বড় পুঁজি নিয়েও হারলো বাংলাদেশ

সুরমা টাইমস ডেস্ক::    পুঁজিটা বেশ বড়ই ছিল, ১৯৩ রানের। তবে বড় পুঁজি নিয়ে যেমন লড়াই আশা করেছিলেন টাইগার সমর্থকরা, তার ছিঁটেফোটাও দেখা গেল না। বোলারদের ব্যর্থতায় ১৯৪ রানের লক্ষ্যও ২০ বল হাতে রেখে পেরিয়ে গেছে শ্রীলঙ্কা। মিরপুরে সিরিজের প্রথম টি-টোয়েন্টিটা তারা জিতেছে ৬ উইকেটের বড় ব্যবধানে। এতে দুই ম্যাচের সিরিজে ১-০ ব্যবধানে এগিয়ে গেল দিনেশ চান্দিমালের দল।

বাংলাদেশের মতো উড়ন্ত সূচনা করে শ্রীলঙ্কাও। দানুষ্কা গুনাথিলাকা আর কুশল মেন্ডিস উদ্বোধনী জুটিতেই তুলেন ৫৪ রান। এ জুটিটা ভাঙেন নাজমুল ইসলাম অপু। অভিষিক্ত এ বাঁ-হাতি স্পিনারের বলটা মিস করে মুশফিকের বুদ্ধিদীপ্ত স্ট্যাম্পিংয়ে সাজঘরে ফেরেন ৩০ রান করা গুনাথিলাকা।

তবু ঝড়ো ব্যাটিং চালিয়েই যাচ্ছিলেন কুশল মেন্ডিস। মাত্র ২৭ বলে ৫৩ রান করা এ ব্যাটসম্যানকে শেষপর্যন্ত আউট করেন আফিফ হোসেন। এরপর উপুল থারাঙ্গার ক্যাচটিও নেন অভিষিক্ত এ অলরাউন্ডার। নাজমুল অপুকে তুলে মারতে গিয়ে অভিজ্ঞ এ ব্যাটসম্যান আউট হন মাত্র ৪ রান করে।
এরপর রুবেল হোসেনের বাউন্সি এক ডেলিভারিতে পুল করেন নিরোশান ডিকভেলা। ৯ বলে ১১ করা এ ব্যাটসম্যানের বাতাসে ভাসানো বলটি অনেক ওপরে উঠলেও বাউন্ডারিতে দাঁড়িয়ে দারুণভাবে ধরে ফেলেন মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন।

তবে পরের সময়টায় বাংলাদেশি বোলারদের আর পাত্তা দেননি লঙ্কান ব্যাটসম্যানরা। দাসুন শানাকা আর কুশল পেরেরা মিলে ৩০ বলে ৬৫ রানের বিধ্বংসী জুটিতে জয় নিশ্চিত করে দেন শ্রীলঙ্কার। পেরেরা করেন ১৮ বলে অপরাজিত ৩৯ রান, শানাকা ২৪ বলে ৪২।
এর আগে, সৌম্য সরকার আর মুশফিকুর রহীমের জোড়া হাফসেঞ্চুরিতে মিরপুরে সিরিজের প্রথম টি-টোয়েন্টি ম্যাচে ৫ উইকেটে ১৯৩ রানের বড় পুঁজি গড়ে বাংলাদেশ।

তামিম ইকবালের অনুপস্থিতিতে সৌম্য সরকারের সঙ্গে ইনিংস উদ্বোধন করেন জাকির হাসান। অভিষেক ম্যাচে খুব একটা ভালো করতে পারেননি তিনি। ৯ বলে ১০ রান করে দানুষ্কা গুনাথিলাকার বলে বোল্ড হয়ে ফেরেন এ ওপেনার।

তবে অফফর্মের কারণে ওয়ানডে আর টেস্ট দল থেকে বাদ পড়লেও টি-টোয়েন্টি ফরমেটটা যে ভীষণ উপভোগ করেন, সেটা আরও একবার বুঝিয়ে দিয়েছেন সৌম্য। মিরপুরে ব্যাট হাতে রীতিমতো তাণ্ডব দেখিয়েছেন এ ওপেনার। হাফসেঞ্চুরির আগমুহূর্তে অবশ্য একটু বল খরচ করেছেন, তারপরও ৩০ বলে ফিফটি পূর্ণ করেন সৌম্য। টি-টোয়েন্টি ফরমেটে বাঁ-হাতি এ ওপেনারের এটি ছিল প্রথম হাফসেঞ্চুরি।

জীবন মেন্ডিসের লেগস্পিনে এলবিডব্লিউ হয়ে ৫১ রানে ফিরেন সৌম্য। জীবন মেন্ডিসের ঘূর্ণিতে এলবিডব্লিউ হওয়ার পর মাটিতে পড়ে গিয়েছিলেন এ ওপেনার। উরুতে চোট নিয়ে এরপর খুঁড়িয়ে খুড়িয়ে মাঠ ছাড়তে হয়েছে তাকে। পরের বলেই উইকেটরক্ষকের দুর্দান্ত ক্যাচে শূন্য করে সাজঘরে ফেরেন অভিষিক্ত আফিফ হোসেন।

টানা দুই উইকেট হারিয়ে তখন কিছুটা বিপদে বাংলাদেশ। চতুর্থ উইকেটে দুর্দান্ত এক জুটিতে সেই বিপদ কাটিয়ে উঠেন মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ আর মুশফিকুর রহীম। লঙ্কান বোলারদের রীতিমতো তুলোধুনো করে ৭৩ রান যোগ করেন এ যুগল।

সৌম্য সরকারের পর মাত্র ৩৭ বলে হাফসেঞ্চুরি তুলে নেন মুশফিকুর রহিমও। তবে ফিফটির আশা জাগিয়েও সাজঘরে ফেরেন মাহমুদউল্লাহ। বাঁ-হাতি পেসার ইসুরু উদানাকে তুলে মারতে গিয়ে আউট হন ৪৩ রানে। ৩১ বলের ইনিংসে টাইগার অধিনায়ক ২টি করে চার-ছক্কা হাঁকান।

এরপর সাব্বির রহমান ফিরেন ১ রান করে। তবে শেষ পর্যন্ত দলের হাল ধরে ছিলেন মুশফিক। ৪৪ বলে ৬৬ রানে অপরাজিত থাকেন ডানহাতি এ ব্যাটসম্যান। দুর্দান্ত এ ইনিংসটি তিনি সাজিয়েছেন ৭টি চার আর একটি ছক্কায়। আরিফুল হক অপরাজিত থাকেন ১ রানে।



from Sylhet News | সুরমা টাইমস http://ift.tt/2o8NVe9

February 15, 2018 at 11:36PM

0 মন্তব্য(গুলি):

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

 
Top