আগরতলা, ০৫ মার্চ- প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির উপস্থিতিতে ত্রিপুরায় বিজেপি-আইপিএফটি জোট সরকার শপথ নেবে ১০ মার্চ। সেদিন সন্ধ্যায় কয়েক লাখ মানুষের সামনে শপথ গ্রহণ করে উন্নত ত্রিপুরা গড়ার প্রতিশ্রুতি দেবেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি বিপ্লব দেব। রাজ্য রাজনীতিতে একেবারে আনকোরা বিপ্লবকে সামনে রেখেই বিজেপি নির্বাচনটা লড়েছিল। কিন্তু তা হলেও আনুষ্ঠানিকভাবে তাঁকে মুখ্যমন্ত্রী এখনো ঘোষণা করা হয়নি। এই কাজটা সারতে কাল মঙ্গলবার দিল্লি থেকে আগরতলা যাচ্ছেন দুই কেন্দ্রীয় মন্ত্রী নিতিন গড়কড়ি ও জুয়েল ওরাঁও। নির্বাচিত বিধায়কদের সঙ্গে কথা বলে মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে তাঁদের পছন্দের ব্যক্তির নাম তাঁরা কেন্দ্রীয় নেতৃত্বকে জানাবেন। বিজেপির সংসদীয় বোর্ড তারপর আনুষ্ঠানিক বৈঠক ডেকে তা চূড়ান্ত করবে। বিজেপির জোটসঙ্গী ইনডিজেনাস পিপলস ফ্রন্ট অব ত্রিপুরার (আইপিএফটি) সভাপতি নরেন্দ্র চন্দ্র দেববর্মা অবশ্য গত রোববার আগরতলা প্রেসক্লাবে সাংবাদিকদের জানান, উপজাতিদের সমর্থন ছাড়া বিজেপির ত্রিপুরাজয় সম্ভব হতো না। তাই তাঁরা চান উপজাতি সমর্থনকে সম্মান জানিয়ে তাদেরই মধ্য থেকে নির্বাচিত কাউকে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী করা হোক। আইপিএফটির ওই দাবি বিজেপি মানবেএমন কোনো ইঙ্গিত নেই। দলীয় সূত্রের খবর, নরেন্দ্র চন্দ্র দেববর্মাকে উপমুখ্যমন্ত্রীর মর্যাদা দেওয়া হতেও পারে। শপথ গ্রহণে দেরি হওয়ার কারণ নরেন্দ্র মোদির সময়াভাব। আগে ঠিক ছিল ৮ মার্চ শপথ নেওয়া হবে। বিজেপির ত্রিপুরাজয়ের অন্যতম কান্ডারি সুনীল দেওধর আজ সোমবার ফোনে প্রথম আলোকে বলেন, প্রধানমন্ত্রীর উপস্থিতিতে নতুন ত্রিপুরা গড়ার শপথ নেব বলে আমরা প্রতিশ্রুতিবদ্ধ ছিলাম। অথচ ১০ তারিখের আগে তাঁর সময় পাওয়া যাচ্ছিল না। অনুষ্ঠান হবে চোখ-ধাঁধানো। উত্তর-পূর্বাঞ্চলের একমাত্র কংগ্রেস-শাসিত রাজ্য মিজোরাম ছাড়া বাকি সাত রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীদের ওই দিন হাজির করানো হবে। আনা হচ্ছে উত্তর প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথকেও। ত্রিপুরায় গোরক্ষনাথ মন্দিরের বহু ভক্তের বসবাস। তাঁদের সমর্থন পেতে আদিত্যনাথ বারবার প্রচারে এসেছিলেন। যে সাতটি কেন্দ্রে আদিত্যনাথ জনসভা ও রোড শো করেছেন, সেগুলোর মধ্যে ছয়টিতেই জোট প্রার্থীরা জিতেছেন। ঝাড়খন্ডের বহু মানুষের বসবাস ত্রিপুরায়। বিশেষত চা-বাগান এলাকায়। তাঁদের প্রভাবিত করতে রাজ্যে প্রচারে আনা হয়েছিল ঝাড়খন্ডের মুখ্যমন্ত্রী রঘুবর দাসকে। শপথ গ্রহণের দিন তাঁকেও আনার চেষ্টা হচ্ছে। দলের এক সূত্র জানান, কোনো কোনো মহল চাইছে প্রধানমন্ত্রীর পাশে দেশের সব রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীদেরই হাজির করাতে। এত দিন ধরে যা কিনা প্রান্তিক বলে বিবেচিত হত, সেই উত্তর-পূর্বাঞ্চলকে বিজেপি কতটা গুরুত্ব দেয় তা বোঝাতে। সূত্র: প্রথম আলো এমএ/ ০৩:২২/ ০৫ মার্চ
from First Bangla interactive newspaper - Deshe Bideshe http://ift.tt/2tgJrrn
March 05, 2018 at 09:38PM
এতে সদস্যতা:
মন্তব্যগুলি পোস্ট করুন (Atom)
0 মন্তব্য(গুলি):
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন