কলকাতা, ২৪ মার্চ- বেশ কিছুদিন ধরে বিতর্কের কেন্দ্রবিন্দুতে কলকাতার মেয়র এবং পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের দমকল ও আবাসনমন্ত্রী শোভন চট্টোপাধ্যায়। স্ত্রী রত্না চট্টোপাধ্যায়ের সঙ্গে সম্পর্ক তলানিতে। এদিকে, বৈশাখি বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে তাঁর বন্ধুত্ব নিয়ে কানাঘুঁষো চলছে জোরকদমে। যদিও শোভন আগেই বলেছেন, বৈশাখি আমার বিপদের বন্ধু। ওর উপর আঘাত আসার আগে সে আঘাত যেন আমার উপর আসে। বৈশাখিও শোভনের বন্ধুত্বের দাম দিয়েছেন। তাঁর কথায়, আমি সারা জীবন ওঁর (শোভন চ্যাটার্জি) পাশে থাকব। শুধু ব্যক্তিগত জীবন নয়, রাজনৈতিক জীবন নিয়েও বেশ চাপে ছিলেন দিদির কানন। শোনা যাচ্ছিল, তৃণমূল ছেড়েই দিচ্ছেন তিনি। তৃণমূল দপ্তরে মেলও নাকি করে দিয়েছেন। সূত্রের খবর, এরপর তৃণমূল নেতারা তাঁর সঙ্গে কথা বলেন। দলনেত্রী স্বয়ং ফোন করেন। মত বদলান শোভন। পরে সাংবাদিকদের বলেন, তৃণমূল দপ্তরে কোনও মেল করিনি। আমি তো মেল করতে পটু নই। এত খবর আপনারা খুঁজে বের করেন। আর মেলটা খুঁজে বের করতে পারছেন না (মুখে হাসি)। বিতর্কের মাঝে যেন নতুন জীবন ফিরে পেলেন শোভন। সূত্র সেরকমই বলছে। সূত্র জানিয়েছে, গতকাল শুক্রবার ক্যাবিনেটের বৈঠক চলাকালীন মুখ্যমন্ত্রী শোভনের সঙ্গে কথা বলেছেন। ঠিকঠাক কাজ হচ্ছে কি না জিজ্ঞাসা করেছেন। ব্যক্তিগত জীবন বাইরে না নিয়ে আসারও পরামর্শ দিয়েছেন। মন্ত্রিসভার বৈঠকে যোগ দিতে ঢুকছিলেন শোভন চট্টোপাধ্যায়। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মুখোমুখি হতেই মন্ত্রীকে উদ্দেশ্যে করে মমতা প্রশ্ন করেন, শুধুই কী প্রেম করছিস, নাকি কাজও করছিস? মুখ্যমন্ত্রীর এমন প্রশ্নে অনেকটা অপ্রস্তুত হয়ে যান মন্ত্রী। নিজেকে সামলে নিয়ে মন্ত্রী বিষয়টি পাশ কেটে যান। কিন্তু মন্ত্রিসভার বৈঠকে আবারও একই প্রশ্ন করে বসেন মমতা। এতে আবারও বিব্রতকর অবস্থায় পড়েন শোভন। মন্ত্রী শোভন বোঝানোর চেষ্টা করেন, আমি ও সব করি নাকি! কিন্তু ছাড়ার পাত্রী নন নেত্রী। তিনি পাল্টা বলেন, ঠিক আছে, সবার সামনে ভোট হোক। দেখি কতজন তোর পক্ষে। বিষয়টি এভাবে হাসিঠাট্টার মধ্যে শেষ হলেও উপস্থিত অনেকেরই মনে হয়েছে মুখ্যমন্ত্রী যে শোভনের এখনকার কিছু কার্যকলাপে সন্তুষ্ট নন, সেই বার্তাই স্পষ্ট করে দিলেন। আর/১০:১৪/২৪ মার্চ



from First Bangla interactive newspaper - Deshe Bideshe https://ift.tt/2G5B4Rz
March 25, 2018 at 05:29AM

0 মন্তব্য(গুলি):

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

 
Top