সুরমা টাইমস ডেস্ক :: রাষ্ট্রভাষা আন্দোলনের চুড়ান্ত পর্যায় শুরু হয় ১৯৫২ সালে। ঢাকায় তখন এর নেতৃত্বে ছিল তমদ্দুন মজলিস। তাদের সাংগঠনিক তৎপরতা দিন দিন বাড়তে থাকে। এক পর্যায়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের নিয়ে গঠিত হয় সর্বদলীয় রাষ্ট্রভাষা সংগ্রাম পরিষদ।
ঢাকার সাথে সাথে সিলেটেও শুরু হয় যুগপৎ আন্দোলন। ঢাকা থেকে যে কর্মসূচি ঘোষণা হতো সিলেটে তা পালন হতো স্বতঃস্ফুর্তভাবে। এই আন্দোলনকে আরও বেগবান করতে সিলেটেও সর্বদলীয় রাষ্ট্রভাষা কর্মপরিষদ গঠন করা হয়। এর আহ্বায়ক ছিলেন পাীর হবিবুর রহমান।
অন্য সদস্যরা হলেন সপ্তাহিক ‘নওবেলাল’ সম্পাদক মাহমুদ আলী, মিসেস হাজেরা মাহমুদ, সিলেট জেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি নরুর রহমান, রিকশা শ্রমিক ইউনিয়ন নেতা মতছির আলী, হজরত শাহজালাল (র.) দরগাহ শরীফের মোতাওয়াল্লী এ জেড আব্দুল্লাহ, সপ্তাহিক ‘নওবেলাল’ সহ সম্পাদক সা’দত খান, অ্যাডভোকেট মনির উদ্দিন আহমদ, আব্দুর রহীম লালবারী, মাওলানা শাখাওয়াতুল আম্বিয়া ও মুহিবুর রহমান (ছন্দু মিয়া)। ভাষা আন্দোলন তখন তুমুল বেগবাগবান স্রোতধারার মতো ছড়িয়ে পড়ছিল বাংলার তরুন-যুবা, ছাত্র-ছাত্রীর মধ্যেও।
যথারীতি ব্যতিক্রম ছিলনা সিলেট অঞ্চল। এ অঞ্চলের শিক্ষার্থীরাও তখন বাংলার পক্ষে তাদের তৎপরতা শুরু করেন। এই ছাত্রদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য আছদ্দর আলী, তারা মিয়া, আবুল বশর, আব্দুল মোক্তাদির চৌধুরী, নুরুল ইসলাম, রেজাউল করীম, খোন্দকার রুহুল কুদ্দুস, আব্দুল মজিদ, আহমদ উজ-জামান, বাহা উদ্দিন আহমদ প্রমুখ।
তখনও বেগম জোবেদা খানম (রহীম) চৌধুরীর নেতৃত্বে সিলেটের সচেতন মহিলারা সক্রিয় ছিলেন। তাদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য সৈয়দা শাহার বানু চৌধুরী, লুৎফুন্নেসা বেগম, সৈয়দা নজিবুন্নেছা, রাবেয়া খাতুন, রাবেয়া আলী প্রমুখ।
from Sylhet News | সুরমা টাইমস http://ift.tt/2G67Xx1
February 12, 2018 at 12:45PM
0 মন্তব্য(গুলি):
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন