সুুুরমা টাইমস ডেস্ক::
চাকুরি দেয়ার নামে কিশোরগঞ্জ থেকে চট্টগ্রাম নগরীতে এনে এক কিশোরীকে জিম্মি করে ধর্ষণের অভিযোগ পাওয়া গেছে। পুলিশ ধর্ষণে সহায়তাকারী আঁখি ইসলাম নামে এক নারীকে আটক করেছে। ধর্ষক দীন ইসলামকে গ্রেফতারে অভিযান চালাচ্ছে। জিম্মি অবস্থা থেকে ধর্ষিতা কিশোরীকে তার এক নিকটাত্মীয় উদ্ধার করে বুধবার দুপুরে নগরীর বায়েজিদ বোস্তামি থানায় নিয়ে যান। এরপর আঁখিকে আটকের পাশাপাশি ধর্ষককে গ্রেফতারে অভিযানে নেমেছে পুলিশ।
এ ঘটনায় গত বুধবার সন্ধ্যায় নগরের বায়েজিদ বোস্তামী থানায় মামলা করেছে ওই কিশোরী। ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে আঁখি ইসলাম নামের এক নারীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। দীন ইসলাম নামের আরেক ব্যক্তিকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা করছে পুলিশ।
বায়েজিদ বোস্তামি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবুল কালাম বলেন, ধর্ষিতা নিজেই থানায় এসে অভিযোগ করেছেন। আমরা অভিযুক্ত ধর্ষককে গ্রেফতারের চেষ্টা করছি। কিশোরীর শারীরিক পরীক্ষার জন্য আজ বৃহস্পতিবার হাসপাতালে পাঠানো হবে।
সূত্রমতে, ধর্ষিতার বাড়ি কিশোরগঞ্জ জেলার সদর উপজেলার হোসেনপুর গ্রামে। তার প্রতিবেশি দীন ইসলাম চট্টগ্রাম নগরীতে মাটি কাটার শ্রমিকদের মাঝি (ঠিকাদার) হিসেবে কাজ করেন। থাকেন নগরীর বায়েজিদ বোস্তামি থানার আতুরার ডিপো এলাকায়। কিশোরীর বাবার অনুরোধে দীন ইসলাম চাকরি দেওয়ার কথা বলে তাকে দুই মাস আগে তাকে নগরীতে নিয়ে আসেন। এক মাস ধরে নিজ বাসায় জিম্মি করে রেখে ধর্ষণের পর তাকে আঁখি ইসলামের হাতে তুলে দেয়। আঁখি ওই কিশোরীকে পতিতাবৃত্তিতে বাধ্য করে।
দীন ইসলাম মাসে ৫ হাজার টাকা করে কিশোরীর বাবার কাছে পাঠাতো। কিন্তু বাড়ি ছাড়ার পর আর যোগাযোগ না হওয়ায় বাবার সন্দেহ হলে তিনি আরেক প্রতিবেশি আকরাম হোসেনের শরণাপন্ন হন। আকরামও চট্টগ্রাম নগরীতে মাটি কাটার শ্রমিকদের ঠিকাদার হিসেবে কাজ করেন।
আকরাম আতুরার ডিপো এলাকায় দীন ইসলামের বাসায় গিয়ে কিশোরীকে জিম্মি করে রাখার বিষয়টি জানতে পারেন। তবে আঁখি এবং দীন ইসলামের কাউকেই সেখানে পাননি। পরে তিনি আঁখির ঠিকানা সংগ্রহ করে সেখানে গিয়ে কিশোরীকে উদ্ধার করেন।
from Sylhet News | সুরমা টাইমস http://ift.tt/2EVxzNp
January 05, 2018 at 12:54AM
0 মন্তব্য(গুলি):
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন