কলকাতা, ০৭ জানুয়ারি- বাল্য বিবাহ রুখতে অভিনব উদ্যোগ মালদহে। নাবালিকার বিয়ে আটকাতে একজোট জেলার সব ডেকরেটররা। এই কাজে সঙ্গী মাদ্রাসা শিক্ষকরাও। সিদ্ধান্ত হয়েছে এবার থেকে জেলার ৭০০-রও বেশি ডেকরেটর নাবালিকা বিয়ের কোনও অনুষ্ঠানে কাজ করবেন না। শুধু তাই নয়। জেলার সমস্ত বিয়ের অনুষ্ঠানে নাবালিকা বিয়ের বিরুদ্ধে সচেতনতামূলক বোর্ড ঝোলানো বাধ্যতামূলক করছে প্রশাসন। নাবালিকা বিয়ের ক্ষেত্রে রাজ্যের মধ্যে বরাবরই প্রথম সারিতে মালদহ । সরকারি হিসেব মতে জেলায় মেয়েদের বিয়ের অর্ধেকেরও বেশি হচ্ছে অপ্রাপ্ত বয়সেই। নাবালিকা বিয়ে ঠেকাতে গত কয়েক বছর ধরেই একযোগে চেষ্টা চালাচ্ছে জেলা প্রশাসন ও ইউনিসেফ। নাবালিকাদের বিয়ে না দিতে পুরোহিত ও ইমামদের শপথবাক্যও পাঠ করিয়েছে প্রশাসন। লাগাতার এই প্রচেষ্টায় কিছুটা হলেও নাবালিকা বিয়ের সংখ্যা কমেছে। এবার পরবর্তী ধাপে বিয়ের অনুষ্ঠানের সঙ্গে যুক্ত ডেকরেটরদের কাজে লাগানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে প্রশাসন। এই বিষয়ে জারি করা হয়েছে নির্দেশিকাও। আরও পড়ুন: চাকরি দেয়ার নামে বাধ্য করা হচ্ছে দেহ ব্যবসায় প্রায় সাতশো ডেকরেটর রয়েছেন জেলায়। নাবালিকা বিয়ের খোঁজ পেলেই তা প্রশাসনের নজরে আনতে বলা হয়েছে তাঁদের। সরকারি তথ্য বলছে মালদহে নাবালিকা বিয়ে রোখার কাজে গতি বাড়ছে। সরকারি হিসেব ১। ২০১৫ সালে ১৪৯টি বাল্যবিবাহ ঠেকানো গিয়েছে ২। ২০১৬ এই সংখ্যাটা বেড়ে হয় ২০৩ ৩। ২০১৭ সালে ২৫২ টি নাবালিকার বিয়ে আটকানো গিয়েছে দিন কয়েক আগে স্কুল স্তরে নাবালিকা বিয়ে ঠেকাতে অভিনব পদক্ষেপ নেয় জেলারই দাল্লা চন্দ্রমোহন হাইস্কুল। পঞ্চম শ্রেণিতে ভর্তির সময়েই নাবালিকার বিয়ে দেবেন না বলে মুচলেকা নেওয়া হয় অভিভাবকদের কাছ থেকে। এবার এই কাজে মাদ্রাসা শিক্ষকদেরও কাজে লাগাচ্ছে প্রশাসন। সরকারি সমীক্ষা বলছে মালদহ জেলায় নাবালিকা বিয়ের বড় অংশই হচ্ছে মাদ্রাসা ছাত্রীদের ক্ষেত্রে। সিদ্ধান্ত হয়েছে, এবার থেকে কোনও ছাত্রী স্কুলে বেশ কিছুদিন গরহাজির থাকলেই , নাবালিকা বিয়ে হচ্ছে কিনা তা নিয়ে স্কুল কর্তৃপক্ষকে তথ্য দিতে হবে প্রশাসনকে। সূত্র: নিউজ১৮ আর/১২:১৪/০৭ জানুয়ারি
from First Bangla interactive newspaper - Deshe Bideshe http://ift.tt/2m34WVV
January 07, 2018 at 07:03AM
এতে সদস্যতা:
মন্তব্যগুলি পোস্ট করুন (Atom)
0 মন্তব্য(গুলি):
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন