সাকিব আল হাসান গতকাল ফিফটি পাওয়ার পর ড্রেসিংরুমের দরজা থেকে একটু বেরিয়ে করতালি দিয়ে অভিনন্দন জানান তামিম ইকবাল। বাঁহাতি ওপেনার নিশ্চয়ই আশা করেননি তাঁর বন্ধু একই ভুল করবেন, থেমে যাবেন তিন অঙ্ক না ছুঁয়েই! এখন তিনে নামলেও ওয়ানডে ক্যারিয়ারের বেশির ভাগ ম্যাচে সাকিব খেলেছেন লোয়ার মিডল অর্ডারে। আগেভাগে ব্যাটিংয়ের সুযোগ কটি ইনিংসেই-বা পেয়েছেন বাঁহাতি অলরাউন্ডার! সাকিবের সঙ্গে তাই ওপেনিংয়ে ব্যাটিং করা তামিমকে মেলানো যাবে না। ইনিংসের শুরুতে নামেন বলে সেঞ্চুরি করার সুযোগ সবচেয়ে বেশি থাকে তামিমেরই। কিন্তু সুযোগের সদ্ব্যবহার কতটা করতে পারছেন ক্রিকেটের তিন সংস্করণে বাংলাদেশের সর্বোচ্চ এ রান সংগ্রাহক? আগের ম্যাচে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ৮৪ রানে অপরাজিত ছিলেন। প্রতিপক্ষের স্কোরটা বড় না হওয়ায় তিন অঙ্ক ছুঁতে পারেননি সেদিন। কিন্তু গতকাল তো সুযোগ ছিল। হয়নি। শ্রীলঙ্কার বিপক্ষেও ফিরলেন ৮৪ রানেই। অথচ তখনো প্রায় ২১ ওভারের মতো বাকি। শুধু সেঞ্চুরি কেন, তামিমের সামনে তো ডাবল সেঞ্চুরি করারও সুযোগ ছিল! আরও পড়ুন:শ্রীলংকায় ত্রিদেশীয় সিরিজের পরিবর্তিত সূচি গত জুনে চ্যাম্পিয়নস ট্রফির উদ্বোধনী ম্যাচে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ১২৮ রান করেছিলেন। পরে ছয় ইনিংসের চারটিতেই ফিফটি। সেঞ্চুরি পাননি একটিতেও। ফিফটিকে গায়ে-গতরে আরও বড় করে তিন অঙ্কে কেন নিতে পারছেন না তামিমগবেষণার বিষয়বস্তু হয়ে দাঁড়িয়েছে! ওয়ানডে ক্যারিয়ারে ৪০ ফিফটির বিপরীতে সেঞ্চুরি মাত্র ৯টি। এই ওয়ানডেতেই তামিমের ৯৫ রানের ইনিংস আছে তিনটি! ৮০-এর ঘরের ইনিংস আছে পাঁচটি। এগুলো সেঞ্চুরিতে নিয়ে যাওয়া কি কঠিন ছিল? ফিফটিকে সেঞ্চুরিতে রূপান্তর হার ১৮.৩৬ শতাংশ দেখে তামিম নিজেও হয়তো অস্বস্তি বোধ করবেন। আরও পড়ুন:বাংলাদেশ পরবর্তী দুই ম্যাচের জন্য ঘোষণা করল দল ফিফটিকে সেঞ্চুরিতে নিয়ে যাওয়ার ক্ষমতাকে ব্যাটসম্যানশিপের বড় গুণ বলেই ধরা হয়। এই মুহূর্তে এ গুণে সবচেয়ে এগিয়ে কুইন্টিন ডি কক। প্রোটিয়া ব্যাটসম্যানের ফিফটিকে সেঞ্চুরিতে রূপান্তর হার ৪৬.৪৩ শতাংশ, ২৮টি ফিফটি পেরোনো ইনিংসের ১৩টিই তিনি নিয়ে গেছেন সেঞ্চুরিতে। ৩১টি ফিফটি পেরোনো ইনিংসের ১৪টিই তিন অঙ্কে নিয়ে দুইয়ে আছেন ডেভিড ওয়ার্নার। ফিফটিকে সেঞ্চুরিতে রূপান্তর হার ৪৫.১৬ শতাংশ। হাশিম আমলা ৬০ বার পঞ্চাশ ছুঁয়ে ২৬টিকেই নিয়ে গেছেন তিন অঙ্কে। তাঁর ফিফটিকে সেঞ্চুরিতে রূপান্তর হার ৪৩.৩৩ শতাংশ। কমপক্ষে ৪০টি ফিফটি করছেনএমন ওপেনারদের মধ্যে কেবল তামিম ১০ কিংবা ১০টির ওপরে সেঞ্চুরি করতে পারেননি। এ তালিকায় সবার ওপরে স্বাভাবিকভাবেই শচীন টেন্ডুলকার, ৭৫ ফিফটির বিপরীতে সেঞ্চুরি ৪৫টি। ৬৬ ফিফটির বিপরীতে ২৮ সেঞ্চুরি করে দুইয়ে সনাৎ জয়াসুরিয়া। আরও পড়ুন:এটা আমাদের সেরা জয়গুলোর একটি : মাশরাফি তারপরও তামিম দেশের সেরা ব্যাটসম্যান। গত তিন বছরে পরিণত ব্যাটিংয়ের প্রতিচ্ছবি। যিনি ইনিংসের ফিতে বড় হওয়ার আগেই উইকেট ছুড়ে দিয়ে আসেন না। তাঁর ব্যাটিংয়ে অহেতুক ছটফটানিও এখন কমেছে। এগোতে থাকেন অনেক হিসাব করে। যখন খোলসে থাকার দরকার, তখন খোলসবন্দী থাকেন। ছড়ি ঘোরানোর দরকার হলে ব্যাট তলোয়ার হয়ে ওঠে! এমন হিসাবি ব্যাটিংয়েই ধারাবাহিকভাবে ফিফটি তুলে নিচ্ছেন তামিম। কিন্তু সেই পঞ্চাশকে এক শতে রূপান্তরেই হিসাবটা কেন যেন তাঁর মিলছে না! তামিম নিশ্চয়ই জানেন, নামের পাশে ৯ সেঞ্চুরির চেয়ে তিনি অনেক ভালো ব্যাটসম্যান। সূত্র:প্রথম আলো এমএ/১০:২০/২০ জানুয়ারি
from First Bangla interactive newspaper - Deshe Bideshe http://ift.tt/2BfCPsg
January 20, 2018 at 04:27PM
এতে সদস্যতা:
মন্তব্যগুলি পোস্ট করুন (Atom)
0 মন্তব্য(গুলি):
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন