সিলেট সদর উপজেলার এয়ারপোর্ট থানাধীন ছালিয়া এলাকায় জেলা প্রশাসকের নির্দেশ অমান্য করে বাংলাদেশ ওয়াকফ এস্টেটের জমি গ্রাস করার পাঁয়তারা চলছে বলে অভিযোগ ওঠেছে। আজ মঙ্গলবার (৬ই ফেব্রুয়ারি) দুপুরে সিলেট জেলা প্রেসক্লাবে ছালিয়া এলাকাবাসী সংবাদ সম্মেলনে এ অভিযোগ করেন। সংবাদ সম্মেলনে এলাকাবাসীর পক্ষে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন মো. গোলাম কিবরিয়া পিনু।
লিখিত বক্তব্যে তিনি জানান-সিলেট সদর উপজেলার এয়ারপোর্ট থানার খাদিমনগর ইউনিয়নের ছালিয়া মৌজার ২৫ নম্বর খতিয়ানের ৩৬৭ নম্বর দাগে ২৩.৪৬ একর জমি সৌদিয়া ওয়াকফ ( ইসি নং- ১৩৪৪২) এস্টেটের রেকর্ডভুক্ত। বর্তমানে একটি ভূমিখেকো চক্র দুর্নীতিবাজ ওয়াকফ মোতাওয়াল্লি এইচ এম হামিদ বক্ত মজুমদারের সঙ্গে গোপন আঁতাত করে পুরো সম্পত্তি গ্রাস করার অপচেষ্টায় লিপ্ত রয়েছে।
হামিদ বক্ত মজুমদার সম্পূর্ণ বেআইনিভাবে জালজালিয়াতির আশ্রয় নিয়ে ছালিয়া মৌজার এই ওয়াকফ এস্টেটের কিছু জমি মুকিত গংদের কাছে বিক্রি করে কয়েক কোটি টাকা হাতিয়ে নেন। পরে মুকিত গংরা ওই জমি রাখতে না পেরে ছায়ারুন্নেছা গংদের কাছে বিক্রি করেন। বর্তমানে ভূমিখেকো চক্রের মূলহোতা নগরীর বাগবাড়ির নরসিংটিলার ১৩৮ নম্বর বাসার বাসিন্দা গোলাপ মিয়া ওই জমি কিনেছেন বলে দাবি করছেন।
যদিও তার নামে কোনো বৈধ নামজারি নেই। গোলাপ মিয়া ২০১৪ সাল থেকে ওই জমিতে মদিনা সিএনজি ফিলিং স্টেশন স্থাপনের নামে দখলের জন্য মাটি ভরাটের অপচেষ্টা করেন। একই সঙ্গে জালালাবাদ গ্যাসের কাছে গ্যাস সংযোগ পেতে আবেদন করেন তিনি। ২০১৪ সালের ২রা সেপ্টেম্বর এলাকার পক্ষ থেকে বাংলাদেশ ওয়াকফ কর্তৃপক্ষকে এই জমি বেহাত হওয়ার ব্যাপারে অবগত করেন এলাকাবাসী। কয়েক দফা চিঠি চালাচালিতে জালালাবাদ গ্যাস ওই ভমিখেকোদের সেখানে গ্যাস সংযোগ দেওয়া থেকে বিরত থাকে।
২০১৫ সালের ৩রা আগস্ট সিলেটের জেলা প্রশাসকের কাছে চিঠি দিয়ে বাংলাদেশ ওয়াকফ জানায়, তাদের জমিতে কোনো স্থাপনার অনাপত্তিপত্র যেন না দেওয়া হয়। এরফলে পূর্বেই দেওয়া অনাপত্তিপত্র বাতিল করে সিলেটের জেলা প্রশাসন। এরআগে এলাকাবাসী এক চিঠির মাধ্যমে বাংলাদেশ ওয়াকফ কর্তৃপক্ষকে জানান, তাদের জমি নামজারি করার চেষ্টাও করছে ভূমিখেকোরা। পরে বাংলাদেশ ওয়াকফ কর্তৃপক্ষের চিঠি পেয়ে সিলেট সদর সহকারী ভূমি কমিশনার ওই চক্রের নামজারি আবেদন বাতিল করেন।
সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, গত বছরের ২০শে সেপ্টেম্বর এ ব্যাপারে গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশ হলে সিলেটের জেলা প্রশাসন খবর পেয়ে ওই দিন ঘটনাস্থলে একজন প্রতিনিধি পাঠিয়ে দখলকাজ বন্ধ রাখতে নির্দেশ দেয়। একপর্যায়ে নির্বাহি ম্যাজিস্ট্রেট গিয়ে ওয়াকফ এস্টেটের জমির দখল কাজ বন্ধ করেন। দীর্ঘ ৪ মাস কাজ বন্ধ রাখার পর চলতি বছরের গত ১লা ফেব্রুয়ারি আবারো ওই চক্রটি সেখানে সাইনবোর্ড গেড়ে ‘শীঘ্রই মদিনা ফিলিং স্টেশন উদ্বোধন’ লিখে দখলের পাঁয়তারা করছে।
এ ব্যাপারে এলাকাবাসী আবারো নতুন করে সিলেটের জেলা প্রশাসককে লিখিতভাবে অবগত করেছেন। কিন্তু এখনো কোনো ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়নি। তাই এ সম্পত্তি রক্ষার জন্য জেলা প্রশাসকের কাছে দাবি জানিয়েছেন এলাকাবাসী। সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন ছালিয়া গ্রামের জহির আহমেদ, সোলেমান মিয়া, বাবুল মিয়া, সাব্বির মিয়া ও লায়েক মিয়া।–বিজ্ঞপ্তি
from Sylhet News | সুরমা টাইমস http://ift.tt/2BJoTvi
February 06, 2018 at 08:27PM
0 মন্তব্য(গুলি):
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন