বিশ্বনাথের চালক বিষু হত্যার ঘটনায় আটক ২ : অটোরিকশা উদ্ধার

Jogonnathpurমো. আবুল কাশেম, বিশ্বনাথ থেকে :: সিলেটের বিশ্বনাথের অটোরিকশা চালক বিষু মালাকার (৩২) হত্যার ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে নারী’সহ দুইজনকে গ্রেফতার করেছে জগন্নাথপুর থানা পুলিশ। বৃহস্পতিবার (১৫ মার্চ) ভোর বেলায় বিশ্বনাথ ও দক্ষিণ সুনামগঞ্জ এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেফতার করা হয়। এসময় তাদের কাছ থেকে ছিনতাইকৃত অটোরিকশা গাড়িটি উদ্ধার করা হয়। গ্রেফতারকৃতরা হলেন- বিশ্বনাথের মসলিশ ভোগশাইল গ্রামের তোরন মিয়ার ছেলে দেলোয়ার হোসেন (২৬) ও সুনামগঞ্জ জেলার দক্ষিণ সুনামগঞ্জ থানার মুরাদপুর গ্রামের লোবান মিয়ার স্ত্রী সাজেদা বেগম (৩০)। অটোরিকশা চালক বিষু মালাকার হত্যার অভিযোগে তাদের গ্রেফতার করা হয়।

পুলিশ জানায়, জগন্নাথপুর থানার অফিসার ইন-চার্জ হারুনুর রশীদের নির্দেশনা অনুযায়ী থানার ওসি (তদন্ত) আশরাফুল ইসলাম ও মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই গোলাম ফাত্তাহ মূর্শেদ চৌধুরীর নেতৃত্বে একদল পুলিশ বিশ্বনাথ, ছাতক ও দক্ষিণ সুরমায় অভিযান চালিয়ে অটোরিকশা চালক বিষু মালাকার হত্যার ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে দেলোয়ার হোসেন ও সাজেদা বেগমকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়। এসময় তাদের কাছ থেকে ছিনতাইকৃত অটোরিকশা গাড়িটি উদ্ধার করা হয়। আসামীরা গত ২৮ ফ্রেবুয়ারি রাত আনুমানিক ৮টায় বিশ্বনাথ উপজেলা সদরের আলহেরা মার্কেটের সামনস্থ সিএনজি ষ্ট্যান্ড হতে চালক বিষু মালাকারকে তার সিএনজি অটোরিকশাটি কৌশলে ভাড়ার কথা বলে গাড়ী সহ তাকে জগন্নাথপুর উপজেলার গড়গড়ি এলাকায় নিয়ে যায় এবং সেখানে ধারালো অস্ত্র দিয়ে নির্মমভাবে বিষুকে হত্যার পর লাশ গুম করার উদ্দেশ্যে গড়গড়ি গ্রামে জগন্নাথপুর-সিংগেরকাছ রাস্তার পাশে ঝোপের মধ্যে বিষুর লাশ ফেলে সিএনজি অটোরিকশাটি নিয়ে যায়।

এব্যাপারে জগন্নাথপুর থানার অফিসার ইন-চার্জ হারুনুর রশীদ বলেন, অটোরিকশা চালক বিষু মালাকার হত্যা মামলায় দুইজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে এবং চোরাইকৃত অটোরিকশা গাড়িটি উদ্ধার করা হয়েছে বলে তিনি জানান।

প্রসঙ্গত, সিলেটের বিশ্বনাথে গত ২৮ ফেব্রুয়ারী অটোরিকশাসহ নিখোঁজ হন গাড়ি চালক বিষু মালাকার। তিনি বিশ্বনাথ উপজেলার ভোগশাইল গ্রামের নিখিল মালাকারের ছেলে। সিএনজি চালিত অটোরিকশাসহ নিখোঁজের পর গত ২ মার্চ সন্ধ্যায় জগন্নাথপুর থানাধীন সমষপুর আইছলাবাড়ি নামক স্থান থেকে তার লাশ উদ্ধার করে জগন্নাথপুর থানা পুলিশ। লাশ পাওয়ার পর ঘটনাস্থলে গিয়ে লাশের সুরতহালও করেন ওই থানার এসআই ফাত্তাহ। সুরতহালের সময় তার ডান পায়ের রগ কাটা ও বাম হাতে আঘাতের চিহ্ন পাওয়া যায়। পরে লাশটি ময়না তদন্তের জন্য জগন্নাথপুর থানা পুলিশ সুনামগঞ্জের হাসপাতালে প্রেরণ করে। ময়না তদন্ত শেষে গত ৩ মার্চ শনিবার বিকেলে বিশ্বনাথের বাসিয়া নদীর শশ্মান ঘাটে লাশের দাহ সম্পন্ন করা হয়। এঘটনায় নিহতের পিতা বাদী হয়ে অজ্ঞাতনামা আসামি রেখে করে জগন্নাথপুর থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলা নং ৩ (তাং ০৫.০৩.১৮ইং)।



from সিলেট – দ্যা গ্লোবাল নিউজ ২৪ http://ift.tt/2FTJ7UT

March 15, 2018 at 07:16PM

0 মন্তব্য(গুলি):

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

 
Top