কলম্বো, ১৬ মার্চ- বোলিংয়ে অসাধারণ শুরুর পরও লক্ষ্যটা ছোট রাখা যায়নি। দুই পেরারা কুসল ও থিসারার ফিফটিতে লড়াইয়ের পুঁজি পেয়ে যায় শ্রীলঙ্কা। দারুণ ফিফটিতে দলকে পথে রাখেন তামিম ইকবাল। দুর্দান্ত এক ইনিংসে দলকে অসাধারণ এক জয় এনে দেন মাহমুদউল্লাহ। ইসুরু উদানার করা ওভারে প্রয়োজন ছিল ১২ রান। প্রথম বলে কোনো রান হয়নি। দ্বিতীয় বলে রান আউট হয়ে যান মুস্তাফিজ। তৃতীয় বলে স্ট্রাইক পান মাহমুদউল্লাহ। সেই বলে হাঁকান চার। পরের বলে নেন দুই রান। জয়ের জন্য শেষ ২ বলে দরকার ছিল ৬ রান। পঞ্চম বলে দারুণ এক ছক্কা হাঁকিয়ে দলকে নিয়ে যান রোববারের ফাইনালে। সেখানে তাদের প্রতিপক্ষ ভারত। রোমাঞ্চকর উত্তেজনার ম্যাচে ১ বল বাকি থাকতে দুই উইকেটে জিতেছে বাংলাদেশ। টুর্নামেন্টে স্বাগতিকদের বিপক্ষে এটি তাদের দ্বিতীয় জয়। সংক্ষিপ্ত স্কোর: শ্রীলঙ্কা: ২০ ওভারে ১৫৯/৭ (গুনাথিলাকা ৪, মেন্ডিস ১১, কুসল ৬১*, থারাঙ্গা ৫, শানাকা ০, জিবন ৩, থিসারা ৫৮, উদানা ৭*, দনঞ্জয়া ১*; সাকিব ১/৯, রুবেল ১/৪১, মুস্তাফিজ ২/৩৯, মিরাজ ১/১৬, মাহমুদউল্লাহ ০/২৯, সৌম্য ১/২১) বাংলাদেশ: ১৯.৫ ওভারে ১৬০/৮ (তামিম ৫০, লিটন ০, সাব্বির ১৩, মুশফিক ২৮, সৌম্য ১০, মাহমুদুল্লাহ ৪৩*, সাকিব ৭, মিরাজ ০, মুস্তাফিজ ০, রুবেল ০*; ধনঞ্জয়া ২/৩৭, মেন্ডিস ১/২৪, ফের্নান্দো ০/১০, আপোন্সো ১/১৯, পেরেরা ০/২০, গুনাথিলাকা ১/২৪, উদানা ১/২৬) ফল: বাংলাদেশ ২ উইকেটে জয়ী রান আউট মুস্তাফিজ মাহমুদউল্লাহকে স্ট্রাইক দিতে গিয়ে রান আউট হয়ে ফিরে গেলেন মুস্তাফিজুর রহমান। ইসুরু উদানার শর্ট বলে ব্যাট ছোঁয়াতে পারেননি বাঁহাতি ব্যাটসম্যান। মাহমুদউল্লাহ রান নিতে ছুটেন। সাড়া দেন মুস্তাফিজ। কিন্তু রান পূর্ণ করতে পারেন, ফিরে যান রান আউট হয়ে ফিরে যান তিনি। রান আউট মিরাজ ১৯তম ওভারের শেষ বলটি মিড অফে পাঠিয়ে রান নিতে চেয়েছিলেন মেহেদী হাসান মিরাজ। দাসুন শানাকার সরাসরি থ্রোয়ে ফিরে যান রান আউট হয়ে। আরেকটি উইকেট হারাল বাংলাদেশ। মহাগুরুত্বপূর্ণ শেষ ওভারের শুরুতে নন স্ট্রাইকার এন্ডে থাকলেন মাহমুদউল্লাহ। মিরাজ ফেরার সময় ১৯ ওভারে বাংলাদেশের স্কোর ১৪৮/৭। জয়ের জন্য শেষ ওভারে ১২ রান চাই অতিথিদের। সাকিবকে ফেরালেন উদানা সময়ের দাবি ছিল বাউন্ডারির। চেষ্টা করেছিলেন সাকিব আল হাসান। কিন্তু ক্যাচ চলে যায় সরাসরি সীমানায় থাকা ফিল্ডারের কাছে। ইসুরু উদানার লেগ স্টাম্পের বল সজোরে হাঁকিয়েছিলেন সাকিব। একটু এদিক-সেদিক হলে হয়তো বাউন্ডারি পেয়ে যেতেন। কিন্তু ফিল্ডার আকিলা দনাঞ্জয়া সরাসরি তার দিকে আসে ক্যাচ মুঠোয় জমান। ১৮ ওভার শেষে বাংলাদেশের স্কোর ১৩৭/৬। জয়ের জন্য শেষ ২ ওভারে তাদের প্রয়োজন ২৩। সৌম্যকে ফেরালেন জিবন মুশফিকুর রহিম-তামিম ইকবালের পর দ্রুত ফিরে গেলেন সৌম্য সরকার। বাঁহাতি ব্যাটসম্যানকে ফিরিয়ে নিজের প্রথম উইকেট নিয়েছেন জিবন মেন্ডিস। অফ স্টাম্পের বাইরের গুগলি বুঝতে পারেননি সৌম্য। তার ব্যাটের কানায় লেগে প্যাড ছুঁয়ে ক্যাচ যায় কুসল পেরেরাকে। তৎপর উইকেট গ্লাভসে জমান আরেকটি ক্যাচ। ১১ বলে সৌম্য ফিরে যাওয়ার সময় ১৪.৫ ওভারে বাংলাদেশের স্কোর ১০৯/৫। ফিফটির পর আউট তামিম দুই বছর পর টি-টোয়েন্টিতে পঞ্চাশ ছোঁয়া ইনিংস খেললেন তামিম ইকবাল। কিন্তু বাঁহাতি ওপেনার ফিরে গেলেন হাফ সেঞ্চুরিতে পৌঁছেই। অফ স্পিনার দানুশকা গুনাথিলাকাকে বেরিয়ে এসে খেলতে চেয়েছিলেন তামিম। বল ব্যাটের কানা ছুঁয়ে ক্যাচ যায় উইকেটরক্ষকের কাছে। কয়েকবারের প্রচেষ্টায় ক্যাচ মুঠোয় নেন কুসল পেরেরা। ১৪ ওভার শেষে বাংলাদেশের স্কোর ১০৫/৪। মুশফিকের আউটে ভাঙল জুটি বোলিংয়ে ফিরে জুটি ভাঙলেন আমিলা আপন্সো। ক্যাচ দিয়ে ফিরে গেছেন মুশফিকুর রহিম। বাঁহাতি স্পিনারকে কাভারের ওপর দিয়ে খেলতে চেয়েছিলেন মুশফিক। কিন্তু ক্যাচ চলে যায় সরাসরি থিসারা পেরেরার কাছে। ২৫ বলে ২৮ রান করে বিদায় নেন মুশফিক। তার বিদায়ে ভাঙে ৬৪ রানের জুটি। ১৩ ওভারে বাংলাদেশের স্কোর ১০০/৩। ক্রিজে তামিম ইকবালের সঙ্গী সৌম্য সরকার। তামিম-মুশফিক জুটির পঞ্চাশ লিটন দাস ও সাব্বির রহমানের দ্রুত বিদায়ের পর বাংলাদেশ প্রতিরোধ গড়েছে তামিম ইকবাল ও মুশফিকুর রহিমের ব্যাটে। অবিচ্ছিন্ন তৃতীয় উইকেটে দুই জনে গড়েছেন অর্ধশত রানের জুটি। ৪০ বলে আসে তামিম-মুশফিক জুটির পঞ্চাশ। তাদের দায়িত্বশীল ব্যাটিংয়ে এগোচ্ছে বাংলাদেশ। দনঞ্জয়ার দ্বিতীয় শিকার সাব্বির ক্রিজে এসেই প্রথম দুই বলে আকিলা দনঞ্জয়াকে দুটি চার হাঁকান সাব্বির রহমান। পরের ওভারে ফিরে তাকে বিদায় বাংলাদেশকে চাপে ফেলে দেন লঙ্কান অফ স্পিনার। পা বাড়িয়ে খেলতে চেয়েছিলেন সাব্বির। ব্যাটে খেলতে পারেননি। এগিয়েও যান অনেকটা, সেখান থেকে ফেরার সুযোগ ছিল না। সুযোগ দুই হাতে কাজে লাগান কুসল পেরেরা। প্যাড ছুঁয়ে যাওয়া বল গ্লাভসে জমিয়ে স্টাম্প ভেঙে দেন। ৮ বলে তিনটি চারে ১৩ রান করে ফিরেন সাব্বির। তার বিদায়ের সময় ৩.৫ ওভারে বাংলাদেশের স্কোর ৩৩/২। শুরুতেই ফিরলেন লিটন দ্বিতীয় ওভারেই উইকেট হারাল বাংলাদেশ। ফিরে গেলেন লিটন দাস। আকিলা দনঞ্জয়ার ওপর চড়াও হতে চেয়েছিলেন লিটন। অফ স্টাম্পের অনেক বাইরের বল মিড অফ ফিল্ডারের মাথার ওপর দিয়ে পাঠিয়ে দেওয়ার চেষ্টায় সফল হননি। সহজ ক্যাচ মুঠোয় নেন থিসারা পেরেরা। সংক্ষিপ্ত স্কোর: শ্রীলঙ্কা: ২০ ওভারে ১৫৯/৭ (গুনাথিলাকা ৪, মেন্ডিস ১১, কুসল ৬১*, থারাঙ্গা ৫, শানাকা ০, জিবন ৩, থিসারা ৫৮, উদানা ৭*, দনঞ্জয়া ১*; সাকিব ১/৯, রুবেল ১/৪১, মুস্তাফিজ ২/৩৯, মিরাজ ১/১৬, মাহমুদউল্লাহ ০/২৯, সৌম্য ১/২১) থিসারাকে ফেরালেন রুবেল পঞ্চাশ ছোঁয়ার পর ফিরে গেলেন থিসারা পেরেরা। ৩৭ বলে তিনটি করে ছক্কা-চারে ৫৮ রান করেন শ্রীলঙ্কান অধিনায়ক। রুবেল হোসেনের স্লোয়ারে ক্যাচ তুলে দেন থিসারা। কয়েকবারের চেষ্টায় ক্যাচ মুঠোয় নেন তামিম ইকবাল। থিসারার ফিফটি টানা দুই বলে উইকেট পেতে পারতেন সৌম্য সরকার। কুসল পেরেরার পর তুলে নিতে পারতেন থিসারা পেরেরার উইকেট। উল্টো ছক্কা পেয়ে যান লঙ্কা অধিনায়ক, পৌঁছান ফিফটিতে। ৩৩ বলে আসে থিসারার ফিফটি। লংঅনে তার ক্যাচ নিতে পারেননি সাব্বির রহমান। আঙুল ছুঁয়ে চলে যায় সীমানার বাইরে। কুসলকে ফেরালেন সৌম্য ঝড় তোলা কুসল পেরেরাকে ফেরালেন সৌম্য সরকার। ভাঙলেন ১০.১ ওভার স্থায়ী ৯৭ রানের জুটি। ডিপ মিডউইকেট দিয়ে সৌম্যকে উড়াতে চেয়েছিলেন কুসল। টাইমিং করতে পারেননি। সীমানায় ক্যাচ মুঠোয় নেন মেহেদী হাসান মিরাজ। ৪০ বলে ৭ চার ও এক ছক্কায় ৬১ রান করে ফিরেন কুসল। কুসলের ফিফটি পাল্টা আক্রমণে দ্রুত রান তুললেন কুসল পেরেরা। বাঁহাতি ব্যাটসম্যান তুলে নিলেন ফিফটি। ৩২ বলে পঞ্চাশ স্পর্শ করেন কুসল। এই সময়ে তার ব্যাট থেকে আসে ৬টি চার ও একটি ছক্কা। টুর্নামেন্টে তার তৃতীয় ফিফটি। দুই পেরেরার পঞ্চাশ রানের জুটি দ্রুত উইকেট হারানো শ্রীলঙ্কা প্রতিরোধ গড়েছে কুসল পেরেরা ও থিসারা পেরেরার ব্যাটে। অবিচ্ছিন্ন ষষ্ঠ উইকেটে দুই জনে গড়েছেন অর্ধশত রানের জুটি। ৩৬ বলে জুটির রান পঞ্চাশে নিয়ে যান দুই পেররা। এক প্রান্তে শান্ত থিসারা। অন্য প্রান্তে ঝড় তুলেছেন কুসল। জিবনকে ফেরালেন মিরাজ নিজের তৃতীয় ওভারে উইকেট পেলেন মেহেদী হাসান মিরাজ। ফিরিয়ে দিলেন অলারাউন্ডার জিবন মেন্ডিসকে। অফ স্পিনারকে সুইপ করে শর্ট ফাইন লেগে মুস্তাফিজুর রহমানের হাতে ধরা পড়েন বাঁহাতি মিডল অর্ডার ব্যাটসম্যান জিবন। মুস্তাফিজের দ্বিতীয় শিকার শানাকা দাসুন শানাকাকে গোল্ডেন ডাকের স্বাদ দিলেন মুস্তাফিজুর রহমান। বাঁহাতি পেসার নিলেন নিজের দ্বিতীয় উইকেট। অফ স্টাম্পের অফ কাটার বুঝতেই পারেননি শানাকা। পা বাড়িয়ে খেলতে চেয়েছিলেন এই মিডল অর্ডার ব্যাটসম্যান। মুস্তাফিজের দারুণ কাটার তার ব্যাটের কানা ছুঁয়ে জমা পড়ে মুশফিকুর রহিমের গ্লাভসে। শানাকা ফেরার সময় ৫.৪ ওভারে শ্রীলঙ্কার স্কোর ৩২/৪। ক্রিজে কুসল পেরেরার সঙ্গী জিবন মেন্ডিস। থারাঙ্গার রান আউটে চাপে শ্রীলঙ্কা মুস্তাফিজুর রহমানের পরের ওভারে আবার উইকেট পেল বাংলাদেশ। রান আউট হয়ে ফিরে গেলেন উপুল থারাঙ্গা। মুস্তাফিজের বল কাভারে পাঠিয়েই একটি রান নিতে চেয়েছিলেন দুই ব্যাটসম্যান। মাঝপথে মন্থর হয়ে পড়েন থারাঙ্গা। মেহেদী হাসান মিরাজ বল কুড়িয়ে থ্রো করেন মুস্তাফিজকে। বাকিটা সারেন তিনি। মেন্ডিসকে ফেরালেন মুস্তাফিজ কুসল মেন্ডিস বাধা সরালেন মুস্তাফিজুর রহমান। চতুর্থ ওভারে বোলিংয়ে এসে মেডেন-উইকেট নিয়েছেন বাঁহাতি পেসার। গত কিছু দিনে বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় মাথা ব্যথা হয়ে দাড়িয়েছিলেন মেন্ডিস। টি-টোয়েন্টিতে টানা তিন ম্যাচে করেছিলেন ফিফটি। তাকে দ্রুত ফিরিয়ে দিলেন মুস্তাফিজ। রুবেল হোসেনের বলে টাইমিং করতে না পারলেও ফিল্ডারের মাথার ওপর দিয়ে পাঠাতে পেরেছিলেন মেন্ডিস। মুস্তাফিজকে পুল করতে গিয়ে তা করতে ব্যর্থ হলেন। মিডউইকেটে সহজেই ক্যাচ মুঠোয় নিলেন সৌম্য সরকার। ১৪ বলে ১১ রান করে ফিরে যান মেন্ডিস। মুস্তাফিজের সেই ওভার থেকে কেবল লেগ বাই থেকে আসে একটি রান। গুনাথিলাকাকে ফেরালেন সাকিব তৃতীয় ওভারে আঘাত হানলেন সাকিব আল হাসান। ফিরিয়ে দিলেন দানুশকা গুনাথিলাকাকে। বাঁহাতি ওপেনারের স্টাম্প সোজা বল উড়াতে চেয়েছিলেন লঙ্কান বাঁহাতি ওপেনার। টাইমিং করতে পারেননি। অনেক ওপরে উঠে যাওয়া ক্যাচ লং অনে মুঠোয় নেন সাব্বির রহমান। ৪ রান করে ২.১ ওভারে গুনাথিলাকা ফিরে যাওয়ার সময় শ্রীলঙ্কার স্কোর ১৫/১। শ্রীলঙ্কা দলে দুই পরিবর্তন শ্রীলঙ্কা দলে এনেছে দুটি পরিবর্তন। দলে ফিরেছেন পেসার ইসুরু উদানা ও বাঁহাতি স্পিনার আমিলা আপন্সো। বাদ পড়েছেন দুই পেসার সুরঙ্গা লাকমল ও দুশমন্থ চামিরা। শ্রীলঙ্কা দল: উপুল থারাঙ্গা, দানুশকা গুনাথিলাকা, কুসল মেন্ডিস, দাসুন শানাকা, কুসল পেরেরা, থিসারা পেরেরা, জিবন মেন্ডিস, ইসুরু উদানা, আকিলা দনঞ্জয়া, নুয়ান প্রদিপ, আমিলা আপোন্সো। টস জিতে বোলিংয়ে বাংলাদেশ সিরিজে প্রথমবারের মতো খেলতে নেমে টস ভাগ্যকে পাশে পেলেন সাকিব আল হাসান। বাংলাদেশ অধিনায়ক টস জিতে নিলেন বোলিং। টুর্নামেন্টে এখন পর্যন্ত ছয় ম্যাচেই টস জেতা অধিনায়ক বোলিং নিলেন। হায়দারের জায়গায় সাকিব বাংলাদেশ দলে পরিবর্তন একটি। চোট কাটিয়ে ফিরেছেন সাকিব আল হাসান। বিশ্বের অন্যতম সেরা অলরাউন্ডারকে জায়গা দিতে বাদ পড়েছেন পেসার আবু হায়দার। প্রথমবারের মতো টুর্নামেন্টে তিন স্পিনার, দুই পেসার পেসার নিয়ে খেলছে বাংলাদেশ। বাংলাদেশ দল: সাকিব আল হাসান, মাহমুদউল্লাহ, তামিম ইকবাল, সৌম্য সরকার, লিটন দাস, মুশফিকুর রহিম, সাব্বির রহমান, মুস্তাফিজুর রহমান, রুবেল হোসেন, নাজমুল ইসলাম অপু, মেহেদী হাসান মিরাজ। সেমি-ফাইনাল চ্যালেঞ্জ জিততে প্রস্তুত বাংলাদেশ ত্রিদেশীয় সিরিজের প্রাথমিক পর্বের শেষ ম্যাচটি কার্যত রূপ নিয়েছে সেমি-ফাইনালে। বাংলাদেশ-শ্রীলঙ্কার লড়াইয়ে জয়ী দল খেলবে রোববারের ফাইনালে। প্রথম ম্যাচ হেরে শুরু করা ভারত টানা তিন জয়ে ফাইনালে উঠে গেছে সবার আগে। প্রথম ম্যাচে জয়ের পর শ্রীলঙ্কা হেরেছে টানা দুটি। দুটি হারের মাঝে একটি ম্যাচ দারুণভাবে জিতেছে বাংলাদেশ। শুক্রবার আর প্রেমাদাসা স্টেডিয়ামে খেলা শুরু হবে সন্ধ্যা সাড়ে সাতটায়। দুই দলের আগের লড়াইয়ে নিজেদের ক্রিকেট ইতিহাসেরই অন্যতম সেরা জয় পেয়েছে বাংলাদেশ। ২১৫ রান তাড়ায় জিতেছে ইতিহাস গড়ে। তবে সেই চূড়া থেকে পতন হয়েছে পরের ম্যাচেই। বুধবার ভারতের বিপক্ষে ১৭৭ রান তাড়ায় বাংলাদেশ হেরেছে ১৭ রানে। সাকিব ফেরায় ভাবনায় শ্রীলঙ্কা আগের ম্যাচগুলোতে সাকিব না থাকায় বাংলাদেশের ঘাটতির জায়গাটা ফুটে উঠেছিল স্পষ্ট। দল হিমশিম খাচ্ছিল একাদশের কম্বিনেশন ঠিক রাখতে। ৫ জন স্পেশালিস্ট বোলার খেলাতে একজন ব্যাটসম্যান কম খেলাতে হচ্ছে দলকে। বাংলাদেশ দলের সঙ্গে নিজের অভিজ্ঞতায় সেটা ভালো করেই জানেন চন্দিকা হাথুরুসিংহে। খেয়াল করেছেন প্রতিপক্ষ কোচ হিসেবেও। সাকিব ফেরায় সেই ঘাটতির জায়গা পূরণ হয়ে যাচ্ছে, হাথুরুসিংহে সেটা বলছেন অকপটেই। জানিয়ে রাখলেন, সাকিবের জন্য প্রস্তুতি নিয়ে রাখছে শ্রীলঙ্কা। সূত্র: বিডিনিউজ২৪.কম এমএ/ ১১:৩০/ ১৬ মার্চ
from First Bangla interactive newspaper - Deshe Bideshe http://ift.tt/2HGDo1G
March 17, 2018 at 05:41AM
এতে সদস্যতা:
মন্তব্যগুলি পোস্ট করুন (Atom)
0 মন্তব্য(গুলি):
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন