(অনুসন্ধানী প্রতিবেদন)–কুলাউড়া প্রতিনিধি :: মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জে চলন্ত সিএনজি-অটোরিকশায় কলেজছাত্রীকে শ্লীলতাহানির চেষ্টার অভিযোগের দায়েরকৃত মামলার আসামি কমলগঞ্জ ফায়ার সার্ভিস স্টেশনের ফায়ারম্যান হানিফ উল্ল্যাকে (৩০) অটোকশাসহ আটক করেছে কমলগঞ্জ থানা পুলিশ।
শনিবার (৩১শে মার্চ) বিকেলে ৫টায় উপজেলার আলীনগর ইউনিয়নের রামেস্বর পুর গ্রাম থেকে তাকে আটক করা হয়। হানিফকে আটকের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন কমলগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. মোক্তাদির হোসেন।
উল্লেখ্য, মৌলভীবাজার সরকারি মহিলা কলেজের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের অনার্স প্রথম বর্ষের এক ছাত্রী জেনুইন কম্পিউটার ট্টেনিং সেন্টারে কোর্স করতো। প্রতিদিনের মতো বৃহস্পতিবার ট্রেনিং সেন্টার থেকে বের হয়ে বাড়ি ফেরার জন্য সিএনজি-অটোরিকশায় উঠে বসে। এ সময়ে গাড়ির চালক মুন্সীবাজারের মইডাইল গ্রামের আব্দুল মতলিব (২৫) পূর্বপরিকল্পিতভাবে গাড়ির পেছনে বসে। আর গাড়ি চালাতে দেয় কমলগঞ্জ ফায়ার সার্ভিস স্টেশনের ফায়ারম্যান হানিফ উল্ল্যাকে (৩০)।
গাড়িটি কিছুদূর যেতেই আব্দুল মতলিব শ্লীলতাহানির চেষ্টা করে। এ সময়ে ওই ছাত্রী গাড়ি থামাতে হানিফ উল্ল্যাকে বারবার অনুরোধ করা সত্ত্বেও গাড়ি থামায় নি চালক। এক পর্যায়ে সম্ভ্রম বাঁচাতে গাড়ি থেকে লাফ দেয় ওই ছাত্রী। এতে তার হাত, মাথা ও শরীরের বিভিন্ন স্থানে গুরুতর আঘাত লাগে। পরে স্থানীয় পথচারীরা তাকে কমলগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়। সেখানে অবস্থার অবনতি হলে তাকে মৌলভীবাজার সরকারি হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়।
ওই ছাত্রীর মা ঘটনায় জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান। এ ঘটনায় গত শুক্রবার ছাত্রীর কাকা বাদী হয়ে দু’জনকে আসামি করে কমলগঞ্জ থানায় মামলা করেন।
from Sylhet News | সুরমা টাইমস https://ift.tt/2pQgK0v
April 01, 2018 at 02:50AM
0 মন্তব্য(গুলি):
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন