সুরমা টাইমস ডেস্কঃ বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে পাঁচ বছরের কারাদণ্ড দেওয়াকে কেন্দ্র করে সিলেটে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ ও বিএনপির নেতাকর্মীদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। বৃহস্পতিবার বেলা আড়াইটা থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত দফায় দফায় এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
সংঘর্ষ চলাকালে আ.লীগ দলীয় বেশ কয়েকজন নেতাকর্মীকে সশস্ত্র অবস্থায় দেখা গেছে। তাঁদের মধ্যে অনেকেই রাজনীতিতে পরিচিত মুখও রয়েছেন। এসময় তাঁদের প্রতিপক্ষ দলের নেতাকর্মীদের লক্ষ্য করে গুলি ছুড়তেও দেখা গেছে। সংঘর্ষ চলাকালে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা উপস্থিত থাকলেও সশস্ত্র ও গুলি করার বিষয়টি খেয়াল করেননি বলে এড়িয়ে গেছেন।
বেলা আড়াইটার দিকে খালেদা জিয়ার রায় ঘোষণার পরপরই সিলেটের আদালত পাড়ায় সংঘর্ষে জড়ায় বিএনপি ও আ.লীগের নেতাকর্মীরা। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, সংঘর্ষ বিএনপি ও আ.লীগের মধ্যকার হলেও মূল ভ‚মিকা রেখেছে ছাত্রলীগ-ছাত্রদলের নেতাকর্মীদের মধ্যে। বেলা আড়াইটায় আদালত এলাকায় সংঘর্ষ শুরু হলে অস্ত্র নিয়ে প্রকাশ্যে গুলি ও ধাওয়া করতে দেখা গেছে ক্ষমতাসীন দলের অনেক নেতাকর্মীদের।
তাঁদের মধ্যে রয়েছেন জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সিনিয়র সহসভাপতি পিযুষ কান্তিদে, স্বেচ্ছাসেবকলীগ নেতা মুনিম আহমদ, মহানগর ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক সজল দাস অনিক, যুবলীগ নেতা রেজাউল ইসলাম রেজা। সংর্ঘষ চলাকালে আরও অনেককে দেশীয় অস্ত্র ও আগ্নেয়াস্ত্র হাতে দেখা গেছে তবে তাদের নাম নিশ্চিত হওয়া যায়নি।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, সংঘর্ষ চলাকালে উভয় পক্ষের নেতাকর্মীদের হাতে আগ্নেয়াস্ত্র ছিল। তবে ছাত্রদলের নেতাকর্মীদের প্রকাশ্যে অস্ত্র হাতে দেখা যায়নি। উভয় পক্ষই বেশ কয়েকটি গুলি ও হাত বোমা বিস্ফোরণ ঘটিয়েছেন।
এ ব্যাপারে সিলেট কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) গৌছুল হোসেন জানান, পুলিশ সংঘর্ষ চলাকালে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে ব্যস্ত ছিল তাই অস্ত্রধারীদের বিষয়টি খেয়াল করেনি। তবে অস্ত্র উদ্ধারে অভিযান চালানো হচ্ছে।
from Sylhet News | সুরমা টাইমস http://ift.tt/2nWZcOC
February 08, 2018 at 10:57PM
0 মন্তব্য(গুলি):
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন