ধূপগুড়ি, ১৩ মার্চঃ বিয়ের হাত থেকে বাঁচতে বাড়ি থেকে পালিয়ে প্রতিবেশীদের সহযোগিতায় থানায় পৌঁছাল দশম শ্রেণীর ছাত্রী সোনালি বর্মন। ধূপগুড়ি পুর এলাকার ১৬ নম্বর ওয়ার্ডের বর্মনপাড়া এলাকার বাসিন্দা সোনালি বর্তমানে বিদ্যাশ্রম দিব্যজ্যোতি বিদ্যানিকেতনের ছাত্রী। জানা গিয়েছে, বাড়ির চার সন্তানের মধ্যে সব থেকে ছোটো সোনালি পড়াশোনা চালিয়ে যেতে চাইলেও তার পরিবার তাকে জোর করে বিয়ে দিতে চায়। তাই বাড়ি থেকে পালিয়ে পুলিশের কাছে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেয় সে।
পুলিশের কাথে মেয়েটি জানায়, এর আগে ক্লাস নাইনে পড়ার সময়েও একবার বিয়ে পাকা করে আশীর্বাদ অবধি সেরে ফেলেছিল পরিবারের লোকেরা। প্রতিবেশীদের চেষ্টায় সেবার কোনোক্রমে রক্ষে পেলেও ফের পরিবারের তরফে গোপনে তার বিয়ে দেওয়ার চেষ্টা চলতে থাকে। এজন্য কয়েকদিন থেকে তার স্কুল এবং টিউশন যাওয়াও বন্ধ করে দেয় পরিবারের লোকরা। সোনালি বলে, ‘আমাকে অসমে নিয়ে যাওয়ার পরিকল্পনা হচ্ছিল। আমি ভেবেছিলাম হয়তো আত্মীয়ের বাড়িতে যাওয়ার ব্যাপার হবে। কিন্তু দিদি ও মায়ের কথায় বুঝতে পারি ওরা আমাকে অসমে নিয়ে বিয়ে দিতে চায়। আমি আরও পড়াশোনা করতে চাই, তাই নিরুপায় হয়ে বাড়ি থেকে পালাই।’
সোনালি তার প্রাক্তন শিক্ষিকা দয়ামণি রায়কে নিয়েই ধূপগুড়ি থানায় পৌঁছায়। তবে পরিবারের লোকেদের অনেক বোঝানোর চেষ্টা করলেও তাঁরা কোনোভাবেই বিয়ে দেওয়ার বিষয়ে পিছু হটতে চাননি। শেষ পর্যন্ত, সোনালির ইচ্ছেমতো শিক্ষিকার সঙ্গে তাঁর বাড়িতে যায়।
এ ব্যাপারে ধূপগুড়ি পুরসভার ভাইস চেয়ারম্যান রাজেশকুমার সিং বলেন, ‘কিশোর পরিবারের সঙ্গে আলোচনার পাশাপাশি সবরকমভাবে মেয়েটির পাশে দাঁড়াব। কোনো অবস্থাতেই ওর পড়াশোনার ব্যাপারে হস্তক্ষেপ করা যাবে না।’
from Uttarbanga Sambad | Largest Selling Bengali News paper in North Bengal http://ift.tt/2p8jCWd
March 13, 2018 at 04:34PM
0 মন্তব্য(গুলি):
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন