চট্টগ্রাম, ০৪ ফেব্রুয়ারি- চট্টগ্রাম টেস্টের পঞ্চম দিন ৭ উইকেট নিয়ে কাটিয়ে দেওয়ার চ্যালেঞ্জ ছিল বাংলাদেশের সামনে। দুই উইকেট হারিয়ে দিন পার করে দিয়েছে স্বাগতিকরা। শুরুতে পথ দেখিয়েছেন বাংলাদেশের প্রথম ব্যাটসম্যান হিসেবে টেস্টের দুই ইনিংসে সেঞ্চুরি করা মুমিনুল হক ও লিটন দাস। দায়িত্বশীল ব্যাটিংয়ে শেষ করেছেন মাহমুদউল্লাহ ও মোসাদ্দেক হোসেন। দারুণ লড়াই করে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে চট্টগ্রাম টেস্ট ড্র করেছে বাংলাদেশ। মুমিনুল হক ও লিটন দাস জুটি ভাঙলেও স্বাগতিকদের লিড ছাড়িয়েছে শত রান। দ্বিতীয় ইনিংসে স্বাগতিকদের সংগ্রহ ছিল ১০০ ওভারে ৫ উইকেটে ৩০৭ রান। মোসাদ্দেক হোসেন ক্রিজে ছিলেন ৮ রানে ও মাহমুদউল্লাহ ২৮ রানে। বাংলাদেশের লিড ছিল ১০৭ রান। শেষ দিনটায় তৃপ্তি থাকলেও আগের দিন হতাশায় মোড়ানো ছিল বাংলাদেশের। ৩ গুরুত্বপূর্ণ উইকেট হারিয়ে ম্যাচের ফল নিয়ে উদ্বিগ্ন ছিল স্বাগতিকরা। তাই শেষ দিন ভিন্ন ইতিহাস রচনার প্রয়োজন ছিল। যা করে দিয়ে গেছেন মুমিনুল হক। এক সময় ইনিংস পরাজয়ের শঙ্কায় থাকা বাংলাদেশকে লিডের ভিত্তি গড়ে দিয়েছেন মুমিনুল। আর সেই ভিত্তি গড়তে রেকর্ডবুকটাও নতুন করে লিখেছেন। টানা দুই ইনিংসে সেঞ্চুরির রেকর্ড গড়া ছাড়াও এখন এক টেস্টে সর্বাধিক রানের মালিক এখন মুমিনুল। এমন ঐতিহাসিক দিনে প্রথম সেশনটা দাপটের সঙ্গে শেষ করেন মুমিনুল হক ও লিটন দাস জুটি। প্রথম সেশনে হাফসেঞ্চুরি পূরণ করেন মুমিনুল। মধ্যাহ্নভোজনের পর ক্যারিয়ারের তৃতীয় হাফসেঞ্চুরি তুলে নেন লিটন দাস। দাপটের সঙ্গে প্রথম সেশন পার করা জুটি ২৮.১ ওভারে বিনা উইকেটে করে ১০৬ রান। এর আগে সকালটা ৩ উইকেটে ৮১ রান নিয়ে শুরু করেছিল বাংলাদেশ। পঞ্চম ও শেষ দিন বলেই শুরুটা দেখে শুনে করেছিলেন আগের ইনিংসের সেঞ্চুরিয়ান মুমিনুল হক ও লিটন দাস। ধীরে ধীরে প্রতিরোধের দেয়াল লম্বা করতে থাকে এই জুটি। এক সময় পিচে আঠার মতোই লেগে ছিলেন দুই ব্যাটসম্যান। কিন্তু ১৮০ রানের বিশাল এই জুটি ভেঙে দিয়েছেন ধনঞ্জয়া ডি সিলভা। ক্যারিয়ারের ষষ্ঠ সেঞ্চুরি তুলে নেওয়া মুমিনুলকে ৭৮তম ওভারে ফেরান সাজঘরে। প্রথম স্লিপে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন মুমিনুল। ফেরার আগে করেন ১০৫ রান। তার দায়িত্বশীল ১৭৪ বলের ইনিংসে ছিল ৫টি চার ও দুটি ছয়। এরপর ৯৪ রানে নড়বড়ে নব্বইয়ে ফেরেন লিটন দাস। রঙ্গনা হেরাথের বলে ছয় মেরে পূরণ করতে চেয়েছিলেন সেঞ্চুরি। মিড অফে তার ক্যাচ লুফে নিতে ভুল করেননি দিলুরুয়ান পেরেরা। তার ১৮২ বলের ইনিংসে ছিল ১১টি চার। আরও খবর:একই টেস্টে দুই সেঞ্চুরি করা প্রথম বাংলাদেশি মুমিনুল অবশ্য রেকর্ডময় দিনের ৪৮তম ওভারে চিন্তার ভাঁজ পড়ে গিয়েছিল বাংলাদেশ শিবিরে। আচমকা হেলমেটে আঘাত পান মুমিনুল। কুমারার শর্ট বল ঠিকমতো বুঝতে পারেননি। বল এসে লাগে হেলমেটে। অবশ্য কোনও বিপদের মধ্যে পড়তে হয়নি তাকে। এরপরেই এক টেস্টে সর্বাধিক রানের রেকর্ড নিজের করে নেন বাঁহাতি ব্যাটসম্যান। ২৩১ রান করে এক টেস্টে সর্বাধিক রান নিয়ে এতদিন শীর্ষে ছিলেন তামিম ইকবাল। পাকিস্তানের বিপক্ষে ২০১৫ সালে এই রেকর্ড গড়েছিলেন। এবার শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে তামিমকে টপকে শীর্ষে চলে এসেছেন মুমিনুল। ম্যাচসেরাও হয়েছেন বাঁহাতি এই ক্রিকেটার। সূত্র:বাংলা ট্রিবিউন এমএ/০৩:৪৯/০৪ জানুয়ারি
from First Bangla interactive newspaper - Deshe Bideshe http://ift.tt/2GNtE6o
February 04, 2018 at 09:54PM
এতে সদস্যতা:
মন্তব্যগুলি পোস্ট করুন (Atom)
0 মন্তব্য(গুলি):
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন