ঢাকা, ০২ মার্চ- অনেকেই এসেছেন কিন্ত কয়জন টিকতে পেরেছিলেন টাইগার দলের সঙ্গে? বব জোনস থেকে সবশেষ চন্ডিকা হাতুরুসিংহে। কয়জনই বা বিদায় নিয়েছেন সম্মান নিয়ে। কেউ বরখাস্ত হয়েছেন আবার কেউবা নিজ থেকেই সরে দাঁড়িয়েছেন। সদ্য বিদায় হওয়া লঙ্কান হাতুরুও চলে গেলেন চুক্তি শেষ হবার আগেই। তার চলে যাবার কম গুঞ্জন উঠেনি ক্রিকেট পাড়া থেকে শুরু করে মিডিয়া কিংবা টাইগার ভক্তদের মাঝে। গুঞ্জন উঠবেইনা কেন। বর্তমান বাংলাদেশ দলের বদলে যাবার পেছনের কারিগর যখন পেছনের দরজা দিয়েই চলে গেলেন তাই গুঞ্জন উঠাই স্বাভাবিক। এই হাতুরুকে পেয়ে যেন রাতারাতি বদলে গেছে লঙ্কান শিবির। যারা কিনা ঘরের মাঠে জিম্বাবুয়ের মতন দলের বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজ হারে। হোয়াইটওয়াশ হয়েছে ভারতের বিপক্ষে। সেই বিধ্বস্ত শ্রীলঙ্কার এমন বদলে যাবার ফর্মুলা কি তাহলে আবেগহীন হাতুরু সিংহে? হাতুরুর বিদায়ের পর উড়তে থাকা বাংলাদেশ দল যেন পুরনো রূপ ফিরে পায়। ২০০৫ কিংবা ২০০৬ সালে যেমন অবস্থা ছিল দলের। সিরিজ হারতে হয় শ্রীলঙ্কার কাছেই। এমন হারে ক্ষুব্ধ বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) সভাপতি নাজমুল হাসান পাপনও। পরাজয়ের পর তিনি বলেছিলেন, ছেলেদের ভেতরে যেন ম্যাচ জয়ের কোনো ক্ষুধাই ছিলনা। হাতুরুর বিদায়ের পর চিন্তিত বিসিবি উঠে পড়ে লেগেছিল হাই-প্রোফাইল একজন কোচের জন্য। কোচ নিয়োগের পরীক্ষা দিয়ে গেছেন অনেকেই। এসেছিলেন টাইগারদের সাবেক কোচ রিচার্ড পাইবাসও। এই ইংলিশম্যানের বিদায় হয়েছিলো হঠাৎ করেই। ২০১২ সালে স্টুয়ার্ট লর জায়গায় টাইগারদের হাল ধরেছিলেন পাইবাস। তবে সেবার টাইগারদের সঙ্গে মাত্র চার মাসের বেশি থাকতে পারেননি দক্ষিণ আফ্রিকা ও পাকিস্তানের সাবেক এই কোচ। তাহলে কেন আবার পাইবাস, কেমন কোচ চায় বিসিবি? এমন প্রশ্ন আসাটা স্বাভাবিকই বটে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক বিসিবি কর্মকর্তা জানান, পাইবাস একরকম হাতুরুর মতই। তিনিও অনিয়ম সহ্য করেতে পারেন না। গতবার পাইবাসের আকস্মিক বিদায় প্রসঙ্গে এই কর্মকর্তা বলেন, পাইবাস নিঃসন্দেহে অনেক ভালো কোচ। এছাড়া তিনি অনেক পরিশ্রমীও। তাই বাংলাদেশের কয়েকজন ক্রিকেটার কোচ হিসেবে পছন্দ করছেন না তাকে। আর এর প্রধান কারণ, ক্রিকেটাররা খুব বেশি পরিশ্রম করতে চান না। আরও পড়ুন: ২০১৯ বিশ্বকাপ নিয়ে কী ভাবছে বিসিবি? গেলো বছরের ডিসেম্বরে বিসিবিকে দেয়া সাক্ষাতকারে রিচার্ড পাইবাস তৃণমূলের ক্রিকেটের গুরুত্ব নিয়ে কথা বলেছিলেন। পাইবাস কাজ করেছিলেন ওয়েস্ট ইন্ডিজ ক্রিকেট বোর্ডের হয়েও। বোর্ডের পরিচালক হিসেবে দায়িত্ব পালনকালে ক্যারিবীয়রা জিতেছিল অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপ, নারী টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ এবং টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ। তাই হয়তো বিসিবি প্রধানের মনে ধরেছে ৫৩ বছর বয়সী এই কোচকে। এখন দেখার বিষয়, টাইগার দলের সঙ্গে কতদিন থিতু হতে পারবেন টাইগারদের এই সাবেক কোচ। বাকিটা সময়ই বলে দেবে। সূত্র: আরটিভি অনলাইন আর/১২:১৪/০২ মার্চ
from First Bangla interactive newspaper - Deshe Bideshe http://ift.tt/2oHZTLS
March 02, 2018 at 06:36AM
এতে সদস্যতা:
মন্তব্যগুলি পোস্ট করুন (Atom)
0 মন্তব্য(গুলি):
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন