রক্তঝরা মুক্তির মাস, স্বাধীনতার মাস - মার্চ মাস। এই মুক্তির মাসে মানসিক ভারসাম্যহীন এক নারীগর্ভে জন্ম নেয়া পিতৃ পরিচয়হীন নাম দেয়া হল মুক্তির মাসের সঙ্গে সঙ্গতি রেখে। নাম হল তার ‘মুক্তি’। চাঁপাইনবাবগঞ্জের শিবগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে সোমবার সকালে ওই ফুটফুটে কন্যাসন্তানটির জন্ম দিয়েছেন মানসিক ভারসাম্যহীন এক নারী। এমন অনাকাংখিত জন্ম কাহিনী শুনে মহানুভবতার পরিচয় দিয়ে কন্যা শিশুটির পাশে দাঁড়িয়ে এইনামটি দিয়েছেন শিবগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সফিকুল ইসলাম।
স্থানীয়রা জানান, ৩৫ বছর বয়সী এক নারীকে বেশ কিছুদিন থেকেই শাহবাজপুর ইউনিয়নের মুসিলমপুর এলাকায় ঘোরাফেরা করতে দেখা যায়। সোমবার ভোরে ওই নারী মুসলিমপুর এলাকার একটি কুড়েঘরে প্রসব-ব্যথায় ছটপট করছিলেন। ওইসময় স্থানীয় দুই নারী তাকে শিবগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে এসে ভর্তি করেন। সেখানে তিনি একটি কন্যাসন্তানের জন্ম দেন।
হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা ডা. আজিজুল ইসলাম জানান, কন্যা সন্তানের জন্ম দেয়া মানসিক ভারসাম্যহীন ওই নারী নিজের পরিচয় বলতে পারেননি। সেই কারণে হাসপাতালের পক্ষ থেকে উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তাকে বিষয়টি জানানো হয়। খবর পেয়ে সমাজসেবা কর্মকর্তা কাঞ্চন কুমার তাৎণিক হাসপাতালে গিয়ে নবজাতক ও মায়ের খোঁজখবর নিয়ে চিকিৎসা খরচ বাবদ ৩ হাজার টাকা প্রদান করেন।
বিষয়টি অবহিত হন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শফিকুল ইসলামও। খবর পেতে তিনি নবজাতক শিশুটিকে তার বাসায় নিয়ে মমতার বাধনে জড়িয়ে ফেলেন। কোলে তুলে নিয়ে নাম দেন ‘মুক্তি’।
এসময় তিনি নগদ ৫ হাজার টাকা প্রদান করেন। এছাড়া ওই নবজাতক ও ওই নারী যেন নিরাপদে বসবাস করতে পারে একটি জমি দেখে ঘর বানিয়ে দেয়ারও আশ্বাস দেন।
শফিকুল ইসলাম জানান, স্বাধীনতার মাসে জন্ম নেয়ায় নবজাতক শিশুটির নাম রাখা হয়েছে মুক্তি। খুব শিগগিরই আকিকা দিয়ে অনুষ্ঠানের মাধ্যমে পুর্ণাঙ্গ নাম রাখা হবে।
এদিকে, হাসপাতাল সূত্র জানিয়েছে বর্তমানে মা ও শিশু দুজনেই সুস্থ আছেন। তাদের হাসপাতাল থেকে ছাড় দেয়া হয়েছে। বর্তমানে মুসলিমপুরের দুরুল হোদার স্ত্রী নাসিমা বেগমের কাছে রাখা হয়েছে ওই নারীসহ নবজাতককে।
চাঁপাইনবাবগঞ্জ নিউজ/ নিজস্ব প্রতিবেদক/ ১৩-০৩-১৮
স্থানীয়রা জানান, ৩৫ বছর বয়সী এক নারীকে বেশ কিছুদিন থেকেই শাহবাজপুর ইউনিয়নের মুসিলমপুর এলাকায় ঘোরাফেরা করতে দেখা যায়। সোমবার ভোরে ওই নারী মুসলিমপুর এলাকার একটি কুড়েঘরে প্রসব-ব্যথায় ছটপট করছিলেন। ওইসময় স্থানীয় দুই নারী তাকে শিবগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে এসে ভর্তি করেন। সেখানে তিনি একটি কন্যাসন্তানের জন্ম দেন।
হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা ডা. আজিজুল ইসলাম জানান, কন্যা সন্তানের জন্ম দেয়া মানসিক ভারসাম্যহীন ওই নারী নিজের পরিচয় বলতে পারেননি। সেই কারণে হাসপাতালের পক্ষ থেকে উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তাকে বিষয়টি জানানো হয়। খবর পেয়ে সমাজসেবা কর্মকর্তা কাঞ্চন কুমার তাৎণিক হাসপাতালে গিয়ে নবজাতক ও মায়ের খোঁজখবর নিয়ে চিকিৎসা খরচ বাবদ ৩ হাজার টাকা প্রদান করেন।
বিষয়টি অবহিত হন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শফিকুল ইসলামও। খবর পেতে তিনি নবজাতক শিশুটিকে তার বাসায় নিয়ে মমতার বাধনে জড়িয়ে ফেলেন। কোলে তুলে নিয়ে নাম দেন ‘মুক্তি’।
এসময় তিনি নগদ ৫ হাজার টাকা প্রদান করেন। এছাড়া ওই নবজাতক ও ওই নারী যেন নিরাপদে বসবাস করতে পারে একটি জমি দেখে ঘর বানিয়ে দেয়ারও আশ্বাস দেন।
শফিকুল ইসলাম জানান, স্বাধীনতার মাসে জন্ম নেয়ায় নবজাতক শিশুটির নাম রাখা হয়েছে মুক্তি। খুব শিগগিরই আকিকা দিয়ে অনুষ্ঠানের মাধ্যমে পুর্ণাঙ্গ নাম রাখা হবে।
এদিকে, হাসপাতাল সূত্র জানিয়েছে বর্তমানে মা ও শিশু দুজনেই সুস্থ আছেন। তাদের হাসপাতাল থেকে ছাড় দেয়া হয়েছে। বর্তমানে মুসলিমপুরের দুরুল হোদার স্ত্রী নাসিমা বেগমের কাছে রাখা হয়েছে ওই নারীসহ নবজাতককে।
চাঁপাইনবাবগঞ্জ নিউজ/ নিজস্ব প্রতিবেদক/ ১৩-০৩-১৮
from Chapainawabganjnews http://ift.tt/2FUiqPA
March 13, 2018 at 09:35PM
0 মন্তব্য(গুলি):
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন
Click to see the code!
To insert emoticon you must added at least one space before the code.