মুম্বাই, ১৫ মার্চ- শিশুশিল্পী হিসেবে ১৯৭৩ সালে ইয়াদোঁ কি বরাত-ছবিতে কাজ করার কথা বাদ দিলেও দীর্ঘ ৩৪ বছরের পথ অতিক্রম করলেন ৫৩ বছরের বলিহিরো মিস্টার পারফেকশনিন্ট আমির খান। ১৪ মার্চ আমিরের জন্মদিন। প্রায়ই তিন খানের হাড্ডাহাড্ডি লড়াই নিয়ে শোরগোল পড়ে ভক্তমহলে। কে বেশি বড়ো অভিনেতা সেটাই থাকে তর্কের মুল বিষয়। তর্কে না গিয়েই যেটা বলা যায়, অন্য খানেদের থেকে সাফল্য আর রোজগারের চাবিকাঠির প্রায় অনেকটাই দখল করেছেন মিস্টার পারফেকশনিস্ট। পূর্ণ বয়স্ক নায়ক হিসেবে কেতন মহতার হোলি ছবিতে তাঁর প্রথম অভিনয়। যদিও সেই ছবি খুব একটা সাড়া ফেলতে পারেনি। কিন্তু তার পর কেরিয়ারের এমন অনেক ছবিই আছে যেগুলো বার বার তাঁকে পৌঁছে দিয়েছে সাফল্যের চূড়ায়। ১৯৮৮-র কেয়ামত সে কেয়ামত তকই ছিল নায়ক হিসেবে তাঁর প্রথম হিট ছবি। এর পর আর ফিরে তাকাতে হয়নি নায়ককে। বলতে গেলে যেটাতেই হাত দিয়েছেন সোনা ফলেছে। ১০০ কোটির ক্লাবে আমিরের একাধিক ছবি রয়েছে। বিশেষত রয়েছে দু দুখানি ২০০ কোটির বাণিজ্যসফল ছবি। থ্রি ইডিয়ট আর ধুম। ৩০০ কোটির ক্লাবেও দুটি পিকে আর দঙ্গল। তা ছাড়াও রয়েছে, জানে তু, ইয়া জানে না (২০০৮), গজনি (২০০৮), ধোবি ঘাট, দিল্লি বিল্লি (২০১১), তালাশ : দ্য টাইম লাইন উইদইন (২০১২), সিক্রেট সুপারস্টার (২০১৭) ইত্যাদি ছবিও। ২০০৭ সালে তাঁর নিজের প্রযোজনায় তারে জমিন পর জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার লাভ করে। সামাজিক কল্যাণমূলক কাজের ছবি হিসেবে শ্রেষ্ঠ ছবির পুরস্কার পায় ছবিটি। আরও পড়ুন:আমিরের প্রথম ইন্সটাগ্রাম পোস্ট পেয়েছেন চার চারটি জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারও। ভারত সরকারের কাছ থেকে ২০০৩ সালে পেয়েছেন পদ্মশ্রী পুরস্কার, ২০১০ সালে পদ্মভূষণ। শুধু দেশে নয়। বিদেশেও রয়েছে তাঁর বিশাল ভক্তকুল। চিনের বক্স অফিসই তার অন্যতম প্রমাণ। তা ছাড়া গত বছর দঙ্গল বিদেশে ১৯০ কোটি মার্কিন ডলারের ব্যবসা করেছে। সিক্রেট সুপারস্টার মাত্র ২৪ দিনে ১০৯ কোটির ব্যবসা করেছে। তাই আরও লম্বা হোক সাফল্যের তালিকা। ভারী হোক পুরস্কারের ঝুলি। ভরিয়ে দিন আরও অনেক অনেক ভালো কাজে। এই কামনাই রইল মিস্টার পারফেকশনিস্টের শুভ জন্মদিনে। এমএ/ ০২:১১/ ১৫ মার্চ
from First Bangla interactive newspaper - Deshe Bideshe http://ift.tt/2HB8tDZ
March 15, 2018 at 08:21PM
এতে সদস্যতা:
মন্তব্যগুলি পোস্ট করুন (Atom)
0 মন্তব্য(গুলি):
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন