কলম্বো, ০৯ মার্চ- অল্প শোকে কাতর অধিক শোকে পাথর; কখনও কখনও ভাবনাদুর্ভাবনার ঊর্ধ্বেও চলে যায়। ভারতের দ্বিতীয় সারির দলের বিপক্ষেও জিততে পারলো না বাংলাদেশ। জয় তো দূরের ব্যাপার, সামান্য লড়াইটাও করতে পারেনি মাহমুদুল্লাহ রিয়াদের দল। বৃহস্পতিবার ম্যাচ পরবর্তী সংবাদ সম্মেলনে মাহমুদুল্লাহকে দেখে সেটাই মনে হলো। কখনো প্রশ্নের উত্তর দিতে গিয়ে মুখে তার হতাশার রেখা ফুটে উঠল, তো পরক্ষণেই হাসি! সেই কবে থেকে বাংলাদেশ ছন্দ হারিয়েছে। এক ম্যাচে ব্যাটিং ভালো হয় তো বোলিংটা খারাপ। আরেক ম্যাচে যাচ্ছেতাই ব্যাটিংয়ে ম্লান বোলারদের সাফল্য। কিছুতেই যেন কিছু হচ্ছে না বাংলাদেশ দলের! কেনো? কী বলবেন ভারপ্রাপ্ত অধিনায়ক? মাহমুদুল্লাহ হাসলেন, উপায়টা হচ্ছে, আমাদের ভালো খেলতে হবে। ভালো খেলার বিকল্প নেই। এই প্রশ্নের উত্তর দিতে হলে সবকিছুর সারমর্ম করতে হবে। যেদিন সবকিছু ভালো করব, সেদিন জিতব। কিন্তু এমন ব্যর্থতার মধ্যেও কিছু ইতিবাচক দিক দেখতে পেয়েছেন ভারপ্রাপ্ত অধিনায়ক। যেমন সৌম্য ও তামিমের ভালো শুরু (রিয়াদের মতে)! বোলারদের ইতিবাচক বোলিং। ১৬ বলে ১৫ তামিম, ১২ বলে ১৪ করেন সৌম্য। ৬ ওভারের পাওয়ার প্লেতে এসেছে ৪৪ রান, ২ উইকেটে। এটাকে আসলে কতটা ভালো বলা যায়। সংবাদ সম্মেলনে রিয়াদের সঙ্গে দ্বিমত পোষণ করলেন সাংবাদিকরা। আর তাতেই কিছুটা মেজাজ হারালেন মাহমুদুল্লাহ। বললেন, অর্জনগুলো মোটেও বড় মনে হচ্ছে না। তাহলে এভাবে হতাশা প্রকাশ করতাম না। ভালো করতে পারছি না বলেই এভাবে বলছি। ছোট ছোট অর্জন যদি বড় করে দেখি। তবে আমাদের মনে হয় ক্রিকেটই ছেড়ে দেয়া উচিত। আরও পড়ুন: অনায়াসেই বাংলাদেশকে হারালো ভারত গত ১৪ টি টেয়েন্টির মধ্যে ১৩টিতেই হার। দলের যা অবস্থা তাতে এই পরিসংখ্যান আরো কতো শোচনীয় জায়গায় গিয়ে দাঁড়ায় সেটাই চিন্তার বিষয়। মাহমুদুল্লাহ রিয়াদও সঠিক করে কিছু বলতে পারছেন না, কবে নাগাদ জিততে পারবে দল। গতকালের ম্যাচে বাংলাদেশ ৫৫টি ডট বল খেলে, ভারত খেলে ৩৪টি। এ প্রসঙ্গে মাহমুদুল্লাহ বলেন, টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটে মাঝের ওভারগুলোতে আমরা ধুঁকছি। অনেক বেশি ডট বল খেলছি, তারপর আবার উইকেট বিলিয়ে আসছি। আজকেও আমরা ভালই শুরু করেছিলাম, কিন্তু পরে নিয়মিত উইকেট হারিয়েছি। মাঝের ওভারগুলোতে একটু পিছিয়ে আছি আমরা। বরাবরই এখানে খেই হারিয়ে ফেলি। সিঙ্গেল নিতে পারছি না, ডাবলসও না। বাউন্ডারিও হচ্ছিল না আজ। একইসঙ্গে উইকেটও দিয়ে এসেছি। ১২০ বলের ইনিংসের প্রায় অর্ধেক ছিল ডট বল। এরজন্য অধিনায়ক নিজেরও দায় দেখছেন, ব্যাটসম্যানদের মাঝে সংশয় ছিল, ডট বলগুলোতে সেটিরই প্রমাণ মিলেছে। আমি নিজেই মনে হয় ৭টি ডট বল খেলেছি। তারপর আউট হয়ে গেছি। ডট বল, এই জায়গায় আমাদের আরও সতর্ক হওয়া উচিত। এই জায়গাটায় আমাদের কাজ করতেই হবে। এত ডট বল খেলে এগিয়ে যাওয়া কঠিন। শুধু বাউন্ডারির ওপর নির্ভর করলে চলবে না। শনিবার স্বাগতিক শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে নামবে বাংলাদেশ। উদ্বোধনী ম্যাচে ভারতকে ৫ উইকেটে হারায় লঙ্কানরা। কিছুদিন আগে ঘরের মাঠে হাথুরুর দলের বিপক্ষে টি-টুয়েন্টি সিরিজের দুই ম্যাচেই বড় ব্যবধানে হেরেছে মাহমুদুল্লাহরা। ব্যাটিংয়ে ডট বল খেলা কমাতে না পারলে সেই ক্ষত তরতাজা হওয়ার শঙ্কাই বেশি! সূত্র: আরটিভি অনলাইন আর/১৭:১৪/০৯ মার্চ



from First Bangla interactive newspaper - Deshe Bideshe http://ift.tt/2p2fvdl
March 10, 2018 at 12:26AM

0 মন্তব্য(গুলি):

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

 
Top