ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের নব নিযুক্ত মন্ত্রী তথ্যপ্রযুক্তিবিদ মোস্তাফা জব্বার বলেছেন, ‘আগামী এক বছরের মধ্যে বদলে যাবে বাংলাদেশ। বদলটা হবে ডিজিটালাইজেশনের মাধ্যমে’।
সর্বোচ্চ অগ্রাধিকারে ইন্টারনেট: মোস্তাফা জব্বার
যেভাবে জনগণের ইন্টারনেট পাওয়া উচিত ছিল-সেভাবে পায় না বলে উল্লেখ করে নতুন ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার জানান, ইন্টারনেটের গতি এবং মূল্য ক্রয় ক্ষমতার মধ্যে আনা তার প্রধান চ্যালেঞ্জ। ভিডিও: নয়ন কুমার
Posted by bdnews24.com on Wednesday, January 3, 2018
তিনি আজ রাজধানীর বিডিবিএল ভবনে অবস্থিত বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব সফটওয়্যার অ্যান্ড ইনফরমেশন সার্ভিসেস(বেসিস) আয়োজিত সংবর্ধনা শেষে সংবাদ সম্মেলনে একথা বলেন। মন্ত্রী হিসেবে শপথ নেয়ার পর এটাই ছিল তার প্রথম সংবাদ সম্মেলন।
মোস্তাফা জব্বার বলেন, বাংলাদেশকে বদলাতে হলে সরকারে সব সেবাকে ডিজিটালাইজড করতে হবে। এর পরেই গুরুত্ব পাচ্ছে সরকারের ভূমি ব্যবস্থাকে ডিজিটালাইজড করা। এসব কাজ করার জন্য আমি আগামী একবছর সংগ্রাম করে যাব।
মন্ত্রী বলেন, ‘আমি মন্ত্রী হিসেবে শপথ গ্রহণের পর ১০০ দিনের কার্যসূচি গ্রহণ করেছি। যার প্রথমে রয়েছে ইন্টারনেটের দাম কমানো এবং ইন্টারনেটের আওতায় সবাইকে আনা।’
সরকারের নবনিযুক্ত এই মন্ত্রী বলেন, ‘ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগ ক্যান্সারে আক্রান্ত। অন্ধ গলিতে আছে তথ্যপ্রযু্ক্তি বিভাগ।’
এই দুইটি খাতকে সঠিক পথে আনতে করণীয় কি? সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, ‘একজন ডাক্তার যখন রোগীর রোগ সম্পর্কে সম্পূর্ণ জানেন এবং এর চিকিৎসাও জানেন তখন রোগ সারানো সময়ের ব্যাপার মাত্র। অন্ধ গলির শেষ দেয়ালটা ভেঙ্গে দিলেই সমাধান মিলবে।
ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের এই মন্ত্রী বলেন, আমার হাতে সময় কম। মাত্র একটি বছর। আমাকে হেলে দুলে কাজ করলে চলবে না। আমার যা করার তা এই এক বছরেরই করতে হবে। এজন্য আপনারা আমাদের জানান কী কী করতে হবে।
মন্ত্রী বলেন, মানুষের পঞ্চম মৌলিক অধিকার ইন্টারনেটের মূল্য সাধারণ মানুষের ধরা ছোঁয়ার বাইরে। এজন্য অপারেটরদের পাশাপাশি বিটিআরসি দায়ী। বিটিআরসি এখনও ইন্টারনেটের দাম বেঁধে দিতে পারেনি। এটা তাদের ব্যর্থতা।
মোস্তাফা জব্বার বলেন, ‘আমি চাই দেশে উৎপাদিত সফটওয়্যার এদের চাহিদা মেটাক। আমি কোনো ভাবেই বিদেশি সফটওয়্যার এদেশের বাজারে আধিপত্য করতে দেবো না।’
হার্ডওয়্যার খাতকে প্রধান্য দিয়ে এই তথ্যপ্রযুক্তিবিদ বলেন, ‘হার্ডওয়্যার খাত এখন প্রাধান্য পাচ্ছে। দেশে প্রযু্ক্তিপণ্য যাতে উৎপাদিত হয় সেজন্য এখাতে কাঁচামাল আমদানি শুল্ক এক শতাংশে নামিয়ে আনা হয়েছে। আমার বিশ্বাস আগামী কয়েক বছরের মধ্যে বাংলাদেশে উৎপাদিত প্রযুক্তি পণ্য দেশের মানুষের চাহিদা মেটাবে।’
শিক্ষার ডিজিটালাইজেশন নিয়ে মোস্তাফা জব্বারের পরিকল্পনার কথা সাংবাদিকরা জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘ প্রচলিত শিক্ষা ব্যবস্থায় বেকার সমস্যার সমাধান করা যাবে না। এজন্য প্রথম শ্রেণি থেকে ডিজিটাল শিক্ষা উপকরণ সরবরাহ, নতুন সিলেবাস তৈরি এবং পাঠ দানের পদ্ধতি পরিবর্তন করতে হবে। এজন্য শিক্ষা মন্ত্রণালয়কে সব ধরণের সহযোগিতা করব আমরা।’
সংবাদ সম্মেলনে বেসিসের কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।
from Sylhet News | সুরমা টাইমস http://ift.tt/2CxaFxD
January 04, 2018 at 07:17AM
0 মন্তব্য(গুলি):
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন