ফেঞ্চুগঞ্জে ডাকাত আতঙ্কে রাতে পুলিশের পাশাপাশি গ্রামবাসীর পাহারা

ফেঞ্চুগঞ্জ প্রতিনিধি::     সিলেটের ফেঞ্চুগঞ্জ উপজেলায় গত কয়েক মাস যাবত প্রতিনিয়ত ডাকাতির ঘটনা ঘটছে। নিজেদের জান মাল রক্ষার্থে রাতে পুলিশের পাশাপাশি গ্রামবাসীও পাহারা দিচ্ছেন । কিন্তু সুফল মিলছে না। একদিকে পাহারা হলে অন্যদিকে ডাকাতির ঘটনা ঘটছে।

উপজেলার মল্লিকপুর গ্রামের শরিফ উদ্দিন বলেন, ডাকাত আতংকে রাতের ঘুম হারাম হয়ে গেছে। পুলিশ প্রতিদিনই টহল দিচ্ছে। কিন্তু ভরসা পাই না কারন পুলিশ একদিকে টহল দিলে ডাকতরা অন্য দিকে ডাকাতি করে। তাই প্রতি রাতে আমরা গ্রামবাসীরাও পাহারা দিচ্ছি ।

গত ১২ই এপ্রিল ডাকাতি সংঘটিত হয় ফেঞ্চুগঞ্জ ইলাশপুর গ্রামের আতাউর রহমানের বাড়িতে।পরের দিন মধ্যরাতে মল্লিকপুর কুতুবপুর গ্রামে অভিযান চালিয়ে একটি সি,এন,জি অটোরিকশাসহ চারজনকে গ্রেফতার করে ফেঞ্চুগঞ্জ থানা পুলিশ।কিন্তু আটককৃতরা নিরপরাধ নিরীহ বলে তাদের মুক্তি দাবি করে ৫ গ্রামের বৈঠক হয়। এর মধ্যে ডাকাতিতে যুক্ত নয় বলে একজনকে মুক্তি দেয় পুলিশ।

এর পরবর্তীতে গ্রামে পুলিশি অভিযান উদ্ধার তল্লাসি চলে। যে কারণে আতংকিত হয়ে পড়েন গ্রামবাসী। ডাকাতিতে নাম আছে নাম কাটাতে টাকার বাণিজ্য ও নানা গুজব ছড়ায় এক শ্রেনীর দালাল চক্র। যে কারণে সন্ধ্যায় আতংকে যুবক শুন্য হয়ে যায় মল্লিকপুর কুতুবপুর গ্রাম। গ্রামবাসী, ডাকাত চিহ্নিত করা আর পুলিশের অভিযানকে কেন্দ্র করে ইতিমধ্যে গ্রামে এক শ্রেনীর দালাল চক্রের আর্বিভাব ঘঠেছে।

এ ব্যপারে কুতুবপুর গ্রামের আসকর আলী বলেন, যে যাকে পারে ডাকাত বানাচ্ছে। পুলিশ ডাকাতের তালিকা করছে এই খবর শুনে দাললারা সক্রিয় হয়ে উঠেছে। তারা নাকি টাকা দিয়ে ডাকাতির তালিকায় নাম উঠাতে পারে আবার নাম কাটাতেও পারে। এখন আমরা সাধারন মানুষ কার কাছে যাবো। সব সময় ভয়ে থাকি কেউ না আবার শত্রুতা করে তালিকায় নাম দিয়ে দেয়।

এ ব্যাপারে ফেঞ্চুগঞ্জ থানার সাব ইন্সপেক্টর অমৃত দেব সিলেট টাইমস্ বিডিকে জানান এই সমস্যার সঠিক সমাধানের জন্য পুলিশি তদন্ত করছে। এজন্য কোন নিরপরাধ নিরীহ লোকের আতংকিত হবার কোন কারণ নাই। কোন নিরীহ লোককে পুলিশি হয়রানি করা হবে না।

তিনি আরো বলেন, তদন্ত পূর্বক যারা অপরাধের সাথে জড়িত তাদের কে গ্রেফতারের অভিযান চলছে। কোন নিরীহ লোককে গ্রেফতার করা হয়নি। যাদের নামে তথ্য পাওয়া গেছে তাদের গ্রেফতার করা হয়েছে। তদন্তের সার্থে সব সময় সব কিছু বলা যায় না বলে জানান এই কর্মকর্তা।



from Sylhet News | সুরমা টাইমস https://ift.tt/2Hd8bY6

April 19, 2018 at 07:04PM

0 মন্তব্য(গুলি):

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

 
Top