ঢাকা, ০৫ মার্চ- অভিনেতা সুব্রত ও অভিনেত্রী দোয়েল দম্পতির মেয়ে দীঘির পুরো নাম প্রার্থনা ফারদিন দীঘি। পাঁচ-ছয় বছরের ক্যারিয়ারে ৩৬টি চলচ্চিত্রে অভিনয় করেছে সে। অধিকাংশ ছবিই ব্যবসা সফল। এর মধ্যে ৩৪টি ছবি মুক্তি পেয়েছে। ২০০৬ সালে কাবুলিওয়ালা, ২০১০ এ চাচ্চু আমার চাচ্চু এবং ২০১২ সালে এক টাকার বউ ছবিতে অভিনয়ের জন্য শিশুশিল্পী হিসেবে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারও পেয়েছে। গেল শনিবার (৩ মার্চ) অনুষ্ঠিত হলো বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির (বাচসাস) পরিবার দিবস। রাজধানী থেকে খানিক দূরে সাভারের গেণ্ডায় স্পন্দন পার্কে সাংবাদিকদের পাশাপাশি সেখানে উপস্থিত ছিলেন অনেক তারকরাও। বাবা অভিনেতা সুব্রতর সঙ্গে ছিল দীঘিও। ঘুরে ফিরে আনন্দ করে গেলো সে। সেখানেই কথা জানালো নিজের অভিনয় জীবন ও বর্তমান সময় নিয়ে নানা ভাবনার কথা। প্রতিবেদক : অনেকদিন পর দেখা। কেমন আছো দীঘি? দীঘি : এইতো ভালো। বাবাকে নিয়ে বেড়াতে এলাম। ঘুরছি, ভালো লাগছে। প্রতিবেদক : অনেক বড় হয়ে গেছ তুমি। সেই ময়না পাখিটার ছোট্ট দীঘিটি আর নও। এ যে বড় হয়ে যাওয়া, কেমন লাগে.... দীঘি : আমি মোটেও বড় হইনি। এখনো সবাই আমাকে ছোট্ট দীঘি বলেই ডাকে। এই তো দেখলেন আপনার সাথে কথা বলতে আসার সময় অপরিচিত কতজন এসে ছবি তুলল। তারা তো আমাকে বড় মনে করে না। ছোট দীঘির কাছেই ছুটে আসে। আমারও ভালো লাগে। প্রতিবেদক : কিন্তু তোমার নায়িকা হওয়ার খবর পাচ্ছি যে..... দীঘি : একদম মিথ্যে কথা। কে বলে এসব আজেবাজে খবর! প্রতিবেদক: শাকিব খানের বিপরীতে নায়িকা হয়ে ফিরছে দীঘি, এ খবর তবে সত্যি নয়? দীঘি : (পাশেই বসা বাবার দিকে তাকিয়ে) দেখেছ অবস্থা বাবা? গুজবে ভরে গেছে। না ভাইয়া, আপাতত আমি নায়িকা হতে পারবো না। আমারও ইচ্ছে নেই, আমার পরিবারেরও ইচ্ছে নেই। বাসায় একশোর ওপর চিত্রনাট্য রয়েছে। আমাকে ছবির অফার দেয়া হয়েছে আব্বুর মাধ্যমে। আব্বু না করে দিয়েছে, তারপরেও ডিরেক্টর, প্রডিউসার আংকেলরা একবার যেন স্ক্রিপ্ট পড়ি এজন্য রেখে গিয়েছেন। আমি চিত্রনাট্য দেখেছিও কিছু। কিন্তু আমি ডিটারমাইন্ড, ইন্টার পাশ করার আগে কোনো কাজ নয়। যারা আমার নায়িকা হবার খবর ছেপেছেন তারা হয়তো ভুল তথ্য পেয়ে ছেপেছেন। কারণ আমার সঙ্গে বা আমার পরিবারের কারো সঙ্গেই কেউ কোনো কথা বলেনি। প্রতিবেদক : কিন্তু তোমার নায়িকা হবার খবরগুলো তো তোমার ফেসবুক পেইজ থেকে শেয়ার করা হয়েছে? দীঘি : আমি ফেসবুক, টুইটার কিছুই ব্যবহার করি না। এমনকী আমি ফোনও ব্যবহার করি না। অপ্রয়োজনে বাসার বাইরে যাই না। তাই দরকার পড়ে না। পড়ার ফাঁকের সময়টা বই বা সিনেমা দেখে কাটে। প্রতিবেদক : তোমার পড়াশোনার কী খবর? দীঘি : পড়াশোনা ভালোই চলছে। স্ট্যামফোর্ড বিদ্যালয়ে আমি এবার নিউ টেনে উঠেছি। ইংরেজি ভার্সনে পড়ছি। সামনে এসএসসি পরীক্ষার জন্য নিজেকে প্রস্তুত করছি। সর্বশেষ স্কুল ফাইনালে ফিজিক্স কেমিস্ট্রিতে একটু খারাপ হয়েছিল। এবার সেসবে জোর প্রস্তুতি চলছে। রেজাল্ট ভালো করতে হবে। আমি বুয়েটে পড়তে চাই, হতে চাই আর্কিটেকচার। প্রতিবেদক : কদিন আগে বলেছিলে ডাক্তার হতে চাও? দীঘি : হ্যাঁ, ভবিষ্যত পরিকল্পনা পাল্টে ফেলেছি। এখন সিদ্ধান্ত নিয়েছি আর্কিটেকচার হবো। এ জন্য সায়েন্সের সাবজেক্টের ওপর মনোযোগ দিচ্ছি। প্রতিবেদক : আর্কিটেকচার হতে গেলে প্রচুর পড়াশোনা দরকার, সময় দিতে হবে। তবে অভিনয় বা শোবিজে তো কাজ করতে কষ্ট হবে তোমার..... দীঘি : সেজন্যই তো দূরে সরে আছি। আমি আমার ফিউচার প্ল্যান করে ফেলছি। সেভাবেই এগোচ্ছি। আমার জন্য এখন সকলের দোয়া প্রয়োজন। নিজেকে আগে একাডেমিকভাবে প্রতিষ্ঠিত করতে চাই। তারপর অভিনয় নিয়ে ভাববো। অভিনয় যেহেতু আমার রক্তে রয়েছে তাকে পাশ কাটাতে চাই না। অভিনয় আমাকে অনেক কিছু দিয়েছে। প্রতিবেদক : শিশুবেলাতেই তারকাখ্যাতি পেয়েছ। যেখানেই যেতে সেখানেই ক্রাউড, চিৎকার। এখন সবকিছু থেকে দূরে আছো। মিস করো না? দীঘি : ২০১২ সালে সর্বশেষ ক্যামেরার সামনে দাঁড়িয়েছিলাম। এরপর অনেকটা সময় বিরতি। খুব মিস করি লাইট, ক্যামেরা। তবে আবার তো নিয়মিত হবোই। সেই ভাবনাতেই মন খারাপ হয় না। আপাতত নিজেকে তৈরি করছি। প্রতিবেদক : মাকে মনে পড়ে না....? দীঘি : খুব মনে পড়ে। তবে আব্বু আমাকে সব অভাব মিটিয়ে দিয়েছেন। তিনিই এখন আমার মা, তিনিই আমার সব। প্রতিবেদক : পরিবারের মেয়ে হিসেবে নিজের দায়িত্বগুলো পালন করতে পারো? দীঘি : আমাকে কোনো দায়িত্ব পালন করতে দিলে তো। আব্বু আর ভাইয়াই সব করেন। প্রতিবেদক : রান্না করতে পারো? দীঘি : পারি। তবে সেই রান্না আব্বু ছাড়া আর কেউ খেতে পারে না। আমিও না। হা হা হা..... প্রতিবেদক : তোমার সুন্দর ভবিষ্যৎ কামনায় এবং আবারো অভিনয়ে নিয়মিত হয়ে মাতিয়ে দেবে সেই প্রত্যাশা রইলো..... দীঘি : আপনাকেও ধন্যবাদ। আমার জন্য দোয়া করবেন। সবাইকে দোয়া করতে বলবেন। সূত্র: জাগো নিউজ২৪ আর/১৭:১৪/০৫ মার্চ



from First Bangla interactive newspaper - Deshe Bideshe http://ift.tt/2H3P7qO
March 05, 2018 at 11:27PM

0 মন্তব্য(গুলি):

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

 
Top