ঢাকা, ২৬ মার্চ- নিদাহাস ট্রফি শেষ। এপ্রিল-মে দুইমাস একেবারেই বিশ্রাম টাইগারদের। এর মধ্যে আর কোনো আন্তর্জাতিক ম্যাচ নেই। এরপর আবার জুনে আফগানিস্তানের বিপক্ষে ভারতের দেরাদুনে তিন ম্যাচের সিরিজ খেলেবে টাইগাররা। আসন্ন এই সিরিজ উপলক্ষ্যে দলের সিনিয়রদের বিশ্রামে রাখার চিন্তা করছে বিসিবি। মূলত জুন থেকে টানা ব্যস্ত ক্রিকেট সূচির কথা ভেবেই এমন ভাবনা। দলের তরুণদের যাচাই করার উপলক্ষ্য। কিন্তু আফগানিস্তান মোটেও সহজ প্রতিপক্ষ নয়। এইতো সেদিন কঠিন পরিস্থিতি থেকে বিশ্বকাপ খেলা নিশ্চিত করেছে তারা। তাই, এমন এক লড়াকু দলের বিপক্ষে সিনিয়রদের অনুপস্থিতিতে জয় সম্ভব হবে কিনা সেটাই ভাবনার বিষয়। পঁচা শামুকেই পা কাটে। বহুল প্রচলিত এই প্রবাদটির বাস্তবতা বাংলাদেশ বার বার দেখেছে। এই আফগানিস্তান, নেপালের মতো তুলনামূলক ছোট দলের বিপক্ষে হেরে যাওয়ার বাজে স্মৃতিও আছে টাইগারদের। আফগানদের বিপক্ষে সিরিজটি নিয়ে দোলাচলে ছিল বিসিবি। যে দল বিশ্বকাপে সুযোগ না পাওয়ার পর্যায়ে চলে গেছে তাদের বিপক্ষে খেলে খুব একটা লাভ হবে কিনা এটা ভেবেই দ্বিধা ছিল। কিন্তু আফগানিস্তান তাদের লড়াকু মানসিকতার উদাহরণ দেখিয়ে কঠিন রাস্তা পেরোতে সক্ষম হয়েছে। বিশ্বকাপ বাছাইপর্বে তারা অনেকটা ভাগ্যের পরশ পেয়েছে সত্য। প্রথম তিন ম্যাচেই হেরে গ্রুপ পর্ব থেকেই ছিটকে যাওয়ার সম্ভাবনা ছিল দলটির। নেপাল, হংকং, স্কটল্যান্ডের মতো দলের কাছেও হেরেছে তারা। কিন্তু অবিশ্বাস্যভাবে ঘুরে দাঁড়ানোর রূপকথা রচনা করে অবশেষে বিশ্বকাপে জায়গা করে নিয়েছে আফগানরা। আয়ারল্যান্ডকে সুপার সিক্সের ম্যাচে ৫ বল বাকি থাকতে ম্যাচ জিতে বাঁধভাঙ্গা উল্লাসে মেতেছে যুদ্ধপীড়িত দেশটির ক্রিকেটাররা। যদিও এই পথে ভাগ্য সুপ্রসন্ন ছিল তাদের। আর তাদের সঙ্গে বিশ্বকাপের মঞ্চে হাজির হচ্ছে ওয়েস্ট ইন্ডিজও। চলতি বছরে অনেক খেলা থাকায় বিসিবির এমন সিদ্ধান্ত নেয়াটা হয়ত যৌক্তিক। তবে ভারতের অচেনা পরিবেশে আফগানিস্তানের বিপক্ষে এ টিম নিয়ে খেলে হেরে গেলে লজ্জায় পড়তে হবে। সেই দিক চিন্তা করলে আফগানিস্তানের বিপক্ষে সাকিব-তামিমদের বিশ্রাম দেয়াটা হবে আত্মঘাতী। আফগানিস্তানের বিপক্ষে দ্বিপাক্ষিক সিরিজে জাতীয় দলের সিনিয়র ক্রিকেটারদের বিশ্রাম দেয়া প্রসঙ্গে বিসিবির পরিচালক আকরাম খান বলেন, আফগানিস্তানের সঙ্গে সিরিজ শেষে এ দলের ট্যুর তারপর কিন্তু আমাদের অনেকগুলো খেলা আছে। সবকিছু মিলিয়ে আমরা কিছুদিন সময় নিচ্ছি। কী ধরনের টিম আমরা পাঠাবো সেটা আমাদের মাথায় আছে। হয়তবা আমরা আলোচনা করে কয়েকদিনের মধ্যে সিদ্ধান্ত নেব। আরও পড়ুন:বাংলাদেশের গায়ে যেন এ কলঙ্কের দাগ না লাগে! আফগান ক্রিকেটের উত্থানের গল্প সত্যিই রূপকথাকেও হার মানায়। অতি অল্প সময়েই পেয়েছে টেস্ট স্ট্যাটাস। অবিশ্বাস্য দ্রুততায় উন্নতির স্বীকৃতিস্বরূপ সুযোগ মিলে গিয়েছিল ২০১৪ সালের এশিয়া কাপেও। সে আসরে মোহাম্মদ নবীদের কাছে বাংলাদেশের হেরে যাওয়ার ইতিহাস মুছে যায়নি। ২০১৬ সালে ওয়েস্ট ইন্ডিজকে তাদের মাঠে গিয়েই হারিয়ে এসেছে আফগানিস্তান। আর এবার খাদের কিনারা থেকে বিশ্বকাপের মঞ্চে। তুলনায় বাংলাদেশ দলটিও অনেক এগিয়েছে। এইতো বছরখানেক আগেই নিজের মাটিতে হেসেখেলে বড় বড় দলকে পরাস্ত করেছে বাংলাদেশ। জিতেছে বাইরের মাটিতেও। তবে এখন দৃশ্যপট ভিন্ন। সদ্য সমাপ্ত নিদাহাস ট্রফিতে আলো ছড়ালেও গত প্রায় এক বছর টাইগারদের ঠিক যেন খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। দীর্ঘ পরাজয়ের তালিকা শেষ হয়েছে নিদাহাস ট্রফিতে। কিন্তু এখনো সেই পুরনো বাংলাদেশকে পুরো মাত্রায় দেখা যায়নি। তবে আশার কথা অবশেষে জয়ের দেখা পেয়েছে। এখন সামনে আরও জয় দরকার পূর্ণ আত্মবিশ্বাস ফিরে পেতে। এমএ/ ০২:৫৫/ ২৬ মার্চ
from First Bangla interactive newspaper - Deshe Bideshe https://ift.tt/2I4DGzT
March 26, 2018 at 09:11PM
এতে সদস্যতা:
মন্তব্যগুলি পোস্ট করুন (Atom)
0 মন্তব্য(গুলি):
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন