২৫ বছর বয়সী যুবক মনিরুল। চাঁপাইনবাবগঞ্জ রেলওয়ে স্টেশন সংলগ্ন রেলবাগানে বেড়ে উঠা তার। একসময় বাক্সপট্টিতে বাক্স শ্রমিক হিসেবে কাজ করতে করতেই জড়িয়ে পড়ে অপরাধ কর্মকান্ডে। মাদকাসক্ত হয়ে পড়ার পর ক্রমেই এলাকায় সে হয়ে অদম্য অপরাধী। এলাকার বহু ছিনতাই ঘটনার ‘নায়ক’ মনিরুলের অত্যাচারে অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছিল রেলবাগানসহ পাশ্ববর্তী এলাকার মানুষ। এলাকার সাধারণ মানুষের সঙ্গে কথা বলে এমন তথ্য পাওয়া গেছে। আর পুলিশ বলছে, পুর্বশত্রুতার জের ধরে প্রতিশোধ নিতেই স্কুল ছাত্রী সাথী খাতুনকে ছুরিকাঘাত করেছে মনিরুল।
বুধবার চাঁপাইনবাবগঞ্জ শহরের হুজরাপুরস্থ বাক্সপট্টি এলাকায় স্কুল যাবার পথে রিক্সা গতিরোধ করে কামাল উদ্দীন উচ্চ বালিকা বিদ্যালয়ের ৬ষ্ঠ শ্রেণীর শিক্ষার্থী সাথী খাতুনকে এলোপাতাড়ি ছুরিকাঘাত করার ঘটনার পর সন্ত্রাসী মনিরুল সর্ম্পকে বেরিয়ে আসে নানান তথ্য। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এলাকাবাসী জানিয়েছেন তার নানা অপকর্মের কথা। পুলিশও জানিয়েছে মনিরুল চাঁপাইনবাববগঞ্জ সদর থানার একাধিক মামলার আসামী।
এলাকাবাসী জানায়, রেলবাগানের ফাক্কুর ছেলে মনিরুল। মাত্র ২৫ বছর বয়সে দু’টি বিয়ে করেছে। প্রথম বিয়ে করার পর তার (মনিরুলের) মাদকাসক্তি ও সন্ত্রাসী কর্মকান্ড জানতে পেরে প্রথম স্ত্রী তাকে ছেড়ে চলে যায়। পরে সে আবারও বিয়ে করে। তার দু’টি শিশু সন্তান রয়েছে। একটির বয়স ৫ অপরটি বয়স ১।
রেল স্টেশন সংলগ্ন বাক্সপাট্টিতে বাক্স শ্রমিক হিসেবে কাজ শুরু করলেও ‘শ্রমিকের’ আড়ালে সে এলাকায় চালিয়ে আসছিল নানা অপকর্ম। স্থানীয়রা জানায়, নিয়মিত মাদক সেবনকারী মনিরুল সব সময় ধারালো অস্ত্র নিয়ে চলাচল করতো। ভোরবেলায় স্টেশন এলাকার ছিনাতাই ঘটনার নেতৃত্ব দিতো। বহু ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী মনিরুলের ছিনতায়ের শিকার হয়েছেন। এলাকার নারী ও শিশুদের অলংকারও ছিনতাই করেছে মনিরুল।
এলাকাবাসী বলছেন, মনিরুলের চুরি ও ছিনতায়ের কারণে এলাকার মানুষ অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছিল। মাদকাসক্ত ও বখাটে হওয়ার কারণে অনেকেই প্রতিবাদ করতে পারতোনা। কেউ কেউ প্রতিবাদ করলে সে প্রাণনাশের হুমকী দিতো।
স্থানীয় সূত্র জানায়, মনিরুলের অপরাধ কর্মকান্ডকে ঘিরে স্কুল ছাত্রী সাথীর পিতা আব্দুস সামাদের সঙ্গে বিরোধ সৃষ্টি হয়। একটি মামলার আসামী হিসেবে মনিরুল জেল হাজাতে যাবার পর ১৫/২০ দিন আগে জামিনে জেলখানা থেকে বের হয়। পুলিশ বলছে, জেলখানা থেকে বের হওয়ার পর স্কুল ছাত্রীর পিতার সঙ্গে বিরোধের জের ধরে ওই ছাত্রীকে ছুরিকাঘাত করে বখাটে মনিরুল।
চাঁপাইনবাবগঞ্জের পুলিশ সুপার টিএম মোজাহিদুল ইসলাম চাঁপাইনবাবগঞ্জ নিউজ ডটকমকে বলেন, ‘আগে থেকেই স্কুল ছাত্রী সাথীর পিতার উপর মনিরুলের রাগ ছিল। সেই রাগ থেকেই সে সাথীকে ছুরিকাঘাত করেছে’। পুলিশ সুত্র জানিয়েছে, বুধবার সন্ধ্যায় চাঁপাইনবাবগঞ্জ পৌর এলাকার হরিপুরে পুলিশের হাতে আটক হবার পরও বখাটে মনিরুল দাম্ভিক উচ্চারণ করে। ওই সময় সে বলে ‘ ওকেতো (সাথীকে) ভাল মত মারতেই পারলামনা’। পিতার উপর প্রতিশোধ নিতেই মেয়ের উপর এই হামলা পুলিশের কাছে মনিরুল এমন স্বীকারোক্তি দিয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ সূত্র।
চাঁপাইনবাবগঞ্জ নিউজ/ নিজস্ব প্রতিবেদক/ ১৫-০৩-১৮
বুধবার চাঁপাইনবাবগঞ্জ শহরের হুজরাপুরস্থ বাক্সপট্টি এলাকায় স্কুল যাবার পথে রিক্সা গতিরোধ করে কামাল উদ্দীন উচ্চ বালিকা বিদ্যালয়ের ৬ষ্ঠ শ্রেণীর শিক্ষার্থী সাথী খাতুনকে এলোপাতাড়ি ছুরিকাঘাত করার ঘটনার পর সন্ত্রাসী মনিরুল সর্ম্পকে বেরিয়ে আসে নানান তথ্য। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এলাকাবাসী জানিয়েছেন তার নানা অপকর্মের কথা। পুলিশও জানিয়েছে মনিরুল চাঁপাইনবাববগঞ্জ সদর থানার একাধিক মামলার আসামী।
এলাকাবাসী জানায়, রেলবাগানের ফাক্কুর ছেলে মনিরুল। মাত্র ২৫ বছর বয়সে দু’টি বিয়ে করেছে। প্রথম বিয়ে করার পর তার (মনিরুলের) মাদকাসক্তি ও সন্ত্রাসী কর্মকান্ড জানতে পেরে প্রথম স্ত্রী তাকে ছেড়ে চলে যায়। পরে সে আবারও বিয়ে করে। তার দু’টি শিশু সন্তান রয়েছে। একটির বয়স ৫ অপরটি বয়স ১।
রেল স্টেশন সংলগ্ন বাক্সপাট্টিতে বাক্স শ্রমিক হিসেবে কাজ শুরু করলেও ‘শ্রমিকের’ আড়ালে সে এলাকায় চালিয়ে আসছিল নানা অপকর্ম। স্থানীয়রা জানায়, নিয়মিত মাদক সেবনকারী মনিরুল সব সময় ধারালো অস্ত্র নিয়ে চলাচল করতো। ভোরবেলায় স্টেশন এলাকার ছিনাতাই ঘটনার নেতৃত্ব দিতো। বহু ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী মনিরুলের ছিনতায়ের শিকার হয়েছেন। এলাকার নারী ও শিশুদের অলংকারও ছিনতাই করেছে মনিরুল।
এলাকাবাসী বলছেন, মনিরুলের চুরি ও ছিনতায়ের কারণে এলাকার মানুষ অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছিল। মাদকাসক্ত ও বখাটে হওয়ার কারণে অনেকেই প্রতিবাদ করতে পারতোনা। কেউ কেউ প্রতিবাদ করলে সে প্রাণনাশের হুমকী দিতো।
স্থানীয় সূত্র জানায়, মনিরুলের অপরাধ কর্মকান্ডকে ঘিরে স্কুল ছাত্রী সাথীর পিতা আব্দুস সামাদের সঙ্গে বিরোধ সৃষ্টি হয়। একটি মামলার আসামী হিসেবে মনিরুল জেল হাজাতে যাবার পর ১৫/২০ দিন আগে জামিনে জেলখানা থেকে বের হয়। পুলিশ বলছে, জেলখানা থেকে বের হওয়ার পর স্কুল ছাত্রীর পিতার সঙ্গে বিরোধের জের ধরে ওই ছাত্রীকে ছুরিকাঘাত করে বখাটে মনিরুল।
চাঁপাইনবাবগঞ্জের পুলিশ সুপার টিএম মোজাহিদুল ইসলাম চাঁপাইনবাবগঞ্জ নিউজ ডটকমকে বলেন, ‘আগে থেকেই স্কুল ছাত্রী সাথীর পিতার উপর মনিরুলের রাগ ছিল। সেই রাগ থেকেই সে সাথীকে ছুরিকাঘাত করেছে’। পুলিশ সুত্র জানিয়েছে, বুধবার সন্ধ্যায় চাঁপাইনবাবগঞ্জ পৌর এলাকার হরিপুরে পুলিশের হাতে আটক হবার পরও বখাটে মনিরুল দাম্ভিক উচ্চারণ করে। ওই সময় সে বলে ‘ ওকেতো (সাথীকে) ভাল মত মারতেই পারলামনা’। পিতার উপর প্রতিশোধ নিতেই মেয়ের উপর এই হামলা পুলিশের কাছে মনিরুল এমন স্বীকারোক্তি দিয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ সূত্র।
চাঁপাইনবাবগঞ্জ নিউজ/ নিজস্ব প্রতিবেদক/ ১৫-০৩-১৮
from Chapainawabganjnews http://ift.tt/2FCwNcd
March 15, 2018 at 10:04PM
0 মন্তব্য(গুলি):
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন