ঢাকা, ১৮ মার্চ- বাংলাদেশ দলের সেরা পাঁচজন ক্রিকেটারের নামের তালিকায় মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের নাম নিশ্চিতভাবেই থাকবে। তবে এই অল রাউন্ডারের ওপর ভক্ত-সমর্থকদের অনেক বড় দুইটি আক্ষেপ ছিল। ২০১২ সালে ঢাকায় এশিয়া কাপের ফাইনাল পাকিস্তান ও ২০১৬ সালে বেঙ্গালুরুতে টি-টুয়েন্টি বিশ্বকাপে ভারতের বিপক্ষে যথাক্রমে ২ ও ১ রানের পরাজয়ে। সে সময় ক্রিজে ছিলেন মাহমুদউল্লাহ, কিন্তু জয় এনে দিতে পারেননি। তবে সময়ের সাথে আরও পরিপক্ক, আরো অভিজ্ঞ হয়ে উঠেছেন। তার প্রমাণ তো শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে জয়েই পেয়েছে বাংলাদেশ। রোববার সন্ধ্যায় কলম্বোতে ভারতের বিপক্ষে নিদাহাস ট্রফির ফাইনালের আগে ব্যক্তিগত মাইলফলকের সামনে দাঁড়িয়ে আছেন, আন্তর্জাতিক টি-টুয়েন্টিতে এক হাজার রান থেকে তার দুরত্ব মাত্র চার রানের। ভারতের বিপক্ষে তা ছুঁয়ে দলকে আবার জয় এনে দিতে পারবেন? যেভাবে শুক্রবার শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে বাংলাদেশকে ম্যাচ জিতিয়ে ফাইনালে তুলেছেন এর পর মাহমুদউল্লাহর উপর কারোরই কোন অভিযোগ থাকার কথা নয়। ভীষণ চাপের মধ্যে থেকে তুলে এনেছেন জয়। নো বল বিতর্ক, দুদলের খেলোয়াড়দের ঝামেলা- সব পিছে ফেলে শেষ ওভারে তিন বলে ১২ রান করে স্মরণীয় এক জয় উপহার দিয়েছেন দলকে। তার ১৮ বলে ৪৩ রানের ইনিংসটি দেখে অধিনায়ক সাকিব আল হাসান বলেছেন অন্য কোন বাংলাদেশি ব্যাটসম্যানকে এত ভাল বল পেটাতে দেখেননি। আরও পড়ুন:বাংলাদেশ দলের আচরণকে দুঃখজনক বললেন লঙ্কান বোর্ড প্রেসিডেন্ট দলকে জেতানো এই ইনিংস খেলার পর প্রতিপক্ষ লঙ্কান বাটসম্যান কুশল পেরেরা ৩২ বছর বয়সী মাহমুদউল্লাহের অভিজ্ঞতার দারুণ প্রশংসা করেছেন। এই অভিজ্ঞতা অর্জনের পেছনে কত সংগ্রাম তা কি কুশল জানেন? দেশের মাটিতে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে টেস্ট সিরিজ থেকে শুক্রবারের ম্যাচের আগ পর্যন্ত বাংলাদেশ দলের অধিনায়কের দায়িত্ব পালন করেছেন মাহমুদউল্লাহই। চট্টগ্রাম টেস্টের প্রথম ইনিংসে তার অপরাজিত ৮৩ রানের ইনিংসটি ছিল চোখে লাগার মত। দ্বিতীয় ইনিংসেও উইকেট ধরে রেখে নিশ্চিত করেছিলেন ড্র। টি-টুয়েন্টি সিরিজের দুই ম্যাচেই খেলেছিলেন চল্লিশোর্ধ্ব ইনিংস। বিশেষত দ্বিতীয় ম্যাচে সব ব্যাটসম্যান ব্যর্থ হওয়ার পর দলকে একাই টেনেছেন। আর নিদাহাস ট্রফির বীরত্ব তো সবার জানা। এ সময়টায় বল হাতে ডানহাতি অফস্পিনে বেশ ভাল করেছেন। সব মিলিয়ে বলাই যায় এখন আরো পরিণত মাহমুদউল্লাহ। আরও পড়ুন:সাকিবকে ফাইনালে সাসপেন্ড করতে শ্রীলঙ্কার আবেদন ২০০৭ সালে টি-টুয়েন্টিতে অভিষেকের পর তিনি রোববার নিজের ৬৭তম ম্যাচ খেলতে নামছেন। এর মাঝে ৩ ফিফটিতে করেছেন ৯৯৬ রান। আর মাত্র চার রান প্রয়োজন তামিম ইকবাল, সাকিব আল হাসান ও মুশফিকুর রহীমের পর চতুর্থ বাংলাদেশী হিসেবে এই মাইলফলক স্পর্শ করতে। ভারতের বিপক্ষে ফাইনাল জয় করে এই মাইলফলক স্পর্শের আনন্দ উপভোগ করতে পারবেন তো? সূত্র: পরিবর্তন এমএ/ ১১:২২/ ১৮ মার্চ



from First Bangla interactive newspaper - Deshe Bideshe http://ift.tt/2FRVgWV
March 18, 2018 at 05:31PM

0 মন্তব্য(গুলি):

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

 
Top