কলকাতা, ১০ মার্চ- প্রথমবারের মতো বাংলাদেশ-ভারত সীমান্তের ৮ দশমিক ৩ কিলোমিটার এলাকাকে অপরাধমুক্ত অঞ্চল (ক্রাইম ফ্রি জোন) ঘোষণা করা হয়েছে। বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) ও ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ) যৌথভাবে এ ঘোষণা দিয়েছে। এ ঘোষণা অনুযায়ী বাংলাদেশ অংশে পুটখালী ও দৌলতপুর এবং ভারত অংশের উত্তর চব্বিশ পরগনার কালিয়ানি ও গুনারমাঠের ৮ দশমিক ৩ কিলোমিটার এলাকা অপরাধমুক্ত হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। শুক্রবার দুপুর ১টার দিকে যশোরের বেনাপোলের দৌলতপুর সীমান্তের বিপরীতে ভারতের উত্তর চব্বিশ পরগনা জেলার বনগাঁও সীমান্তে ৬৪ বিএসএফ ব্যাটালিয়নের কালিয়ানি ও গুনারমাঠ বিওপি এলাকায় আনুষ্ঠানিকতা শেষে অপরাধমুক্ত এ অঞ্চলের উদ্বোধন করা হয়। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে যশোর-১ আসনের (শার্শা) সংসদ সদস্য শেখ আফিল উদ্দিন, বিজিবির মহাপরিচালক মেজর জেনারেল আবুল হোসেন, বিএসএফের মহাপরিচালক কে কে শর্মা, একুশে টেলিভিশনের সিইও মনজুরুল আহসান বুলবুল, বাংলাদেশ প্রতিদিন সম্পাদক নঈম নিজাম, যশোরের জেলা প্রশাসক আশরাফ উদ্দিন, শার্শা উপজেলার চেয়ারম্যান সিরাজুল ইসলাম মঞ্জু, সিনিয়র পুলিশ সুপার আবু নাসের, বেনাপোল পৌর মেয়র আশরাফুল আলম লিটনসহ বিজিবি ও বিএসএফের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। অতিথিরা ইছামতি নদীর পাড়ে দাঁড়িয়ে বেলুন ও পায়রা উড়িয়ে অপরাধমুক্ত এ অঞ্চল উদ্বোধন করেন। এর আগে বিজিবির মহাপরিচালক বেনাপোল চেকপোস্টে এসে পৌঁছলে তাকে ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা জানান বিএসএফের মহাপরিচালক। এরপর বিশেষ নিরাপত্তায় বাংলাদেশি অতিথিদের ভারতের কালিয়ানি সীমান্তে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে এই অপরাধমুক্ত অঞ্চলের নামফলক উন্মোচন করা হয়। সংশ্নিষ্টরা জানান, ২০১৭ সালে নয়াদিল্লিতে বিজিবি-বিএসএফ মহাপরিচালক পর্যায়ের বৈঠকে অপরাধ প্রতিরোধের কৌশল হিসেবে সীমান্তের চিহ্নিত এলাকাকে অপরাধমুক্ত অঞ্চল ঘোষণার প্রস্তাব উত্থাপন করা হয়। বিজিবি মহাপরিচালক মেজর জেনারেল আবুল হোসেনের এ প্রস্তাবের প্রশংসা করেন বিএসএফ মহাপরিচালক কে কে শর্মা। এর পরিপ্রেক্ষিতে ওই প্রস্তাব বাস্তবায়নের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় ও পরীক্ষামূলকভাবে সীমান্তের ৮ দশমিক ৩ কিলোমিটার এলাকা অপরাধমুক্ত ঘোষণার উদ্যোগ নেওয়া হয়। আরও পড়ুন: বেতন বাড়াচ্ছে মমতার সরকার, ভোটের আগে আরও সুখবর এল শিক্ষকদের জন্য উদ্বোধনী অনুষ্ঠান শেষে দুই দেশের সীমান্তরক্ষী বাহিনীর মহাপরিচালকরা জানান, সীমান্তে চোরাচালান, নারী ও শিশু পাচার, মানবপাচার, মাদক, অস্ত্র ও বিস্ফোরক পাচার এবং সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড ঠেকাতে বিজিবি-বিএসএফ একে অন্যের পরিপূরক হিসেবে কাজ করবে। অপরাধ দমনে স্পিড বোট, সিসি ক্যামেরা, অত্যাধুনিক ডিভাইসের পাশাপাশি ড্রোনও ব্যবহার করা হবে। অপরাধে সম্পৃক্তদের কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করে স্বাভাবিক জীবনে ফেরাতে জেলা প্রশাসন, উন্নয়ন সংস্থা (এনজিও) এবং স্থানীয় বাসিন্দাদের সহযোগিতাও নেওয়া হবে। পাইলট এ প্রকল্প সফল হলে আগামীতে সীমান্তের অন্যান্য গ্রামও অপরাধমুক্ত অঞ্চলের আওতায় আনার পরিকল্পনা রয়েছে বলেও জানান বিজিবি ও বিএসএফের মহাপরিচালক। তথ্যসূত্র: সমকাল এআর/০৯:৩৫/১০ মার্চ



from First Bangla interactive newspaper - Deshe Bideshe http://ift.tt/2Dfr8m4
March 10, 2018 at 03:35PM

0 মন্তব্য(গুলি):

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

 
Top