মোঃ আবুল কাশেম, বিশ্বনাথ (সিলেট) থেকে :: ক্যাপসিকাম, বেগুণ, নাগা মরিছ, টমেটো, ব্রকলী, ফুল কপি, বাঁধা কপি, বরবটি, আলু, শিম, গরু, মাছ, ধান চাষ করে নিজেকে একজন দেশ সেরা কৃষক আর সম্মানী মানুষ হতে চান বিশ্বনাথের তিন যুবক। তারা হলেন দেওকলস ইউনিয়নের আলাপুর গ্রামের মজম্মিল আলীর পুত্র মো. জাবের হোসেন, রামপাশা ইউনিয়নের বিশ্বনাথেরগাঁও গ্রামের কয়ছর আহমদ ও দৌলতপুর ইউনিয়নের দৌলতপুর গ্রামের নিজাম উদ্দিন। ১৫ ফেব্রুয়ারী বৃহস্পতিবার তিন যুবকের মাঠ ঘুরে দেখা গেছে, বিশেষ করে ক্যাপসিকাম চাষে তারা গুরুত্ব দিচ্ছেন সবচেয়ে বেশী। দামী ও পুষ্টিকর ফল বলে তারা ক্যাপসিকামে এগিয়ে এসেছেন। এ পর্যায়ে নিয়ে আসতে প্রেরনা দিয়েছেন জাতীয় কৃষি পুরস্কার প্রাপ্ত বিশ্বনাথের যুবক বেলাল আহমদ ইমরান।
আলাপুর গ্রামের মো. জাবের হোসেন প্রায় ৬০ ডিসিমেল জায়গায় ফলিয়েছেন ক্যাপসিকাম। এতে তার ব্যয় হয়েছে প্রায় ১ লাখ ২০ হাজার টাকা। তার মাঠে ৭ হাজার ক্যাপসিকামের চারা রয়েছে। আবহাওয়া অনুকুলে থাকলে তিনি ৭ লাখ টাকার ক্যাপসিকাম বিক্রি করতে পারবেন। এছাড়া তিনি ক্যাপসিকাম, বেগুণ, নাগা মরিছ, টমেটো, ব্রকলী, ফুল কপি, বাঁধা কপি, বরবটি, আলু, শিম, গরু, মাছ চাষ করেছেন।
এ ব্যাপারে মো. জাবের হোসেন বলেন, কৃষির প্রতি সবচেয়ে বেশী আগ্রহী হয়ে তুলেছেন বেলাল আহমদ ইমরান। কৃষি কাজে বেলাল আহমদ ইমরান জাতীয় পুরস্কার লাভ করার পর নিজ উপজেলায় তিনি কাজ শুরু করেছেন যুবকদেরকে কিভাবে একাজে নিয়ে আসা যায়। তিনি বলেন, কৃষি কাজে আরো বেশী আগ্রহী হয়ে উঠেন বিভিন্ন টিভি চ্যানেল দেখে। পরিশ্রম, মেধায় তার স্বপ্ন বাস্তবায়ন হবে বলে বিশ্বাস করেন।
বিশ্বনাথেরগাঁও গ্রামের কয়ছরউদ্দিন বলেন, ক্যাপসিকাম চাষ করে অনেক টাকা আয় করা যায়। একটি দামী ও পুষ্ঠিকর ফল হিসেবে ক্যাপসিকামের চাষ করছেন। এবছর তিনি প্রায় ১৫ ডিসিমেল জায়গায় ক্যাপসিকামের চাষ করেছেন। আশা করছেন এথেকে ৩ লাখ টাকা আয় করা সম্ভব হবে।
দৌলতপুর গ্রামের নিজামউদ্দিন বলেন, তিনজন মিলে ক্যাপসিকাম চাষ করেছেন পৃথকভাবে। আশা করছেন এ থেকে লাভবান হবেন। ১ কেজি ক্যাপসিকামের বর্তমান বাজার দর কেজি প্রতি ২০০শত থেকে ২৫০টাকা দামে বিক্রি হচ্ছে। পাশাপাশি তিনি টমেটোসহ বিভিন্ন জাতের সবজি ফলিয়েছেন।
কৃষি পুরস্কার প্রাপ্ত রামধানা গ্রামের বেলাল আহমদ ইমরান বলেন, নিজ উপজেলার বেশ কয়েকজন যুবককে কৃষি কাজে আগ্রহী করে তুলেছেন। যারা বর্তমানে কৃষি কাজে নিজেকে নিয়োজিত করেছেন তারা শিক্ষিত, মেধাবী। তিনি আশা করছেন কিছু দিনের ভিতরে বিশ্বনাথের বেকার যুবকেরা কৃষি কাজে জড়িয়ে পড়বেন এবং বিশ্বনাথকে এগিয়ে নিয়ে যাবেন।
ডাক্তার শানুর আলী মামুন বলেন, ক্যাপসিকাম শরীরের ব্যথা, মাথা ব্যাথা বিভিন ধরনের চামড়ার সমস্যায় বেশ উপকারী। তিনি বলেন, ক্যাপসিকাম ব্যথা উপশম কারী হিসেবে প্রাকৃতিক উপদান হিসেবে কাজ করে। প্রচুর পরিমানে ভিটামিন সি ও এ রয়েছে।
উপজেলা কৃষি অফিসার আলী নূর রহমান বলেন, কয়ছরউদ্দিন, জাবের হোসেন ও নিজামউদ্দিন আমাদের সাথে যোগাযোগ করলে আমরা সব সময় পরাপর্শ ও বিভিন্ন প্রদশর্নী দিয়ে সহযোগিতা করব। কৃষি প্রধান বাংলাদেশে কৃষির মূল্যায়ন করে বিশ্বনাথের তিন যুবক কৃষি কাজে আসায় আমরা তাদের প্রতি সন্তুুষ্ঠ।
বিশ্বনাথ উপজেলা নির্বাহী অফিসার অমিতাভ পরাগ তালুকদার বলেন, বর্তমান প্রজন্মের যুবকদের মাধ্যমে দেশ আরও এগিয়ে যাবে বলে আমি মনে করি।
from সিলেট – দ্যা গ্লোবাল নিউজ ২৪ http://ift.tt/2FcTqAo
February 19, 2018 at 11:43AM
0 মন্তব্য(গুলি):
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন