করুন (Atom)
0 মন্তব্য(গুলি):
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন