ঢাকা, ০৪ ফেব্রুয়ারি- কোচ চন্ডিকা হাথুরুসিংহে যুগের আগ পর্যন্ত বাংলাদেশ দলের অন্যতম সেরা ব্যাটসম্যানই ছিলেন মুমিনুল হক। তবে টাইগারদের দায়িত্ব নেওয়ার পরই শুরুতেই তার নানা খুত ধরতে শুরু করেন হাথুরু। দল থেকে বাদ দেওয়ার কোন কমতিই রাখেননি। ফলে তার প্রভাব পরে মুমিনুলের ব্যাটিংয়ে। তবে হাথুরুসিংহে যুগ শেষ হতেই আবারো চেনা ছন্দে তিনি। হাথুরুর কাছ থেকে পাওয়া এ অবহেলায় মানসিক দৃঢ়তা বেড়েছে বলে মনে করেন পকেট রকেট মুমিনুল। প্রথম ইনিংসে লঙ্কানরা লিড নিয়েছিল ২০০ রানের। এরপর বাংলাদেশকে ব্যাট করতে দেয় প্রায় শেষ চার সেশন। শেষ দিকে কাজটা বেশ কঠিনই ছিলো টাইগারদের জন্য। তার উপর আগের দিনেই হারিয়ে ফেলে ৩টি উইকেট। সেখান থেকে লিটন কুমার দাসকে নিয়ে দলের সকল চাপ সামলে নেন মুমিনুল। ১০৫ রানের ইনিংস খেলে ম্যাচ বাঁচান এ ক্রিকেটার। তবে শুধু এ ইনিংসেই নয়, প্রথম ইনিংসেও করেছিলেন ১৭৬ রান। অথচ হাথুরুর যুগে কতো অবহেলিতই না ছিলেন মুমিনুল। বাংলাদেশে এসেই প্রথমেই ছাঁটতে চেয়েছেন তাকে। শুরুটা করেন ওয়ানডে ও টি-টুয়েন্টি দিয়ে। যদিও অধিনায়ক মাশরাফি বিন মুর্তজার জেদে কিছু দিন টিকে ছিলেন ওয়ানডেতে। তবে শেষ রক্ষা করতে পারেননি। মাশরাফিকে না জানিয়েই তাকে বাদ দেন হাথুরু। ট্যাগ লাগিয়ে দেন টেস্ট স্পেশালিষ্ট হিসেবে। তবে শ্রীলঙ্কা সফরে বাদ দেন শততম টেস্টের একাদশ থেকেও। অভিযোগ অফস্পিন খেলতে পারেননা তিনি। অস্ট্রেলিয়া ও দক্ষিণ আফ্রিকা সিরিজের আগে বাদ দেন। তবে মোসাদ্দেকের ইনজুরিতে ফিরেছিলেন দলে। আর হাথুরুর এ অবহেলাতেই নিজেকে প্রমাণের জেদ কাজ করেছিল মুমিনুলের। কঠিন পরিশ্রম করেছেন। ত্রিদেশীয় সিরিজের সময়ে গুরু মোহাম্মদ সালাহউদ্দিনের অধীনে একাগ্রে কাজ করেন বিকেএসপিতে। টেকনিক্যাল কিছু পরিবর্তন আনেন। যা করার দায়িত্ব ছিলো হাথুরুর। কিন্তু করেননি। সালাহউদ্দিনের অধীনে কাজ করে নিজেকে ফিরে পান তিনি। ফলে মানসিক দৃঢ়তাও বাড়ে মুমিনুলের। মুমিনুলের ভাষায়, আমার কাছে মনে হয় আমার জীবনের জন্য ওই জিনিসটা খুব গুরুত্বপূর্ণ ছিল। আপনারা কীভাবে ভাবেন জানি না তবে আমার কাছে মনে হয় এটা আমার জীবণে গুরুত্বপূর্ণ ছিল। আমার মানসিকতার একটা বদল এসেছে, পরিশ্রমটা আরও বাড়ছে। আরও খবর: ট্রাম্পকে গালি দেয়ায় যুক্তরাষ্ট্রের ভিসা পেলেন না ম্যারাডোনা আর তাই যদি হয় সাপেবরই হয়েছে মুমিনুলের জন্য। বাংলাদেশের হয়ে প্রথম ক্রিকেটার হিসেবে এদিন করলেন দুই ইনিংসেই সেঞ্চুরি। মাঠে তার ক্ষুধা দেখে মনে হয়নি এখানেই থেমে যাওয়ার পাত্র তিনি। হয়তো আরও অনেক বড় বড় কীর্তি গড়ার অপেক্ষাতেই আছেন এই পকেট রকেট ক্রিকেটার। তথ্যসূত্র: পরিবর্তন এআর/২১:৪৮/০৪ ফেব্রুয়ারি
from First Bangla interactive newspaper - Deshe Bideshe http://ift.tt/2GPJdKD
February 05, 2018 at 03:47AM
এতে সদস্যতা:
মন্তব্যগুলি পোস্ট করুন (Atom)
0 মন্তব্য(গুলি):
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন