গোলাপগঞ্জ প্রতিনিধি:: সিলেটের গোলাপগঞ্জে প্রতিপক্ষের ছুরিকাঘাতে স্কুলছাত্র আমির হোসেন (১৮) খুনের ঘটনায় থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। গতকাল বুধবার (১৮ই এপ্রিল) নিহতের মা পারভীন বেগম বাদী হয়ে ১৫ জন আসামীর নাম উল্লেখ করে এ মামলা নং-১০ দায়ের করেন।
ঘটনার পর মহিলাসহ ৫ জনকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ শেষে ৪ জনকে গ্রেফতার দেখিয়েছে পুলিশ। ইছরাব আলীর পুত্র মহন আহমদকে (১৮) পুলিশ জিজ্ঞাসাবাদের পর ঘটনার সাথে সম্পৃক্ততা না পেয়ে ছেড়ে দেয়।
গ্রেফতারকৃতরা হলেন- বসন্তপুর গ্রামের মৃত আব্দুল মনাফ বাবুলের স্ত্রী হাছনা বেগম (৫০), মৃত সাজ্জাদ আলীর পুত্র জয়নাল আবেদিন (৪০), আফতাব আলীর পুত্র ফজলে রাব্বি মুন্না (১৮), একই গ্রামের ইছরাব আলীর পুত্র রিপন আহমদ রনি (৩৫)।
নিহত স্কুল ছাত্র শরীফগঞ্জ ইউনিয়নের বসন্তপুর গ্রামের আং হকের (বাক প্রতিবন্ধী) দ্বিতীয় পুত্র ও মানিককোনা উচ্চ বিদ্যালয় ও কলেজের এস,এস,সি পরীক্ষার ফল প্রত্যাশী ছিল।
মামলার এজাহারে উল্লেখিত অন্যান্য আসামীরা হলো – বসন্তপুর গ্রামের মৃত বাবুল মিয়ার পুত্র জাহেদ আহমদ (২৮) ও তানভীর আহমদ (২৪), একই গ্রামের আলতাব আলীর পুত্র দোলাল আহমদ (৩৮) ও মারুফ আহমদ (২৮), আফতাব আলীর পুত্র আব্দুল কাদির (২৬), মৃত রইছ আলীর পুত্র আনার উদ্দিন আনাই (৩৮), ইছরাব আলীর পুত্র ছালেহ আহমদ (২৯), ইলিয়াস আলীর পুত্র মজনু মিয়া (৩৬), পংকী মিয়ার পুত্র জাবের হোসেন (২৮), কুটু মিয়ার পুত্র রুশন মিয়া (৩৫) এবং মৃত সাজ্জাদ আলীর পুত্র জয়নাল আহমদ (৩৪)।
এজাহার ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, এক বছর আগের ক্যারাম খেলাকে কেন্দ্র করে একই গ্রামের মৃত বাবুল মিয়ার পুত্র তানভীর জাহেদসহ কয়েক জনের সাথে আমিরের হোসেনের হাতাহাতি হয়। এর জের ধরে তাদের সাথে মামলা মোকদ্দমা চলে আসছিল।
গত মঙ্গলবার রাত ৮ টায় স্থানীয় বসন্তপুর বাজারে অভিযুক্ত মৃত বাবুল মিয়ার পুত্র তানভীর ও জাহেদ আরো কয়েক জন মিলে নিহত আমির হোসেনকে এলোপাথাড়ি ছুরিকাঘাত করে পালিয়ে যায়। পরে স্থানীয়ারা মুমূর্ষু অবস্থায় আমির হোসেন কে সিলেট ওসমানী হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পথে তার মৃত্যু হয়।
এ ব্যাপারে গোলাপগঞ্জ মডেল থানার ওসি ফজলুল হক শিবলি বলেন, এ ঘটনায় এজাহার ভুক্ত ৪ জন আসামীকে গ্রেফতার করা হয়েছে। অপর আসামীদের গ্রেফতারের চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে।
from Sylhet News | সুরমা টাইমস https://ift.tt/2HccxLe
April 19, 2018 at 09:38PM
0 মন্তব্য(গুলি):
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন