সনাতন হিন্দু সম্প্রদায়ের অন্যতম ধর্মীয় আয়োজন গঙ্গাস্নান বুধবার চাঁপাইনবাবগঞ্জের শিবগঞ্জের পৌরনিক জাহ্নুমুনির আশ্রমস্থল সংলগ্ন তর্তিপুর ঘাটে অনুষ্ঠিত হয়েছে।
গঙ্গাস্নান উপলক্ষে সকাল থেকে চাঁপাইনবাবগঞ্জসহ রাজশাহী অঞ্চলের বিভিন্ন জেলা থেকে হিন্দু ধর্মাবলম্বী শত শত নারী- পুরুষ পৌরণিক জাহ্নুমুনির আশ্রমে আসতে শুরু করে। দুপুর পর্যন্ত হিন্দু ধর্মালম্বিদের গঙ্গাস্নানে যোগ দিতে আসা অব্যাহত ছিল।
তর্তিপুর মহাশ্মশান কমিটির সভাপতি শ্রী সাধন কুমার জানান, এই গঙ্গাস্নান অধিকাংশ বছরই মাঘ মাসে অনুষ্ঠিত হয় বলে একে মাঘী বান্নী স্নান বলে। কিন্তু চাঁদের উপর নির্ভর করে কোন কোন বছর ফালগুন মাসেও গঙ্গাস্নান অনুষ্ঠিত হয়ে থাকে। পাপমোচন ও পুণ্যের আশায় দূরদুরান্তের হিন্দু ধর্মালম্বি মানুষ গঙ্গাস্নানে অংশ নেন এবং পূজা অর্চনা করেন। গঙ্গাস্নানে অংশ নেয়া মানুষ বাড়ি ফেরার সময় মাটির পাত্রে গঙ্গার জল নিয়ে যায়।
জানা গেছে, হিন্দু শাস্ত্র মতে ভগীরত গঙ্গা নদীর জল প্রবাহ নিয়ে বাংলাদেশে আশার সময় তর্তিপুর ঘাট এলাকায় শ্মশানের পাশে পৌঁছলে নিম গাছের নীচে জাহ্নবীমনির আশ্রম থেকে তাদের দেবতা জাহ্নবীমনি গঙ্গার জল ভূলবশত পান করে ফেলে। এতে ভগীরত ক্ষুব্ধ হলে জাহ্নবীমনি তার জান কেটে সেই জল বের করে দেয় এবং গঙ্গা মুক্ত হয়। সেই থেকে গঙ্গার এই জল প্রবাহ বলে হিন্দু ধর্মাম্মবলীরা বিশ্বাস করে।
এদিকে গঙ্গাস্নানকে ঘিরে অন্যান্য বছরের মত এবারও তর্তিপুর ঘাট এলাকায় ৩ দিনব্যাপি গ্রামীণ মেলাও বসেছে। মেলায় কাঠের আসবাবপত্র মিষ্টির দোকানসহ রকমারী পণ্যে দোকান বসেছে। প্রশাসনের পক্ষ থেকে নিরাপত্তা ব্যবস্থাও নেয়া হয়েছে।
চাঁপাইনবাবগঞ্জ নিউজ/ নিজস্ব প্রতিবেদক/ ২৪-০১-১৮
গঙ্গাস্নান উপলক্ষে সকাল থেকে চাঁপাইনবাবগঞ্জসহ রাজশাহী অঞ্চলের বিভিন্ন জেলা থেকে হিন্দু ধর্মাবলম্বী শত শত নারী- পুরুষ পৌরণিক জাহ্নুমুনির আশ্রমে আসতে শুরু করে। দুপুর পর্যন্ত হিন্দু ধর্মালম্বিদের গঙ্গাস্নানে যোগ দিতে আসা অব্যাহত ছিল।
তর্তিপুর মহাশ্মশান কমিটির সভাপতি শ্রী সাধন কুমার জানান, এই গঙ্গাস্নান অধিকাংশ বছরই মাঘ মাসে অনুষ্ঠিত হয় বলে একে মাঘী বান্নী স্নান বলে। কিন্তু চাঁদের উপর নির্ভর করে কোন কোন বছর ফালগুন মাসেও গঙ্গাস্নান অনুষ্ঠিত হয়ে থাকে। পাপমোচন ও পুণ্যের আশায় দূরদুরান্তের হিন্দু ধর্মালম্বি মানুষ গঙ্গাস্নানে অংশ নেন এবং পূজা অর্চনা করেন। গঙ্গাস্নানে অংশ নেয়া মানুষ বাড়ি ফেরার সময় মাটির পাত্রে গঙ্গার জল নিয়ে যায়।
জানা গেছে, হিন্দু শাস্ত্র মতে ভগীরত গঙ্গা নদীর জল প্রবাহ নিয়ে বাংলাদেশে আশার সময় তর্তিপুর ঘাট এলাকায় শ্মশানের পাশে পৌঁছলে নিম গাছের নীচে জাহ্নবীমনির আশ্রম থেকে তাদের দেবতা জাহ্নবীমনি গঙ্গার জল ভূলবশত পান করে ফেলে। এতে ভগীরত ক্ষুব্ধ হলে জাহ্নবীমনি তার জান কেটে সেই জল বের করে দেয় এবং গঙ্গা মুক্ত হয়। সেই থেকে গঙ্গার এই জল প্রবাহ বলে হিন্দু ধর্মাম্মবলীরা বিশ্বাস করে।
এদিকে গঙ্গাস্নানকে ঘিরে অন্যান্য বছরের মত এবারও তর্তিপুর ঘাট এলাকায় ৩ দিনব্যাপি গ্রামীণ মেলাও বসেছে। মেলায় কাঠের আসবাবপত্র মিষ্টির দোকানসহ রকমারী পণ্যে দোকান বসেছে। প্রশাসনের পক্ষ থেকে নিরাপত্তা ব্যবস্থাও নেয়া হয়েছে।
চাঁপাইনবাবগঞ্জ নিউজ/ নিজস্ব প্রতিবেদক/ ২৪-০১-১৮
from Chapainawabganjnews http://ift.tt/2DEwug9
January 24, 2018 at 09:37PM
0 মন্তব্য(গুলি):
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন