কলকাতা, ২৪ ফেব্রুয়ারি- একবারে অনেকগুলো টাকার লাভের হাতছানির জন্যই জীবনের ঝুঁকি নেয় গোবিন্দ রাহার মতো সোনা পাঁচারকারীরা৷কেজিতে তিন লক্ষ! এক্ষেত্রে ঝুঁকি বলতে শুধু গ্রেফতারের ভয় নয়৷ ঝুঁকি প্রাণহানির৷ চোরাপথে আসা সোনার বিস্কুট সীমান্ত পার করাতে গিয়ে প্রাণহানির আশঙ্কা রয়েছে৷ যে কোনও সময় ছুটে আসতে পারে বিএসএফের গুলি৷ নাহলে চোরাপাচারকারী হিসেবে পুলিশ কিংবা কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থার হাতে গ্রেফতারের আশঙ্কা তো রয়েইছে৷ কিন্তু সবকিছুকে উপেক্ষা করে মোটা টাকা লাভের আশায় সবরকম ঝুঁকি নিতে প্রস্তুত সোনার পাচারকারীরা৷ কিন্তু কেন এতবড় ঝুঁকি নেয় পাচারকারীরা? পুলিশি জেরায় ধৃত গোবিন্দ জানিয়েছে, অর্ডার অনুযায়ী ২২ ক্যারেট সোনার বিস্কুট এনে কলকাতার সোনা ব্যবসায়ীদের হাতে তুলে দিতে পারলেই কেজি প্রতি তিন লক্ষ টাকা মেলে৷ তবে সোনা পৌঁছে দেওয়ার সঙ্গেসঙ্গেই সেই টাকা মেলে না৷ পরে নগদ টাকা নিরাপদ স্থানে পৌঁছে যায় পাচারকারীর হাতে৷ বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই সোনা পাচারের সঙ্গে একাধিক লোক জড়িত থাকে৷ তাই টাকা ভাগ হয়ে যায়৷ কিন্তু ভাগ হওয়ার পরেও মাথাপিছু যে টাকা মেলে তার পরিমাণও অনেক বেশি৷ তাই কড়া নজরদারি থাকা সত্ত্বেও তাতে ফাঁকি দিয়েই সবসময় সক্রিয় সোনা পাচারের চক্র৷ প্রসঙ্গত, বেআইনিভাবে সোনা পাচারের অভিযোগে বৃহস্পতিবার বড়বাজার থানার পুলিশ গোবিন্দকে গ্রেফতার করে৷ ধৃতের থেকে ২০ পিস সোনার বিস্কুট উদ্ধার হয়েছে৷ ওজন দুকেজির বেশি৷ গোটা পরিমাণ সোনার বাজারদর ৭০ লক্ষ টাকা৷ গত ১৫ দিনে এভাবেই তিনবার বড়বাজার এলাকায় পাচার হওয়া সোনা এনেছে বলে জানতে পেরেছে পুলিশ৷ তার আগেও একাধিকবার সোনা পাচার করেছে বলে জেরায় জানতে পেরেছে পুলিশ৷ প্রত্যেকবারই মোট দুথেকে তিন কেজি ওজনের সোনা পাচার করেছে বলে জেরায় স্বীকার করেছে গোবিন্দ৷ গোবিন্দর মতোই আরও অনেক পাচারকারী কলকাতার বিভিন্ন এলাকায় সোনা পাচার করছে বলে খবর রয়েছে পুলিশের হাতে৷ তাদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে৷ আরও পড়ুন: ভারতজুড়ে বিনম্র শ্রদ্ধায় ভাষা শহীদদের স্মরণ তদন্তকারীরা জেনেছে, সোনা এদেশে পাচার হওয়ার পর এই চক্রের কারবারিরা শরীরের বিভিন্ন জায়গায় সেলোটেপ দিয়ে সোনার বিস্কুট আটকে নিয়ে কলকাতার উদ্দেশ্যে রওনা দেয়৷ আবার প্যান্টের ভিতরেও একইভাবে সোনা আটকে নেয়৷ তারপর ট্রেন-বাস-সহ একাধিক গাড়ি করে কলকাতায় সোনার বিস্কুট পৌঁছে দেয়৷ কেউ যাতে তাদের ওপর নজর না রাখতে পারে সেজন্য বিভিন্ন সময় বিভিন্ন রুটে যাতায়াত করে৷ আরও পড়ুন: ভারতের নাগরিককে বাংলাদেশি আখ্যা দেওয়া হলে তার থেকে অপমানজনক আর কিছু নেই পুলিশ জানিয়েছে, বৈধ পথে সোনার বিস্কুট আনতে হলে ব্যবসায়ীদের অনেক টাকা শুল্ক দিতে হয়৷ ফলে লাভ কমে যায়৷ কিন্তু চোরাপথে সোনা আনতে পারলে ব্যবসায়ীদের কোনও ঝুঁকি নেই৷ উল্টে মুনাফা অনেক বেশি থাকে৷ সেজন্যই সোনা ব্যবসায়ীরাও পাচারকারীদের উপর ভরসা করে থাকে৷ তথ্যসূত্র: কলকাতা২৪৭ এআর/০৯:৪৮/২৪ ফেব্রুয়ারি
from First Bangla interactive newspaper - Deshe Bideshe http://ift.tt/2FuysNq
February 24, 2018 at 04:04PM
এতে সদস্যতা:
মন্তব্যগুলি পোস্ট করুন (Atom)
0 মন্তব্য(গুলি):
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন