সুরমা টাইমস ডেস্ক :: ছবিসহ ভোটার তালিকায় ২ লাখ ৫ হাজারের মতো ব্যক্তি দু’বার ভোটার হওয়ার প্রমাণ পাওয়ার পর সহযোগিতাকারীদের বিরুদ্ধেও মামলা করার হুমকি দিয়েছে নির্বাচন কমিশন।
সেই সঙ্গে কোনোভাবেই পুনঃভোটার বা দ্বৈত ভোটার যেন কেউ হতে না পারে, সে বিষয়ে সর্বোচ্চ সতর্ক থাকার নির্দেশনা দিয়েছে সংস্থাটি।
এএফআইএস (অটোমেটেড ফিঙ্গারপ্রিন্ট আইডেন্টিফিকেশন সিস্টেম) ম্যাচিংয়ের মাধ্যমে দ্বৈত ভোটার ধরা হচ্ছে।
এরই মধ্যে নোয়াখালী জেলার হাতিয়া উপজেলায় দুই ব্যক্তি মিথ্য তথ্য দিয়ে ও তথ্য পরিবর্তন করে দু’বার ভোটার হওয়ায় তার বিরুদ্ধে মামলা করার জন্যে সংশ্লিষ্ট রেজিস্ট্রেশন অফিসারকে নির্দেশ দিয়েছে ইসি সচিবালয়।
ইসি সচিবালয়ের উপ সচিব মো. আব্দুল হালিম স্বাক্ষরিত এ সংক্রান্ত আলাদা আলাদা চিঠি সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের পাঠানো হয়েছে।
ভোটার তালিকা আইন অনুযায়ী, মিথ্য তথ্যা দিয়ে ভোটার হলে অনধিক ছয় মাস কারাদণ্ড বা অনধিক দুই হাজার টাকা অর্থদণ্ড বা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত হবে।
৩১ জানুয়ারি হালনাগাদের চূড়ান্ত ভোটার তালিকার প্রকাশের পর ইসির ভারপ্রাপ্ত সচিব হেলালুদ্দীন আহমদ জানিয়েছিলেন, ১৭ কোটি মানুষের বাংলাদেশে ভোটার সংখ্যা এখন ১০ কোটি ৪১ লাখ ৪২ হাজার ৩৮১ জন। হালনাগাদের আগে দেশে ভোটার ছিল ১০ কোটি ১৪ লাখ ৪০ হাজার ৬০১ জন।
সচিব জানান, এবার হালনাগাদে ১৭ লাখ ৪৮ হাজার ৯৩৪ জন মৃত ভোটার এবং ২ লাখ ৪ হাজার ৮৩১ জন দ্বৈত নিবন্ধিত ভোটারের নাম বাদ পড়েছে। এবার ভোটার তালিকায় যুক্ত হয়েছেন ৪৬ লাখ ৫৫ হাজার ৫৪৫ জন নতুন ভোটার।
দেশের উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তাদের (রেজিস্ট্রেশন কর্মকর্তা) চিঠিতে বলা হয়েছে, ছবিসহ ভোটার তালিকা প্রণয়ন কার্যক্রমকালে কিছু ভোটার দ্বৈত ভোটার হিসেবে এএফআইএস (অটোমেটেড ফিঙ্গারপ্রিন্ট আইডেন্টিফিকেশন সিস্টেম) ম্যাচিং এর মাধ্যমে চিহ্নিত হয়েছে।
“এসব চিহ্নিত ভোটাররা ভিন্ন ভিন্ন হাতের আঙ্গুলের ছাপ ও ভোটারের ব্যক্তিগত তথ্য আংশিক পরিবর্তন করে একই ব্যক্তিকে দু’বার ভোটার হওয়ার বিষয়ে যিনি বা যারা সহযোগিতা করবেন পরবর্তীতে তা তদন্তে প্রমাণিত হলে তার বা তাদের বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থাসহ ফৌজদারী মামলা দায়ের করা হবে। ” এ বিষয়ে অধীন কর্মচারীসহ সংশ্লিষ্টদের সর্বোচ্চ সতর্ক থাকার নির্দেশ কমিশনের।
হাতিয়া উপজেলা নির্বাচন অফিসার ও রেজিস্ট্রেশন অফিসারের কাছে পাঠানো চিঠিতে বলা হয়, মো. আবদুল খালেক ( ভোটার নং …০৯৭ ও …২৯৯) এবং মো. আবদুল মান্নান (ভোটার নং …৯০০ ও …২৭৮) উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে অসত্য/মিথ্যা তথ্য প্রদান বা তথ্য পরিবর্তন করে দু’বার ভোটার হয়েছে।
কমিশন তাদের বিরুদ্ধে ভোটার তালিকা আইন, ২০০৯ এর ১৮ অনুযায়ী মামলা দায়েরের নির্দেশ দিয়েছে। পাশাপাশি মামলার বিবরণ ইসি সচিবালয়কে জানাতে বলা হয়।
সম্প্রতি দ্বৈত ভোটার হওয়ার কারণে টাঙ্গাইল, পঞ্চগড়, নোয়াখালী, বরিশাল ও পিরোজপুরের কয়েকজনের বিরুদ্ধেও মামলা করার জন্যেও বলা হয়েছে জানান ইসি কর্মকর্তা।
খালেক ও মান্নানের বিরুদ্ধে মামলার পাশাপাশি এ দু’জনের দ্বৈত ভোটার থেকে প্রথমটি বহাল রেখে দ্বিতীয়টি ভোটার তালিকা থেকে বাদ দিতে জাতীয় পরিচয় নিবন্ধন অনুবিভাগকে চিঠি দিয়েছে ইসি সচিবালয়।
এনআইডি উইংয়ের পরিচালকের (অপারেশন্স) কাছে চিঠিতে বলা হয়, ব্যক্তি দু’জনের প্রথম অন্তর্ভূক্তি বহাল রেখে দ্বিতীয়বারের অন্তর্ভূক্তি বাতিলের ব্যবস্থা নিতে হবে।
from Sylhet News | সুরমা টাইমস http://ift.tt/2sAdHgx
February 17, 2018 at 01:48PM
0 মন্তব্য(গুলি):
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন