ঢাকা, ১০ মার্চ- দেশের খেলাধুলায় নতুন সংযোজন যুব গেমসের উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এতোদিন আয়োজনের দিক দিয়ে বাংলাদেশ গেমসই ছিল দেশের সবচেয়ে বড় ক্রীড়া আসর। এবার এর সঙ্গে সংযোজন হলো যুব গেমসের। অনূর্ধ্ব-১৭ অ্যাথলেটদের নিয়ে অনুষ্ঠিত হচ্ছে এ গেমস। গেমসের প্রথম আসরকে স্মরণীয় করতে চূড়ান্ত পর্বের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে আজ শনিবার সন্ধ্যায় জমকালো এ গেমসের উদ্বোধন করেন। সন্ধ্যা ৬টা ৩৫ মিনিটে প্রধানমন্ত্রীর আগমন ও আসন গ্রহণের পর জাতীয় সংগীতের মধ্যে দিয়ে শুরু হয় উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের আনুষ্ঠানিকতা। এর আগে বিকেল চারটা থেকে পাঁচটা পর্যন্ত সংগীতানুষ্ঠান সাড়ে ৫টা থেকে ৬টা পর্যন্ত চলে ডিজে শো। এরপর মাঠে প্রবেশ করে বিভিন্ন ডিসিপ্লিনের ক্রীড়াবিদরা। ডিসপ্লে বোর্ডে প্রদর্শিত হয় বাংলাদেশের খেলাধুলার বিভিন্ন সাফল্য নিয়ে একটি প্রামাণ্যচিত্র। উদ্বোধনী অনুষ্ঠান ছিল দর্শকের জন্য উন্মুক্ত। জাতীয় সংগীতের পর ছিল অংশগ্রহণকারী আট দলের ক্রীড়াবিদ ও কোচদের মার্চপাস্ট। প্রথমে ছিল বরিশাল বিভাগের প্রতিযোগিরা। এরপর চট্টগ্রাম, ঢাকা, খুলনা, ময়মনসিংহ, রাজশাহী, রংপুর ও সর্বশেষ সিলেট বিভাগের প্রতিযোগিরা মার্চপাস্টে অংশ নেন। এসময় ডিসপ্লে বোর্ডে প্রতিটি বিভাগের দর্শনীয় স্থানসমূহ প্রদর্শিত হয়। মার্চপাস্টের পর স্বাগত বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ অলিম্পিক অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি ও সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল আবু বেলাল মোহাম্মদ শফিউল হক। এরপর বক্তব্য রাখেন গেমসের সাংগঠনিক কমিটির চেয়ারম্যান ও অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত। প্রধান অতিথি শেখ হাসিনা তার বক্তব্যে প্রথম যুব গেমস আয়োজনের প্রশংসা করে বলেন, প্রথম যুব গেমস আয়োজনের জন্য বাংলাদেশ অলিম্পিক অ্যাসোসিয়েশনকে ধন্যবাদ। যুব গেমসে অংশগ্রহণকারী অ্যাথলেটদের উদ্দেশ্য করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, এখানে অনেকেই হয়তো প্রথম রাজধানীতে এসেছে। খেলাধুলার মাধ্যমে একদিন অলিম্পিকে খেলার সুযোগ পাবে। যুবদের খেলাধুলার প্রয়োজনীয়তার কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, লেখাপড়ার পাশাপাশি সাংস্কৃতিক চর্চাও করতে হবে। খেলাধুলা নিয়মানুবর্তিতা, অধ্যাবসায়, দায়িত্ববোধ ও শৃঙ্খলা শেখায়। খেলাধুলার মাধ্যমে জঙ্গিবাদ, সন্ত্রাস দূরীকরণ করে সুন্দর সমাজ গঠনের ওপর গুরুত্বারোপ করেন প্রধানমন্ত্রী। সন্ধ্যা ৭টা ২৬মিনিটে গেমসের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী। আনুষ্ঠানিক উদ্বোধনের পর জ্বালানো হয় গেমসের মশাল। কমনওয়েলথ গেমস ও এসএ গেমসে স্বর্ণজয়ী শুটার আসিফ হোসেন খান প্রজ্বালন করেন গেমস মশাল। মাঠে মশাল প্রজ্বালন করলেও লেজারের মাধ্যমে তা চলে উত্তর গ্যালারির মশাল স্ট্যান্ডে। মশাল প্রজ্বালনের পরই মাঠ ত্যাগ করে গ্যালারিতে বসেন ক্রীড়াবিদরা। বেজে ওঠে থিম সং। মাঠে প্রবেশ করে গেমসের মাসকাট তেজস্বী (ব্যাঘ্র শাবক)। এরপর প্যারেট, নাচ-গানের মাধ্যমে পারফরমাররা ফুটিয়ে তোলেন দেশের নানা ঐতিহ্য। সাবিনা ইয়াসমিন শুরু করেন একটি বাংলাদেশ... তুমি আমার অহংকার দিয়ে। বাংলাদেশের অতীত, বর্তমান ও ভবিষ্যত নিয়ে ছিলো বিভিন্ন প্রদর্শনী। ডিসপ্লে বোর্ডে উঠে আসে ৫২ ভাষা আন্দোলন, মুক্তিযুদ্ধ, ৭ই মার্চের ভাষণ, যুদ্ধ পরবর্তী দেশের পুনর্গঠন। এরই ধারাবাহিকতায় বর্তমান সরকারের বিভিন্ন অর্জন, খেলাধুলায় বিভিন্ন সাফল্য তুলে ধরা হয়। অনুষ্ঠান শেষ হয় সাত মিনিটের লেজার শো, পাইরো ও আতশবাজির মধ্য দিয়ে। সূত্র: আরটিভি অনলাইন আর/১০:১৪/১০ মার্চ
from First Bangla interactive newspaper - Deshe Bideshe http://ift.tt/2p5dJrL
March 11, 2018 at 05:04AM
এতে সদস্যতা:
মন্তব্যগুলি পোস্ট করুন (Atom)
0 মন্তব্য(গুলি):
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন