সুরমা টাইমস ডেস্ক ঃঃ
খালেদা জিয়া দেশের সাবেক তিনবারের প্রধানমন্ত্রী এবং বিএনপির চেয়ারপার্সন। বর্তমানে সংসদের বাহিরে থাকলেও দেশের এই বৃহত্তর দলটির জনসমর্থন তুঙ্গে। সাবেক এই প্রধানমন্ত্রী ঢাকা থেকে বিশাল শোডাউনসহ সিলেটে ওলিকুল শিরোমনী হযরত শাহজালাল (র.) ও হযরত শাহপনার (র.)-এর মাজার জিয়ারত করেন। ঢাকা থেকে যাত্রা শুরু করার পর থেকেই পথে পথে সুশৃংখলভাবে তাঁকে স্বাগত জানান দলের নেতাকর্মীরা। কিন্তু সিলেটে পৌঁছার পর দেখো যায় ব্যতিক্রম চিত্র।
সাবেক এই প্রধানমন্ত্রীর সিলেট পৌঁছার পর ছিলনা কাংখিত জনসমাগম। সব জায়গায় ছিল বিশৃংখলা। তিনি চন্ড্রিপুল অতিক্রম করার সময় নেতাকর্মীদের বিশৃংখলার কারনে একটি নিউজপোর্টালের ক্যামেরা পার্সন তাঁর গাড়ির নিচে চাপা পড়েন। সার্কিট হাউজে প্রবেশের সময় গেইটে ব্যপক বিশৃংখলা হয়। এমনকি হযরত শাহজালাল (র.) এর মাজারে দেখা দেয় চরম বিশৃংখলা। নিরাপত্তা বেস্টনি ভেঙ্গে ফেলেন দলটির নেতাকর্মীরা। এসময় কর্তব্যরত সাংবাদিকরাও হয়রানীর শিকার হন।
দলের এক নেতা সাংবাদিকদের সাথে বাকবিতােন্ডে জড়িয়ে পড়েন। এক পর্যায়ে বিএনপি চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা খন্দকার আব্দুল মুক্তাদির উপস্থিত সাংবাদিকদের সরিয়ে দেয়ার চেষ্টা করেন, তবে তিনি সফল হননি। সাবেক এই প্রধানমন্ত্রী মাজার জিয়ারত শেষে বেরিয়ে যাওয়ার সময় মূল ফটকের সমনে ধাক্কা ধাক্কিতে এক পর্যায়ে খালেজা জিয়ার উপরও মানুষ পড়ে যাওয়ার উপক্রম হন। সিএসএফ সদস্যরা তাকে রক্ষা করেন। আর এত কিছুর পরও জেলা ও মহানগর বিএনপির কোন নেতাকে শৃংখলা ফিরিয়ে আনার চেষ্টা করতে দেখা যায়নি। সবাই দলের চেয়ারপার্সনকে নিজেদের চেহারা দেখাতে ব্যস্ত ছিলেন।
বিএনপির তৃণমূলের একাধিক কর্মী নাম প্রকাশ না করার শর্তে নেত্রী সিলেট সফর করবেন এনিয়ে দলের পক্ষ থেকে উল্লেখযোগ্য কোন প্রচার প্রচারনা ও নির্দেশনা ছিলনা। যা জনসমাগম হয়েছে তা মুখে মুখে প্রচারেই হয়েছে। ভালো করে প্রচারনা করলে আরো জনসমাগম সম্ভব হতো।
বিষয়টি নিয়ে কথা বলতে সিলেট জেলা ও মহানগর বিএনপির একাধিক নেতার সাথে যোগাযোগ করা হলেও মন্তব্য পাওয়া যায়নি।
from Sylhet News | সুরমা টাইমস http://ift.tt/2nLQAdn
February 06, 2018 at 01:21PM
0 মন্তব্য(গুলি):
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন