সুরমা টাঈমস ডেস্ক ::‘ভাই আমি ফাঁসি দিলাম, লাশটা বাড়িত নিয়া যাইস’ ভাইয়ের কাছে এমন ম্যাসেজ পাঠিয়ে ব্লেড দিয়ে শরীর কেটে আত্মহননের চেষ্টা চালিয়েছেন এসএমপি’র মহিলা কনস্টেবল পপি রাণী দাস। শনিবার রাত সোয়া ১টায় সিলেট নগরীর আম্বরখানা মনিপুরী পাড়ার বাসা থেকে শনিবার রাতে রক্তাক্ত ও অচেতন অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে। এ সময় সেখানে উৎসুক মানুষের ভিড় জমে।
পারিবারিক সূত্র জানায়, সিলেট কেন্দ্রীয় কারাগারে কারারক্ষী রিপন চন্দ্র দাসের সাথে ৯ মাস আগে বিয়ে হয় পপির। গত চার মাস ধরে তারা আম্বরখানা মণিপুরী পাড়ার আলো ১/১১ নম্বর বাসায় তৃতীয় তলায় বসবাস করছেন। পপি রাণী এসএমপি’র কনস্টেবল হিসাবে আদালত পাড়ায় দায়িত্ব পালন করতেন। হবিগঞ্জের মাধপুর উপজেলার দীঘলবাক গ্রামে এ দম্পতির বাড়ি।
সিলেট সিটি কর্পোরেশনের প্যানেল মেয়র-১ ও ৪ নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর রেজাউল হাসান কয়েস লোদী জানান, ওই কনস্টেবল তালাবদ্ধ বাসায় ব্লেড দিয়ে নিজেই নিজের শরীর রক্তাক্ত করেন। খবর পেয়ে রাত ১টায় আম্বরখানা পুলিশ ফাঁড়ির এস আই দেবাশীষের নেতৃত্বে একদল পুলিশ ঘটনাস্থলে আসে। কাউন্সিলর ও পুলিশের উপস্থিতিতে বাসার দুটি দরজা ভেঙ্গে বিছানার ওপর থেকে রক্তাক্ত ও অচেতন অবস্থায় পাওয়া যায় পপিকে। এরপর তাকে ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। ঘটনাস্থল থেকে ব্লেড উদ্ধার করা হয়েছে বলে জানান তিনি। এ সময় বাসার মেঝে ছিল রক্তাক্ত।
from Sylhet News | সুরমা টাইমস http://ift.tt/2C9j22u
February 18, 2018 at 05:15PM
0 মন্তব্য(গুলি):
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন