সুরমা টাইমস ডেস্ক ঃঃ জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলার কার্যক্রমকে ‘অস্বাভাবিক’ বলে দাবি করেছেন আসামি বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার আইনজীবী ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ। মঙ্গলবার রাজধানীর বকশীবাজারের বিশেষ জজ আদালতে খালেদা জিয়ার পক্ষে ১০ম দিনের যুক্তিতর্ক উপস্থাপনের সময় তিনি এ দাবি করেন।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মওদুদ বলেন, ‘বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলাটি প্রথম দিনেই খারিজ করে দেওয়া উচিত ছিল। অথচ দীর্ঘদিন ধরে মামলাটি চলছে, এটাই অস্বাভাবিক ঘটনা।’
তিনি বলেন, ‘মামলাটি আইনানুগভাবে হয়নি। এটি রাজনৈতিক মামলা। এ রকম মামলা বর্তমান প্রধানমন্ত্রীর বিরুদ্ধেও ছিল।’
মঙ্গলবার বিচারক ড. আখতারুজ্জামানের নেতৃত্বে পুরান ঢাকার বকশীবাজার আলিয়া মাদ্রাসায় স্থাপিত বিশেষ আদালত-৫ এ এ মামলার কার্যক্রম চলছে। মামলায় হাজিরা দিতে বেলা ১১টা ৩৬ মিনিটে তিনি আদালতে আসেন।
এর আগে সকাল ১০টা ৫০ মিনিটে খালেদা জিয়া গুলশানের নিজ বাসভবন ‘ফিরোজা’ থেকে আদালতের উদ্দেশে রওনা হন বলে জানিয়েছিলেন চেয়ারপারসনের প্রেস উইংয়ের সদস্য শামসুদ্দিন দিদার।
খালেদা জিয়ার হাজিরা ঘিরে আদালত ও এর আশপাশের এলাকায় বাড়তি নিরাপত্তা নেওয়া হয়েছে। বিপুল সংখ্যক পুলিশ, র্যা ব মোতায়েন করা হয়েছে। এছাড়া আদালতের প্রধান ফটকে স্ক্যানার বসিয়ে তল্লাশি করে ভেতরে ঢোকানো হচ্ছে।
মামলার এজাহার থেকে জানা গেছে, জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্টের নামে অবৈধভাবে ৩ কোটি ১৫ লাখ ৪৩ হাজার টাকা লেনদেনের অভিযোগ এনে খালেদা জিয়াসহ চারজনের বিরুদ্ধে ২০১০ সালের ৮ আগস্ট তেজগাঁও থানায় মামলা করে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
পরে ২০১২ সালের ১৬ জানুয়ারি মামলার তদন্ত কর্মকর্তা দুদকের উপ-পরিচালক হারুন-অর-রশীদ বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াসহ চারজনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। ২০১৪ সালের ১৯ মার্চ আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন ঢাকার তৃতীয় বিশেষ জজ আদালতের বিচারক বাসুদেব রায়।
এ মামলার অন্য আসামিরা হলেন— খালেদা জিয়ার সাবেক রাজনৈতিক সচিব হারিছ চৌধুরী (পলাতক), হারিছের তখনকার সহকারী একান্ত সচিব ও বিআইডব্লিউটিএর সাবেক নৌ-নিরাপত্তা ও ট্রাফিক বিভাগের ভারপ্রাপ্ত পরিচালক জিয়াউল ইসলাম মুন্না এবং ঢাকার সাবেক মেয়র সাদেক হোসেন খোকার একান্ত সচিব মনিরুল ইসলাম খান।
এছাড়া জিয়া অরফানেজ ট্রাস্টের ২ কোটি ১০ লাখ ৭১ হাজার ৬৪৩ টাকা আত্মসাতের অভিযোগ এনে খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানসহ ছয়জনের বিরুদ্ধে ২০০৮ সালের ৩ জুলাই রমনা থানায় অপর একটি মামলা করে দুদক।
২০১০ সালের ৫ আগস্ট তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করেন দুদকের উপ-পরিচালক হারুন-অর-রশীদ। ২০১৪ সালের ১৯ মার্চ তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন ঢাকার তৃতীয় বিশেষ জজ আদালতের বিচারক বাসুদেব রায়।
মামলায় খালেদা জিয়া ও তারেক রহমান ছাড়া বাকি আসামিরা হলেন— মাগুরার সাবেক এমপি কাজী সালিমুল হক কামাল, ব্যবসায়ী শরফুদ্দিন আহমেদ, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সাবেক সচিব কামাল উদ্দিন সিদ্দিকী ও বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের ভাগ্নে মমিনুর রহমান।
from Sylhet News | সুরমা টাইমস http://ift.tt/2DgZ3z9
January 16, 2018 at 01:59PM
0 মন্তব্য(গুলি):
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন