মুক্তির জন্য গণঅভ্যুত্থান ঘটাতে হবে–মির্জা ফখরুল

সুরমা টাইমস ডেস্ক::    গণঅভ্যুত্থানের মাধ্যমে শুধু দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তি নয়, মানুষের মুক্তির জন্য জনগণের গণঅভ্যুত্থান ঘটাতে হবে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

বৃহস্পতিবার (১৯শে এপ্রিল) দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবে এসোসিয়েশন অব ইঞ্জিনিয়ার্স বাংলাদেশ আয়োজিত ‘বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার মুক্তি ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের দাবি’ শীর্ষক এক প্রতিবাদ সভায় তিনি এসব কথা বলেন।

মির্জা আলমগীর বলেন, এই সরকার বাংলাদেশকে যে অবস্থায় নিয়ে গেছে, সেখান থেকে বের হয়ে আসার অন্য কোনো পথ আছে বলে আমরা মনে করি না। তিনি বলেন, বর্তমান সরকারের বিভিন্ন রোল মডেলই হচ্ছে মিথ্যাচার। এই মিথ্যাচার দিয়ে তাদের অপকর্ম আড়াল করার চেষ্টা করা হচ্ছে। এই অবস্থা থেকে আমাদের মুক্তি পেতে হবে। সেই মুক্তি পাওয়ার একটিই মাত্র পথ, সেটা হচ্ছে বিএনপি নেতাকর্মীদের জনগণের কাছে যেতে হবে।

তিনি আরো বলেন, জনগণকে জাগিয়ে তুলতে হবে। জনগণকে নিয়ে এগিয়ে আসতে হবে। জনগণের গণঅভ্যুত্থান ঘটাতে হবে। খালেদা জিয়ার সাজার বিষয়ে প্রশ্ন তুলে তিনি বলেন, নিম্ন আদালতের হাকিম সাহেবরা উপর থেকে নির্দেশ আসার জন্য অপেক্ষা করতে থাকেন। নির্দেশ আসার পর তারা সিদ্ধান্ত দেন। নিম্ন আদালতের পর উচ্চ আদালতে কিছুটা ভরসা ছিল যে, রায়টা ঠিক হচ্ছে কি না তারা দেখেন। কিন্তু এখন সেটায়ও আর ভরসা করার মতো নেই।

মির্জা আলমগীর বলেন, সকল রাজনৈতিক দল ও যারা গণতন্ত্র চান আসুন আমরা একমত হই। সেটা হলো নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে একটি নিরপেক্ষ নির্বাচন চাই এবং গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার করতে চাই। এই ইস্যুতে একটি জাতীয় ঐক্য সৃষ্টি হওয়া প্রয়োজন। কোটা সংস্কার আন্দোলনের কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী কোটা পদ্ধতি বাতিল করতে পারেন না।

তিনি রাগ করে বলেন, উনি এটা করতে পারেন না। প্রধানমন্ত্রীর সেই এখতিয়ার নেই। এই ঘোষণাটা সংবিধানের বাইরের। ছাত্ররা চেয়েছিল কোটা পদ্ধতি সংস্কার। কিন্তু প্রধানমন্ত্রী সেটা না করে কোটা পদ্ধতি উঠিয়ে দিয়েছেন। কারণ তিনি জানেন যে, এটা আদালতে উঠলে আটকে দেয়া হবে। যার ফলে এখন পর্যন্ত গেজেট হয়নি। এখন পর্যন্ত অন্য কোন ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়নি।

আয়োজিত সংগঠনের সভাপতি প্রকৌশলী মাহমুদুর রহমানের সভাপতিত্বে বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শওকত মাহমুদ, ডা. এজেডএম জাহিদ হোসেন, বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের (একাংশ) সভাপতি রুহুল আমীন গাজী, জাতীয় প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি সৈয়দ আবদাল আহমেদ, বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক ফজলুল হক মিলন, শিক্ষা বিষয়ক সম্পাদক অধ্যক্ষ সেলিম ভূইয়া, সহ-প্রচার সম্পাদক শামীমুর রহমান শামীম, সহ-তথ্য ও গবেষণা বিষয়ক সম্পাদক কাদের গনি চৌধুরী প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।



from Sylhet News | সুরমা টাইমস https://ift.tt/2Hf8ZYt

April 20, 2018 at 07:58PM

0 মন্তব্য(গুলি):

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

 
Top