টরন্টো, ২৭ মার্চ- মহান ভাষা আন্দোলনে যে বীজ রোপিত হয়েছিল,৭১ এ বাঙালির মুক্তিযুদ্ধ ছিল তার হাজার বছরের ইতিহাসে এক গৌরব গাথা। সেই মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় প্রগতিশীল ও অসাম্প্রদায়িক ঐক্যবন্ধন গড়ার লক্ষে প্রবাসী বাঙালি এবং নুতন প্রজন্মের উন্মেষ ঘটানোর প্রয়াসে উদীচী শিল্পী গোষ্ঠী অব ক্যানাডা গত ২৪ মার্চ,২০১৮ ইং; শনিবার,স্থানীয় ৩৮০ বার্চমাউন্ট রোড এর গ্র্যান্ড প্যালেস ব্যাংকুয়েট হল এ প্রবাস প্রজন্মের সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান এবং প্রতিযোগিতা বিপুল উৎসাহ উদ্দীপনা ও হল ভরা দর্শক-শ্রোতার মাঝে অনুষ্ঠিত হয়ে গেলো। দিনভর অসাধারণ প্রতিদ্বন্দ্বিতায় অনুষ্ঠিত প্রতিযোগিতাগুলোর মধ্যে চিত্রাঙ্কন ক শাখায় প্রথম হয়েছেন আব্রাহাম প্রামানিক, দ্বিতীয় হয়েছেন দিগন্ত সাহা এবং তৃতীয় স্থান অধিকার করেছেন মাহজিব আশরাফ। চিত্রাঙ্কন খ শাখায় প্রথম হয়েছেন সম্পূর্ণা সাহা, দ্বৈতভাবে দ্বিতীয় হয়েছেন সামিয়া ইসলাম ও পারিসা মাহমুদা রাব্বি চৌধুরী, দ্বৈতভাবে তৃতীয় হয়েছেন সুবাহ জামান ও সারওয়া নাওয়ার। আবৃত্তি প্রতিযোগিতা ক শাখায় প্রথম হয়েছেন দুজন, অংকিতা কর্মকার ও প্রত্যাশা সাহা, দ্বিতীয় হয়েছেন ধিষনা শ্রেষ্ঠা বাসরী কর এবং তৃতীয় হয়েছেন শ্রেয়ানা বিপ্লব প্রশ্রিতা কর। আবৃত্তি প্রতিযোগিতা খ শাখাতেও প্রথম হয়েছেন দুজন, রায়ান জামান ও ইন্দ্রা বিদুষী বিদ্যা কর। দ্বিতীয় হয়েছেন সম্পূর্ণা সাহা এবং তৃতীয় স্থান অধিকার করেছেন অস্মিতা ব্যানার্জী। সংগীত ক শাখায় প্রথম স্থান পেয়েছেন অংকিতা কর্মকার, দ্বিতীয় হয়েছেন আনুশা রায় এবং তৃতীয় হয়েছেন জয়ীতা চৌধুরী। সংগীত খ শাখায় প্রথম হয়েছেন বিনীতা কর্মকার,অস্মিতা ব্যানার্জী এবং তৃতীয় স্থান অধিকার করেছেন বিবেকানন্দ সরকার। সংগীত গ শাখায় প্রথম স্থান অধিকার করেছেন দুজন, মোহনা মিফতাহুল ও সুমাইয়া মাহবুব। দ্বিতীয় হয়েছেন তিনজন, অনন্ত নির্ঝর বড়ুয়া, অরুনিমা চক্রবর্তী এবং মনীষা দে চৌধুরী। তৃতীয় হয়েছেন আদ্রিকা। নৃত্য ক শাখায় প্রথম হয়েছেন সানিয়া সেন এবং দ্বিতীয় স্থান পেয়েছেন আনুশা রায়। নৃত্য খ শাখায় প্রথম হয়েছেন রায়না রাকিব, দ্বিতীয় হয়েছেন অস্মিতা ব্যানার্জী এবং তৃতীয় স্থান অধিকার করেছেন লিয়ানা হক। প্রতিযোগিতার বিচারক পদে ছিলেন যথাক্রমে- চিত্রাঙ্কন:শ্যামল বসাক ও রেশমা আক্তার। আবৃত্তি:আহমেদ হোসেন ও সুমি রহমান। সংগীত: চমন আরা বেগম ও যুথিকা বড়ুয়া। নৃত্য: বিপাশা নাথ রায় ও উমামা ইত্তেলা। প্রতিযোগিতা সঞ্চালনায় ছিলেন-জ্যাকুলিন রোজারিও, ইভা নাগ, তাসমীন কলি, ও পাপিয়া জাকির। সহযোগিতা করেছেন দেবাশীষ সাহা সুবোধ দাস। সন্ধ্যায় আলোচনা সভার মধ্যদিয়ে শুরু হয় দিনের মূল সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন প্রিয় কবি আসাদ চৌধুরী। বিশেষ অতিথি ছিলেন অধ্যাপক ডঃ মোজাম্মেল খান। আলোচনা সভায় শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন উদীচী শিল্পী গোষ্ঠী অব ক্যানাডার প্রতিষ্ঠাতা সদস্য ও উপদেষ্ঠা মাসুদুর রহমান, লেখক-সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব সুব্রত কুমার দাস,লেখক-গবেষক হাসান মাহমুদ এবং সংগীতজ্ঞ আলী আসগর খোকন।বিশেষ অতিথি অধ্যাপক মোজাম্মেল খান স্মৃতি চারণে উদীচীর স্বদেশ প্রেম এর কথা উল্লেখ করেন। কবি আসাদ চৌধুরী বাংলাদেশের উন্নয়নের সাথে সাথে মন-মানসিকতার বিকাশ এর প্রয়োজনীয়তার কথা বলতে গিয়ে প্রবাস প্রজন্মের স্বদেশ প্রেম ও সাংস্কৃতিক উন্মেষ বিকাশের পথে উদীচী শিল্পী গোষ্ঠী অব ক্যানাডার অবদানের কথা স্বীকার করেন। সভাপতি মামুনুর রশীদ অনুষ্ঠানে আগত অতিথিদের প্রতি কৃতজ্ঞতা এবং প্রবাস প্রজন্মের অনুষ্ঠানের সাফল্য কামনা করে আলোচনা সভার সমাপ্তি ঘোষণা করেন। উদীচী শিল্পী গোষ্ঠী অব ক্যানাডার পরিবেশনার মাঝে শুরু হয় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। এতে অংশগ্রহণ করেন-ঝুম্পা চক্রবর্তী, গৌরী দাস, ইভা নাগ, আইরিন আলম, সুমি বর্মন, ইন্দিরা রায়, তাসমিন কলি, পাপিয়া জাকির, জ্যাকুলিন রোজারিও, স্বপ্না দাস, শালিকা বারী, জয়া দত্ত সেনাপতি, রাশেদা এলাহী, দীনা সাইয়েদ, মামুনুর রশীদ, সুমন সাইয়েদ, মোহাম্মদ আলমগীর, সামসুল আলম,এম.এ.বারী, বিপ্লব কর্মকার, আতিকুল ইসলাম। পার্কেশন- হারুনুর রশীদ। তবলা- দেবাশীষ সাহা। কি-বোর্ড- মাহবুবুল হক। নৃত্যাংশে ছিলেন সুকন্যা নৃত্যাঙ্গন এর রিঙ্কেল, অর্নি, নাজিয়া, রচনা ও মিষ্টি। এরপর প্রবাস প্রজন্মের শিল্পীরা এক অসাধারণ পরিবেশনায় উপস্থিত দর্শক শ্রোতাদের মন জয় করে নেন। অংশগ্রহণকারী শিল্পীরা হলেন -ময়ূখ, মোহনা, সাম্য, নিসর্গ, এমিয়া, লাবিবা, সায়র, লাবণ্য, শরমিতা, আরভিন, তানিশা, অনিন্দ, শোভন, নিঠুয়া, প্রপা, নাজিফা। কৃতজ্ঞতা-শবনম শায়লা তনুকা। পরিচালনা-মাহবুবুল হক। মাঝে দুটি একক নৃত্য পরিবেশন করে ফাতিমা ও রিঙ্কেল আবারো তাদের শ্রেষ্ঠত্ব প্রমান করলেন। প্রবাস প্রজন্ম পরিবেশিত অবাক জলপান নাটিকা দর্শকদের মাঝে স্থায়ী আসন গড়ে নিয়েছে। অংশগ্রহণ করেছেন-তাইসির, রোচি, নিসর্গ, মাহাদীন এবং অথৈ। কৃতজ্ঞতা: উমামা নওরোজ ইত্তেলা। নির্দেশনা: শারমিন শর্মী। অনুষ্ঠানের শেষ আকর্ষণ ছিল জন হেনরি সংগীতের নাট্যরূপ, যা উপস্থাপিত হয়েছিল বৈশিষ্ঠ্য সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব হাসান মাহমুদ এর মাধ্যমে। অংশগ্রহণে-: রাফিউল আলী অর্ণব, হাবিবুল্লা টরী, শামসুল আলম ,রোজিনা কনক, রেশমা আক্তার রনি এবং লাবণ্য। সঙ্গীত:সুমন সাইয়েদ ও মিঠুন রেজা। নির্দেশনা: মিঠুন রেজা। সব শেষে সহ-সভাপতি সুমন সাইয়েদ এবং সাধারণ সম্পাদক দেবাশীষ সাহার সহযোগিতায় বিজয়ীদের মাঝে পুরস্কার বিতরণ করেন প্রধান অতিথি কবি আসাদ চৌধুরী। সূত্র: নতুনদেশ আর/১৭:১৪/২৭ মার্চ



from First Bangla interactive newspaper - Deshe Bideshe https://ift.tt/2pGW23c
March 27, 2018 at 11:25PM

0 মন্তব্য(গুলি):

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

 
Top