টরন্টো, ১৩ মার্চ- নববর্ষ তথা পহেলা বৈশাখ ঐতিহ্য গরিমায় বাঙালির সংস্কৃতির এক গর্বিত ধারা। অনাদিকাল থেকেই বাংলা সনের প্রথম দিনটি উৎসবে আনন্দে নববর্ষ বা পহেলা বৈশাখ নামে উদযাপিত হয়ে আসছে। জীর্ণ ক্লান্ত পুরনো বছরের রাত্রির অবসানে পূর্ব দিগন্তে উদিত হয় নতুন দিনের জ্যোতির্ময় ভানু। প্রীতিটি উৎসবেই প্রাণের আবেগে মিলিত হয় সবাই - জাতি, ধর্ম, নির্বিশেষে মানুষ তখন এক কাতারে এসে দাঁড়ায়। বাঙালির তেমনি এক চিরায়িত উৎসব পহেলা বৈশাখ বাংলা নববর্ষের প্রথম দিন। পূরো জাতি সেদিন মেতে উঠে বৈশাখী উৎসবে। কবি, লেখক , নতুন প্রজন্ম , সাংবাদিক ও সাংস্কৃতিক কর্মী সহ বাঙালী জনগোষ্ঠীর সবাই নিজস্ব স্বকিয়তায় নানান উৎসবে, আড্ডায় বৈশাখী মেলার শুদ্ধতায় ও ভালবাসায় এক হবার প্রেরণা পায়। পহেলা বৈশাখ আমাদের যুক্ত হতে বলে, ঐক্যবদ্ধ হবার আহ্ববান জানায়। পহেলা বৈশাখ মানেই মিলনের ও আনন্দের ঝর্ণাধারা। বাংলার লোকায়েত সাংস্কৃতিক আন্দোলন ও উৎসবই আমাদের প্রেরনার উৎস। এ উপলক্ষে গত ১২ মার্চ সন্ধ্যায় স্থানীয় গ্র্যান্ড প্যালেসে বিভিন্ন সংগঠনের নেতৃবৃন্দ ও মিডিয়া ব্যাক্তিত্বদের উপস্থিতিতে এক সভার আয়োজন করা হয়। সভায় আসন্ন নববর্ষ উপলক্ষে নগরীর সকল সামাজিক সাংস্কৃতিক সংগঠনের সমন্বয়ে ৪ দিন ব্যাপী (এপ্রিল ৭-৮ ও ১৪ ১৫) সর্বজনীন বৈশাখি উৎসব উদযাপনের সিদ্ধান্ত গ্রহন করা হয়। গ্র্যান্ড প্যালেস এবং এটিএন বাংলা নিবেদিত এবারের উৎসবে ঢাকা থেকে অংশগ্রহণ করবেন এটিএন বাংলার বিশাল একটি সাংস্কৃতিক দল। কলকাতা থেকে আসবেন প্রথিতযশা সংগীত শিল্পী শুভশ্রী। এছাড়া থাকবে স্থানীয় শিল্পীবৃন্দ এবং বিভিন্ন সাংস্কৃতিক সংগঠনের পরিবেশনা। অনুষ্ঠানে কোন প্রবেশ মূল্য থাকবে না। সভায় উপস্থিত ছিলেন, বিশিষ্ট সাংস্কৃতিক ব্যাক্তিত্ব মেরী রাশেদীন, শামীম চৌধুরি, ম্যাক আজাদ, মোহাম্মদ কামরুজ্জামান, রিজুয়ান রহমান, তানভির, বিশিষ্ট রিয়েলটর শংকর দে, বিশিষ্ট আইনজীবী জয়ন্ত সিনহা, সংগীত শিল্পী সিনথিয়া খান, রাকিব রাশেদীন, রেজাউল, ইলিয়াস খান, আহমেদ হোসেন লনি, রাসেল রহমান, প্রণবেশ পোদ্দার, ফাইজুল চৌধুরি, সাদ চৌধুরি, দেশে বিদেশে সম্পাদক নজরুল মিন্টো, বাংলা মেইল সম্পাদক শহীদুল ইসলাম মিন্টু ও আজকাল সম্পাদক মাহবুব চৌধুরি রণি প্রমুখ। সভায় সর্বজনীন নববর্ষ উদযাপন পরিষদের অন্যতম আয়োজক মেরী রাশেদীন জানান, নববর্ষের আনন্দকে আরো ছন্দময় ও অর্থবহ করে তুলতে দিনের প্রথম সূর্যোদয়ের সাথে পরিবেশন করা হবে বাংলা কবিতা ও গান। এই প্রথম বারের মত টরন্টো শহরে উন্মুক্ত মঞ্চে স্থানীয় শিল্পীদের অংশগ্রহণে প্রথম সূর্যোদয়ের সাথে (সময় - আনুমানিক ৬:৩০ মিঃ) অনুষ্ঠিত হবে বর্ষবরণ ১৪২৫। বর্ষবরণের এই আয়োজনের প্রথম দিনে থাকছে মূলধারার গান এবং কবিতা আবৃত্তি। আরও থাকছে পান্তা ইলিশ ও শুকনা লঙ্কা ভাঁজা ও পেয়াজ এবং ঐতিহ্যবাহী নানা রকম পিঠা। সভাশেষে সবাইকে নৈশভোজে আপ্যায়িত করা হয়।
from First Bangla interactive newspaper - Deshe Bideshe http://ift.tt/2p8zFSY
March 13, 2018 at 04:53PM
এতে সদস্যতা:
মন্তব্যগুলি পোস্ট করুন (Atom)
0 মন্তব্য(গুলি):
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন