বলিউডের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে দাপটে এগিয়ে যাচ্ছে তেলেগু ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রি। আকাশ সংস্কৃতি ও অনলাইনের কল্যাণে এদেশের মানুষের কাছে তেলেগু সিনেমা বেশ পরিচিত। এবার একটি তেলেগু সিনেমায় প্রধান নায়িকা চরিত্রে অভিনয় করলেন বাংলাদেশের মেয়ে মেঘলা মুক্তা। মেঘলা ঢাকাই সিনেমার এ প্রজন্মের নায়িকা। মডেলিংয়ের মাধ্যমে শোবিজে নাম লেখান তিনি। প্রথমবারের মতো ভিনদেশি সিনেমায় কাজ করতে পেরে দারুণ আনন্দিত এই নায়িকা। সম্প্রতি দেশে ফিরে মুখোমুখি হয়েছেন মেঘলা। এ সময় তেলেগু সিনেমায় যুক্ত হওয়াসহ শুটিংয়ের নানা অভিজ্ঞতার কথা জানান। সাক্ষাৎকার নিয়েছেন জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক এ এইচ মুরাদ। তেলেগু সিনেমায় নাম লেখালেন। প্রথমেই সিনেমাটি সম্পর্কে জানতে চাই? জীবনের প্রথম এমন বড় আয়োজনের কোনো সিনেমায় কাজ করলাম। ভীষণ ভালো লাগছে। আপনি জানেন আমি বেশ কয়েকবছর ধরেই ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রিতে কাজ করছি। আমার অভিনীত নতুন সিনেমার নাম সাকালাকালাভাল্লাবুডু এটি তেলেগু ভাষা। সাকালাকালাভাল্লাবুডুর ইংরেজি অর্থ হলো অল-রাউন্ডার। পরিচালনায় শিভা গণেশ। আমার বিপরীতে আছেন তানিস্ক রেড্ডি। আর আমার বাবার চরিত্রে অভিনয় করেছেন সেখানকার গুণী অভিনেতা সুমান টেলওয়ার। সিনেমাটি সিমহা ফিল্মস অ্যান্ড ইউভান টুরিং টকিসের ব্যানারে মুক্তি পাবে। সাকালাকালাভাল্লাবুডু সিনেমার সঙ্গে কীভাবে যুক্ত হলেন? গত ডিসেম্বরে আমি ১ দিনের জন্য ভারতে যাই একটি অডিশনে অংশ নেয়ার জন্য। তারপর জানুয়ারির ১ তারিখে তারা আমাকে সিনেমাটির জন্য চূড়ান্ত করেন। জানুয়ারির ৪ তারিখে আমি হায়দারাবাদ যাই। সেখানেই আমার সিনেমার শুটিং হয়। গেলো তিন মাস ধরে সিনেমাটির কাজ করছি। গান থেকে শুরু করে সবকিছু শেষ। পুরো সিনেমার শুটিং শেষ করে দেশে এসেছি। এখন শুধু মুক্তির অপেক্ষা। আমি সামনে আবারও ভারতে যাব এই সিনেমার অডিও প্রকাশনা অনুষ্ঠানে যোগ দেয়ার জন্য। সিনেমাটিতে কাজ করতে গিয়ে ভাষা নিয়ে কোনো সমস্যা হয়েছে কি? ভাষার বিষয়টি নিয়ে আমি প্রথমে কিছুটা ভয় পেয়েছিলাম। কারণ আপনি জানেন তেলেগু ভাষাটা আমাদের জন্য বেশ কঠিন। তবে বেঙ্গালোরে আমাদের অডিশন হয়। অডিশনটা মূলত হিন্দি ভাষায় হয়ে থাকে। আর তারা অভিনয় এবং নাচের কতটা পারদর্শী এই বিষয়টির দিকে গুরুত্ব দিয়ে থাকেন। পরে তো আমাকে তারা চূড়ান্ত করলেন। তারপর... আমাকে যখন তারা চূড়ান্ত করে, তারপর ভাষার বিষয়টি নিয়ে জানতে চাই। তখন তারা বলেন, তেলেগু সিনেমায় অনেক বাইরের নায়িকা কাজ করেন। যারা কাজ করেন অনেকেই তেলেগু ভাষা জানেন না। আমি অবশ্য বেসিক তেলেগু ভাষার উপরে ১৫দিনের একটি কর্মশালায় অংশ নিয়েছিলাম। এছাড়াও শুটিংয়ের আগেরদিন পরিচালক আমাকে স্ক্রিপ্ট শোনাতেন। আর আমি সেটি বাংলাতে লিখে নিতাম। তারপর পরিচালককে শোনাতাম। এভাবে প্রতিদিন রাত দেড়টা-দুটা বেজে যেত। আর এই ভাষা শেখার ব্যাপারে সহকারী পরিচালক সামান্তার কাছে থেকে অনেক সহযোগিতা পেয়েছি। বেশিরভাগ সময় দেখা যেত ভোর ৫টায় কলটাইম। সবমিলে দুই তিন ঘণ্টা ঘুমানোর সুযোগ পেতাম। কারণ ওদের ৫টা মানে রাইট ৫টাতেই সেটে উপস্থিত থাকতে হবে। তারা সময়ের ব্যাপারে ভীষণ সিনসিয়ার। এমন হতো যে স্ক্রিপ্ট পড়তে পড়তে ঘুমিয়ে যেতাম আবার সকালেও একইভাবে চর্চা করে শুটিং সেটে যেতাম। সিনেমার গল্পটি সম্পর্কে জানতে চাই? এটি রোমান্টিক অ্যাকশন-কমেডি মুভি বলতে পারেন। আমি একজন পুলিশ অফিসারের মেয়ের চরিত্রে অভিনয় করেছি। সেখানে ভিলেন আমাকে পছন্দ করেন। একটা পর্যায়ে আমাকে কিডন্যাপ করা হয়। অন্যদিকে নায়ক আমাকে উদ্ধার করেন। পুরো মুভিটি চোর-পুলিশ খেলার মতো বলতে পারেন। প্রতিটা মুহূর্তে এক ধরনের উত্তেজনা থাকবে। তেলেগু সিনেমায় প্রথম অভিনয় সহকর্মীদের কাছে কেমন সহযোগিতা পেয়েছেন? প্রতিটি মানুষ খুবই ভালো। পরিচালক, হিরোসহ ইউনিটের সবার কাছ থেকে সহযোগিতা পেয়েছি। আমি ওদের ওখানে নতুন। তাদের পক্ষ থেকে আন্তরিকতার কোনো অভাব ছিল না। এছাড়াও স্থানীয় গণমাধ্যমেও আমাকে নিয়ে প্রচুর কাভারেজ হয়েছে। একটা নিউজের শিরোনাম ছিল ঢাকা টু টলিউড (তেলেগু ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রি)। এছাড়াও অনেক চ্যানেলে সাক্ষাৎকার নিয়েছে। নতুন জায়গাতে কাজ করলেও সেটি আমার কাছে অচেনা মনে হয়নি। সূত্র: আরটিভি এমএ/ ১১:৪৪/ ০৬ মার্চ
from First Bangla interactive newspaper - Deshe Bideshe https://ift.tt/2Js9Qqq
April 07, 2018 at 05:52AM
এতে সদস্যতা:
মন্তব্যগুলি পোস্ট করুন (Atom)
0 মন্তব্য(গুলি):
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন