সরকারের নিকট থেকে মায়ের নামে ৪৩শতাংশ জায়গা বন্দোবস্ত নিয়ে মহা বিপাকে পড়েছেন এক ভূমিহীন কৃষক। ভূমি রক্ষার চেয়ে জীবন রক্ষাই এখন তার কাছে কঠিন হয়ে দাড়িঁয়েছে। ৫ভাই ২বোনসহ পরিবারের ২০সদস্যদের নিয়ে দিশেহারা হয়ে পড়ছেন তিনি। প্রতিপক্ষের লোকজনের হামলা মামলায় নিঃশ্বেষ হওয়া ওই কৃষকের নাম আব্দুর রুপ।
তিনি উপজেলার রামপাশা ইউনিয়নের পাচঘরি গ্রামের মৃত মরম আলীর ছেলে। ২০০৫ সালে জমি বন্দোবস্ত পাওয়ার পর থেকে জবর দখলসহ তাদের দখলে নিতে প্রতিপক্ষ একই গ্রামের সালেহ আহমদ, ফয়সল আহমদের নেতৃত্বে একাধিকবার হামলা করা হয়েছে।
জানাগেছে, ২০০৫ সালের ৪এপ্রিল থেকে ৪এপ্রিল ২১০৪সাল পর্যন্ত ৯৯বছরের বন্দোবস্ত পান আব্দুর রুপের মা জবেদুন বিবি। রামপাশা মৌজার ৫৭নং জেএল ১নং খতিয়ানে ৩০০২/৫২০৭ ও ৫২০৮ দাগে ৪৩শতক ভুমি বিশ্বনাথ সাবরেজিষ্ট্রি অফিসে রেজিষ্টারী কাবালা সম্পাদন করে দেওয়া হয়।
জীবিকা নির্বাহের একমাত্র মাধ্যম চাষাবাদের ওই জমি দখলে নিতে ২০১৬ সালের ১৮ মার্চ গাছ কাটলে আব্দুর রুপ তাদের বাঁধা দেন। এতে ক্ষীপ্ত হয়ে চুনু মিয়া নামের এক ভাড়াটিয়াসহ প্রতিপক্ষের সালেহ আহমদ আব্দুর রুপের বাড়িতে গিয়ে হামলা করে গুরুতর আহত করে। এঘটনায় আব্দুর রুপ থানায় অভিযোগ দায়ের করলে প্রতিপক্ষের লোকজন ২৮ জুন পুনরায় হামলা করে পরিবারের মহিলাসহ ৬জনকে গুরুতর জখম করে এবং আব্দুর রুপের স্ত্রী অন্ত:সত্ত্বা ফিরুজা বেগমের ১৬ সপ্তাহের গর্ভের সন্তান নষ্ট হয়। পরবর্তিতে আব্দুর রুপ বিশ্বনাথ থানায় আরেকটি মামলা দায়ের করেন (মামলা নং-২৩ তারিখ ২৮/০৬/২০১৬ইং)। একইদিনে আব্দুর রুপসহ ৬ জনের বিরুদ্ধে পাল্টা একটি মামলা দায়ের করেন প্রতিপক্ষের সালেহ আহমদ (মামলা নং-২২)। এরপর আব্দুর রুপ তার জান মালের নিরাপত্তা চেয়ে গত ৩১ জানুয়ারি সিলেটের নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট ২য় আদালতে ১০৭ ধারা মতে একটি মামলা দায়ের করেন, (মামলা নং- ২০/২০১৮)।
কৃষক আব্দুর রুপের অভিযোগ, প্রতিপক্ষের লোকজনের ভয়ে বর্তমানে তিনি বাড়ি ছাড়া। প্রতিপক্ষের লোকজন আদালতে আসা-যাওয়ার রাস্তায় প্রতিবন্ধকতা সৃষ্ঠি করে নানা হুমকি ধামকি দিচ্ছে। যেকোন সময় তাকে বা তার পরিবারের লোকজনকে হত্যা করতে পারে বলে আশংকা করছেন তিনি। ভুমি রক্ষার জন্য তিনি প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ চেয়েছেন।
from সিলেট – দ্যা গ্লোবাল নিউজ ২৪ https://ift.tt/2vAuwto
April 21, 2018 at 02:45PM
0 মন্তব্য(গুলি):
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন