চুনারুঘাটে মাকে বেঁধে রেখে মেয়েকে ‘গণধর্ষণ’

ডেস্ক রিপোর্টঃ হবিগঞ্জের চুনারুঘাটে ঘরে ঢুকে মাকে বেঁধে রেখে মেয়েকে গণধর্ষণ করা হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। নির্যাতিত কিশোরী ও তার মাকে হবিগঞ্জ সদর আধুনিক হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

শনিবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) ভোরে উপজেলার গাজীপুর ইউনিয়নে এ ঘটনা ঘটে। তবে মারধরের ঘটনা ঘটলেও ধর্ষণের কোনো ঘটনা ঘটেনি বলে দাবি করেছে পুলিশ।

ধর্ষিতার পরিবার অভিযোগ করেছে, বেশকিছু দিন ওই কিশোরীকে উত্ত্যক্ত করে আসছিল একই গ্রামের মিজান মিয়া ও ফজুল হক নামে দুই বখাটে। এছাড়া বেশ কয়েকবার তাকে কু-প্রস্তাব দেয়া হয়।

শনিবার ভোর রাতে বাবা বাড়িতে না থাকার সুযোগে কিশোরীর বাড়িতে ঢুকে মিজান ও ফজুল হকসহ কয়েকজন। এ সময় তারা ওই কিশোরীকে হাত-পা বেঁধে ধর্ষণের চেষ্টা চালালে তার চিৎকার শুনে মা এগিয়ে আসেন।

এ সময় দুর্বৃত্তরা মাকে বেধড়ক মারধর করার পর হাত-পা বেঁধে পাশের একটি রুমে আটক করে রাখে। পরে ওই কিশোরীকে পালাক্রমে ধর্ষণ করে পালিয়ে যায় দুর্বৃত্তরা।

বিষয়টি জানতে পেরে স্থানীয়রা মা-মেয়েকে উদ্ধার করে হবিগঞ্জ সদর আধুনিক হাসপাতালে নিয়ে যায়। বর্তমানে হাসপাতালে তাদের চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে।

হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসক দেবাশীষ রায় বলেন, ধর্ষণের অভিযোগে এক তরুণীকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তার গায়ে আঘাতের চিহ্ন থাকলেও তিনি ধর্ষিত হয়েছেন কি না তার পরীক্ষা নিরীক্ষার পর বোঝা যাবে।

আহত অবস্থার তার মাকেও ভর্তি করা হয়েছে বলে জানান তিনি। তবে মারধরের ঘটনা ঘটলেও ধর্ষণের কোনো ঘটনা ঘটেনি বলে পুলিশের ভাষ্য। পরিবারের অভিযোগ, বেশ কিছু দিন ধরে মেয়েটিকে বিভিন্নভাবে উত্ত্যক্ত করে আসছে একই গ্রামের মিজান মিয়া ও ফজুল হক। এছাড়াও বেশ কয়েকবার তাকে অশালীন প্রস্তাব দেয়।

এ ঘটনায় এলাকায় তোলপাড় সৃষ্টি হয়েছে। এদিকে, পুলিশ ও পরিবারের লোকজনের পাল্টাপাল্টি বক্তব্য নিয়ে এলাকায় মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে।

ধর্ষিতার বাবা বলেন, আমার মেয়েকে উত্ত্যক্ত করে আসছিল মিজান ও ফজুল। শনিবার রাতে আমি বাড়িতে না থাকায় এ সুযোগে আমার মেয়েকে হাত-পা বেঁধে ধর্ষণ করে। এ সময় আমার স্ত্রী তাদেরকে বাধা দিলে তাকেও পিটিয়ে আহত করে।

এদিকে, চুনারুঘাট থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কে এম আজমিরুজ্জামান জানান, তারা একে-অপরের আত্মীয়। নিজেদের মধ্যে জমিজমা নিয়ে বিরোধ আছে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে পুলিশ।

তিনি বলেন, ইউপি চেয়ারম্যানসহ স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলে ধর্ষণের কোনো সত্যতা পাওয়া যায়নি। তবে তাদেরকে মারধর করা হয়েছে। বাবা-মা দাবি করছেন মেয়েকে ধর্ষণ করা হয়েছে। পরীক্ষা-নিরীক্ষা পর আমরা সেই অনুযায়ী ব্যবস্থা নেব বলে জানান ওসি।



from Sylhet News | সুরমা টাইমস http://ift.tt/2CjY4ht

February 25, 2018 at 12:24PM

0 মন্তব্য(গুলি):

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

 
Top