আবারও ফেসবুক বন্ধের সিদ্ধান্ত নিচ্ছে সরকার……..

সুরমা টাইমস ডেস্ক::  জাতীয় নির্বাচনের বছরে গাজীপুর ও খুলনা সিটি নির্বাচনকে সামনে রেখে অপপ্রচার ও গুজব ছাড়ানো রোধে সোশ্যাল মিডিয়া ফেসবুক নিয়ন্ত্রণ করতে বিটিআরসি ও অপারেটরদের সঙ্গে বৈঠক করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। সেক্ষেত্রে পূর্ব নির্ধারিত ভোটের দিন ফেসবুক বন্ধ রাখার প্রস্তাব করবে সাংবিধানিক এ প্রতিষ্ঠানটি।

ইসি সূত্র জানায়, সোশ্যাল মিডিয়া ফেসবুকে অপপ্রচার ও গুজব ছাড়ানো নিয়ে দুশ্চিন্তায় আছে ইসি। এটি নিয়ন্ত্রণের জন্য আগামী মে মাসে বিটিআরসির সঙ্গে বৈঠক হবে। বৈঠকের কার্যপত্র থেকে জানা যায়, দুই সিটি ভোটের আগের দিন ও ভোটের দিন ফেসবুক বন্ধ রাখার অনুরোধ করবে ইসি। সেটি সম্ভব না হলে অন্তত ভোটের দিন ফেসবুক বন্ধ রাখতে বলা হবে। এছাড়া নির্বাচনের কয়েকদিন আগে থেকে কীভাবে সকল সোশ্যাল মিডিয়া নিয়ন্তণ করা যায় সে বিষয় গুলো আলোচনা হবে বৈঠকে।

ইসি সচিব হেলালুদ্দীন আহমদ বলেন, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে গুজব ছড়িয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে অশান্ত পরিবেশ সৃষ্টি হয়েছে। ভোটেও অপপ্রচার ও গুজব ছড়ানোর শঙ্কা রয়েছে। বিষয়টি বিবেচনায় নিয়ে অপপ্রচার ও গুজব ছড়ানো যাতে না করা হয়; সেজন্যে কীভাবে সোশ্যাল মিডিয়া নিয়ন্ত্রণ করা যায় তা নিয়ে আমরা বিটিআরসির সঙ্গে বৈঠক করব।

এদিকে ইসির নাম ও লোগো ব্যবহার করে যে সব ফেক ফেসবুক পেইজ ও গ্রুপ ব্যবহার করা হচ্ছে সেই পেইজগুলো বন্ধ করে দিতে বিটিআরসিকে চিঠি দিয়েছে নির্বাচন কমিশন। ইসির সহকারী প্রেগ্রামার সিফাত জাহান স্বাক্ষরিত চিঠিতে বলা হয়, বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের জন্য একটি অনুমোদিত ফেসবুক পেইজ বাংলাদেশ ইসিএস এবং ফেসবুক গ্রুপ বাংলাদেশ ইসি নামে রয়েছে। সাম্প্রতি কে বা কাহারা ইসিএস ডট গভমেন্ট নামে একটি অননুমোদিত ফেসবুক পেইজ খুলেছে। এতে ইসির লোগো ব্যবহার করা হয়েছে। এই পেইজে বিভিন্ন মিথ্যা তথ্য প্রকাশ করা হচ্ছে। এ কারণে ফেক এ পেইজটি বন্ধ করার অনুরোধ করছে ইসি।

নির্বাচন কমিশনের কর্মকর্তারা বলেন, গাজীপুর ও খুলনা সিটি নির্বাচন সুষ্ঠু করতে গণমাধ্যমকে কাজে লাগাতে চাই ইসি। ভোটের দিন ভোটকেন্দ্র থেকে সরাসরি সম্প্রচার ও অপ্রীতিকর ঘটনা এড়িয়ে সুশৃঙ্খলভাবে কাজ করার বিষয়ে গণমাধ্যম কর্মীদের সঙ্গেও মত বিনিময় করবে নির্বাচন কমিশন। মিডিয়া ও নির্বাচন কর্মকর্তাদের মধ্যে যেন ভুল বোঝাবুঝি না হয় সে জন্যে গণমাধ্যমের সঙ্গে মে মাসের প্রথম সপ্তাহে মত বিনিময় করা হবে। কীভাবে গণমাধ্যমকে ইসির সহায়ক শক্তি করা যায় সে বিষয়ে আলোচনা হবে।

সূত্র জানায়, গাজীপুর ও খুলনা সিটি করপোরেশন নির্বাচনে আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় কঠোর অবস্থানে থাকবে ইসি। ভোটকেন্দ্রের নিরাপত্তা ও ভোটারদের উপস্থিতি নির্বিঘ্ন করতে ইসি এ দুই সিটিতে পুলিশ, র‌্যাব ও আনসারের পাশাপশি ৪৫ প্লাটুন বিজিবি মোতায়েন রাখবে। সেক্ষেত্রে গাজীপুর থাকছে ২৯ প্লাটুন ও খুলনায় থাকছে ১৬ প্লাটুন বিজিবি।

দুই সিটিতে দলীয় প্রতীকে প্রথম সিটি ভোট হওয়ায় এখানে বাস্তবতা বিবেচনায় নিয়ে বেশি হারে পুলিশ, এপিবিএন, ব্যাটালিয়ান আনসার, র‌্যাব ও বিজিবি মোতায়েন করা হবে। দুই সিটি করপোরেশন নির্বাচনে সাধারণ ভোটকেন্দ্রে ২২ জন ও গুরুত্বপূর্ণ ভোটকেন্দ্রে ২৪ জন নিরাপত্তা সদস্য মোতায়েন রাখা হবে। পুলিশ, এপিবিএন ও ব্যাটালিয়ন আনসারের সমন্বয়ে প্রতিটি সাধারণ ওয়ার্ডে একটি করে মোবাইল ফোর্স এবং প্রতিটি সংরক্ষিত ওয়ার্ডে একটি করে স্ট্রাইকিং ফোর্স থাকবে।

আগামী ১৫ মে গাজীপুর ও খুলনা সিটিতে ভোটগ্রহণ করবে নির্বাচন কমিশন। ৫৭টি সাধারণ ও ১৯টি সংরক্ষিত ওয়ার্ড নিয়ে গাজীপুর সিটি করপোরেশন গঠিত। এখানে ভোটার সংখ্যা ১১ লাখ ৬৪ হাজার ৪২৫ জন। খুলনা সিটি করপোরেশন গঠিত ৩১টি সাধারণ এবং ১০টি সংরক্ষিত ওয়ার্ড নিয়ে। এখানে মোট ভোটার ৪ লাখ ৯৩ হাজার ৪৫৪।



from Sylhet News | সুরমা টাইমস https://ift.tt/2r7lLSe

April 28, 2018 at 08:47PM

0 মন্তব্য(গুলি):

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

 
Top