রিয়াদ, ২২ মার্চ- বিশ্বের অন্যতম বিত্তশালী ও সর্বাধিক তেল উৎপাদনকারী দেশ সৌদি আরব অর্থনৈতিক ক্ষেত্রে নিজস্ব তেলনির্ভরতা কমাতে এবং দেশের অর্থনীতির ক্রমোন্নয়নের লক্ষ্যে ২০১৬ সালের এপ্রিল মাসে দেশটির মন্ত্রিসভায় ভিশন-২০৩০ নামে এক মহাপরিকল্পনার অনুমোদন করেছে। যাতে বলা হয়েছে, তেল নির্ভর অর্থনীতি থেকে বেরিয়ে আসা,প্রযুক্তিখাতে তরুণ নাগরিকদের কর্মসংস্থানে নতুন নতুন খাত তৈরি,নারীর ক্ষমতায়ন ও নাগরিকদের জীবনযাপনের ওপর কড়াকড়ি শিথিলের কথা। এরই ধারাবাহিকতায় ভিশন ২০৩০ বাস্তবায়ন ও সৌদি নাগরিকদের কর্মসংস্থান বাড়াতে দেশটিতে মোবাইল, বোরকার দোকান,রেন্টে কার,একাউন্টিং,নারীদের তৈরি পোশাকের দোকান, চশমা, ঘড়ি,বাড়ি বা গৃহ নির্মাণ সামগ্রী,গাড়ির যন্ত্রাংশ,গাড়ির শো রুম,বৈদ্যুতিক যন্ত্রপাতি ও বিদ্যুৎ চালিত সামগ্রী,হাসপাতালে ব্যবহৃত সরঞ্জাম,চকলেট বা মিষ্টান্নের দোকান,রেডিমেড কাপড়ের দোকান,ক্রোকারিজ সামগ্রী,কার্পেট,ফার্নিচার বা ডেকোরেশন, শপিং মল, গার্লস স্কুল, ভাড়ী যানবাহন, ক্রেন চালনা ইত্যাদি প্রতিষ্ঠানে প্রবাসীদের কাজের ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে সৌদি শ্রম মন্ত্রণালয়। আরও পড়ুন: বিশ্বে ভিক্ষুকের শীর্ষে ভারত! এর বাহিরে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের উচ্চ পদগুলোতে সৌদি নাগরিক নিয়োগ দেয়ার বাধ্যবাধকতা আরোপ করা হয়। যার ফলে একাউন্টেন্ট, সেক্রেটারি, সেল্সম্যান, এডমিনিস্ট্রেটর, সেল্স ম্যানেজার, সেল্স সুপারভাইজার, ফাইন্যান্স ম্যানেজার, চিফ একাউন্টেন্ট, সিনিয়র একাউন্টেন্ট, অফিস ম্যানেজার, সেল্স অ্যাসিস্টেন্স, এডমিনিস্ট্রেশন ম্যানেজার, অফিস বয়, ড্রাইভার, রিসিপশনিস্ট, ওয়্যারহাউজ ম্যানেজার, ফোর্কলিফট অপারেটর, লজিস্টিক সুপারভাইজার পেশায় নিয়োজিত প্রবাসীরাও চাকরি হারাচ্ছেন। সৌদি সরকারের এ ধরণের সিদ্ধান্তে দেশটিতে প্রবাসীদের শ্রমবাজার সংকুচিত হবার আশঙ্কা করা হচ্ছে। এতে চরম দুশ্চিন্তায় পড়েছেন প্রবাসী বাংলাদেশিরা। প্রবাসীরা বলছেন, নতুন নতুন শ্রম বাজার সৃষ্টি করতে না পারলে আমাদের বিপুল পরিমাণ শ্রম শক্তিকে কাজে লাগানো সম্ভব হবে না। এ সম্ভাবনাকে কাজে লাগাতে না পারলে বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় ব্যাংকের রিজার্ভ বৃদ্ধিতেও নেতিবাচক প্রভাব পড়বে। আরও পড়ুন: বোকো হারাম মুক্তি দিল ১০১ স্কুলছাত্রীকে ক্ষতিগ্রস্থ প্রবাসীরা বলছেন, সৌদি সরকারের এই সিদ্ধান্তে বাংলাদেশি প্রবাসীরা সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হবে। এখন বাধ্য হয়ে আমাদের দেশে ফেরত যেতে হবে। আর দেশে গিয়ে যাতে তারা একটা কিছু করতে পারে সেজন্য বাংলাদেশ সরকারের উচিত একটি প্রত্যাবাসন প্রকল্প চালু করা। এ অবস্থায় সৌদি প্রবাসী বাংলাদেশী শ্রমিকরা পুনর্বাসনের ব্যাপারে দ্রুত বাংলাদেশ সরকারের সহায়তা চেয়েছেন। তথ্যসূত্র: বিডি প্রতিদিন এআর/১০:২৫/২২ মার্চ



from First Bangla interactive newspaper - Deshe Bideshe http://ift.tt/2DKCK0T
March 22, 2018 at 04:26PM

0 মন্তব্য(গুলি):

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

 
Top