সুরমা টাইমস ডেস্ক:: বাংলাদেশ ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সদ্য বহিষ্কৃত সাহিত্য বিষয়ক সম্পাদক খালেদা হোসেন মুন তার বহিষ্কারাদেশ গঠনতন্ত্রবহির্ভূত বলে দাবি করেছেন। তিনি অভিযোগ করেন, তাকে কারণ না দেখিয়ে বহিষ্কার করা হয়েছে। তাকে আত্মপক্ষ সমর্থনের সুযোগও দেওয়া হয়নি। আজ বৃহস্পতিবার (১৯শে এপ্রিল) বিকালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিক সমিতির সভাকক্ষে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ অভিযোগ করেন।
একইসঙ্গে খালেদা হোসেন মুন তাকে বহিষ্কারের কারণ গণমাধ্যমের মাধ্যমে বাংলাদেশ ছাত্রলীগের সভাপতি সাইফুর রহমান সোহাগ ও সাধারণ সম্পাদক এস এম জাকির হোসাইনের কাছে জানতে চান।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কবি সুফিয়া কামাল হলের ১০ই এপ্রিলের ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে ২৪ জনকে ছাত্রলীগ থেকে বহিষ্কার করা হয়। গত ১৭ই এপ্রিলের ওই বহিষ্কারাদেশে সাহিত্য বিষয়ক সম্পাদক মুনও রয়েছেন।
খালেদা হোসেন মুন সংবাদ সম্মেলনে বলেন, ‘আমাকে বহিষ্কারের আগে আমার কী দোষ তা আমাকে বলা হয়নি, বহিষ্কারের আগে আমাকে আত্মপক্ষ সমর্থনের সুযোগ দেওয়া হয়নি, এমনকি কী কারণে আমাকে বহিষ্কার করা হলো, তা এখনও আমি জানি না। এমন বহিষ্কার ছাত্রলীগের গঠনতন্ত্রবহির্ভূত।’
লিখিত বক্তব্যে খালেদা হোসেন মুন বলেন, ‘আমি একবছর আগে হল ছেড়ে দিয়েছি এবং গত (১০ই এপ্রিল) রাতে কবি সুফিয়া কামাল হলে যে ঘটনা ঘটেছে, সেদিন আমি হলে উপস্থিত ছিলাম না । সেদিন রাতে কী ঘটেছে, সেটাও আমি জানতাম না। আমাকে কয়েকজন কেন্দ্রীয় নেতা ফোন করলে আমি তদের বলেছিলাম, আমি হলের বাইরে আাছি। আমি সেই রাতে হলে যাওয়ার জন্য তদের কাছে সহযোগিতাও চেয়েছিলাম। কিন্তু তারা সহযোগিতা করেননি, উল্টো আমাকে বহিষ্কার করেছেন।’
তিনি বলেন, ‘আমাকে যে তদন্ত কমিটি রিপোর্টের ওপর ভিত্তি করে বহিষ্কার করা হয়েছে, সে তদন্ত কমিটির প্রতি আমার আস্থা নেই। এছাড়া তদন্তে সহযোগিতা করার জন্য আমাকে ডাকা হয়নি, আমার বক্তব্য নেওয়া হয়নি। ফলে আমি মনে করি, তদন্ত সুষ্ঠু হয়নি। পুনরায় সুষ্ঠু তদন্তের ভিত্তিতে সেদিনের ঘটনার সঙ্গে যারা প্রকৃতপক্ষে জড়িত তাদের শাস্তি দাবি করছি। আমাকে অগঠনতান্ত্রিকভাবে সংগঠন থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে, এর জবাব ছাত্রলীগকে দিতে হবে।’
সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘মোর্শেদা আমার অনুসারী ছিল, কিন্তু সে এশার হাত ধরেই হলে উঠেছে এবং তার রাজনীতি করেছে। কিন্তু এশা ছাত্রীদের ওপর শরীরিক নির্যাতন করে, এমন কোনও অভিযোগও বিগত সময়ে কোনও ছাত্রী আমার কাছে করেনি।’
অন্য এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘তদন্ত কমিটিতে যারা ছিল, তাদের সঙ্গেও আমার কোনও বিরোধ ছিল না।’
গত ১০ই এপ্রিল দিবাগত রাতে কবি সুফিয়া কামাল হলে মোর্শেদা খানম নামের এক ছাত্রীর পায়ের রগ কেটে দেওয়ার অভিযোগে হল সভাপতি ইফফাত জাহান এশাকে ছাত্রলীগ থেকে বহিষ্কার করা হয়। পরে এ ঘটনায় ছাত্রলীগ একটি তদন্ত কমিটি গঠন করে। সেই কমিটির তদন্তে এশা নির্দোষ প্রমাণিত হলে বহিষ্কারাদেশ তুলে নেয় ছাত্রলীগ।
from Sylhet News | সুরমা টাইমস https://ift.tt/2He4CRK
April 19, 2018 at 09:22PM
0 মন্তব্য(গুলি):
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন