সতের মাস পর মঙ্গলবার আন্তর্জাতিক ফুটবলে ফিরল বাংলাদেশ। আর লাল-সবুজের দেশের এই ফেরাটা খারাপ হয়নি। লাওসের বিপক্ষে আন্তর্জাতিক প্রীতি ম্যাচে ২-২ গোলে ড্র করেছে বাংলাদেশ দল। মঙ্গলবার লাওস আন্তর্জাতিক ফুটবল স্টেডিয়ামে ২-০ গোলে পিছিয়ে পড়েও সমতা নিয়ে খেলা শেষ করেছে বাংলাদেশ। ২০১৬ সালের অক্টোবরে ভুটানের বিপক্ষে হারের পর থেকে আন্তর্জাতিক ফুটবল থেকে নির্বাসনে ছিল বাংলাদেশ। এই ম্যাচ দিয়ে ফেরা হলো। লাওসের বিপক্ষে বাংলাদেশের র্যাঙ্কিংয়ের ব্যবধান খুব বেশি যে তা নয়। দুই দেশই ফুটবলে পিছিয়ে থাকা দেশ। বাংলাদেশের র্যাঙ্কিং ১৯৭, লাওসের অবস্থান সেখানে ১৮৩। দুই দলের সর্বশেষ লড়াই হয়েছিল সেই ২০০৩ সালে এএফসি এশিয়ান কাপের কোয়ালিফাইং রাউন্ডে। যে ম্যাচে ১-২ গোলে হার মানে বাংলাদেশ। তবে এর কোনো কিছুই আসলে আলোচনায় ছিল না। মূল আলোচনা ছিল বাংলাদেশের মাঠে ফেরা। আর সেই ফেরার ম্যাচে বাংলাদেশ কেমন করে সেটিই ছিল দেখার। প্রথমার্ধেই দুই গোলে পিছিয়ে পড়ায় বাংলাদেশের দর্শকদের মনে অবশ্য দুঃচিন্তাই বাসা বেঁধেছিল। কিন্তু অ্যান্ড্রু ওর্ডের দল খেলায় ফিরে এসেছে দারুণভাবে। শেষ ২০ মিনিটে বাংলাদেশ গোল দুটি পরিশোধ করে। যার একটি যোগ করা সময়ে। বাংলাদেশের পক্ষে প্রথম গোলটি আসে জাফর ইকবালের পা থেকে। দ্বিতীয় গোলটি করেন অভিষিক্ত আবু সুফিয়ান সুফিল। ম্যাচের ২৮ মিনিটে রক্ষণভাগের খেলোয়াড়দের হাস্যকর ভুলে প্রথম গোল হজম করে বাংলাদেশ। মধ্য মাঠ থেকে বল নিয়ে আক্রমণে ঢুকে লাওস। বা প্রান্তে বাংলাদেশের ডিফেন্ডার মামুন মিয়া বিপদ মুক্ত করতে পারেননি। নিজের পা থেকে যেন লাওস খেলোয়াড়ের পায়ে বল তুলে দিলেন। গোল আদায় করে নেয় দলটি। বিরতির ঠিক আগে পেনাল্টি থেকে ব্যবধান ২-০ করে স্বাগতিকরা। ম্যাচের ৮২ মিনিটে জাফর গোলে ব্যবধান কমায় বাংলাদেশ। সেই গোলের পর যেন আত্মবিশ্বাস ফেরে বাংলাদেশ দলে। খেলা হয়েছে আক্রমণ পাল্টা আক্রমণে। বাংলাদেশ রক্ষণাত্মক খেলা খেললেও সেখানকার দুর্বলতা ফুটে উঠেছে ভালো ভাবেই। তবে প্রতি আক্রমণে উঠে ৯২ মিনিটে স্কোর লাইন ২-২ করে ফেলে বাংলাদেশ। প্রথম গোলের পর কোনো উদযাপন না করলেও সুফিলের পা থেকে আসা দ্বিতীয় গোলের পর পুরো দল আনন্দে মাতে। সেই আনন্দ অবশ্য মাটি হচ্ছিল প্রায়ই। লাওস খেলার শেষ দিকে আদায় করে নেয় ফ্রি কিক। সেই ফ্রি কিক থেকে গোলও পেয়ে যায় তারা। কিন্তু অফ সাইডের কারণে সেটি বাতিল হয়। ফলে নাটকীয় এক ড্র পান জামাল ভূইয়ারা। আন্তর্জাতিক ফুটবলে বাংলাদেশ সর্বশেষ ম্যাচ জিতেছিল ২০১৬ সালে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে। ২০১০ সালের পর দক্ষিণ এশিয়া বাইরের দলগুলোর বিপক্ষে কোনো জয় নেই বাংলাদেশের। নতুন কোচ ওর্ডের জন্য ছিল এটা প্রথম আন্তর্জাতিক ম্যাচ, বাংলাদেশের পক্ষে। সূত্র: পরিবর্তন আর/১০:১৪/২৭ মার্চ



from First Bangla interactive newspaper - Deshe Bideshe https://ift.tt/2Gi51Ol
March 28, 2018 at 05:44AM

0 মন্তব্য(গুলি):

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

 
Top