বিশ্বনাথে ইউপি সদস্যের বিরুদ্ধে অর্থআত্মসাতের অভিযোগ

imagesবিশ্বনাথ (সিলেট) প্রতিনিধি :: সিলেটের বিশ্বনাথে এক ইউপি সদস্যের বিরুদ্ধে সরকারী অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ পাওয়া গেছে। উপজেলা সদর ইউনিয়নের ৯নং ওয়ার্ডের সদস্য হেলাল মিয়ার বিরুদ্ধে জেলা প্রশাসক বরাবরে এ অভিযোগ দেন পুরান বাজারের মৃত সুরাজ মিয়ার স্ত্রী সুফিয়া বেগম। হেলাল হরিকলস গ্রামের মশাই মিয়ার পুত্র।
অভিযোগে উল্লেখ করা হয়, প্রতি মাসে দশহাজার টাকা পাবেন-এমন আশ্বাসে সুফিয়াকে এক বছর পূর্বে সরকারের অতি দরিদ্রদের জন্যে কর্মসংস্থান কর্মসূচি (ইজিপিপি) ২০১৭-২০১৮ইং সালের একটি জবকার্ড (যার নিবন্ধন নং-৩১, ভোটার আইডি নং-৯১১২০২১৫৮৫৭১৭ এবং কৃষি ব্যাংক বিশ্বনাথ উপজেলা শাখার হিসাব নং-১০০১২) করে দিলেও তাকে কখনোই কর্মসৃজন কাজে নেননি ইউপি সদস্য হেলাল মিয়া। এরমধ্যে কৃষি ব্যাংকের একাউন্ট থেকে ১০/১২হাজার টাকা উত্তোলন করলে সেখান থেকেই তিনি সুফিয়ার টাকাগুলো নিয়ে যান। গত ২২ এপ্রিল বিকেলে হেলাল বাসায় গিয়ে সুফিয়াকে কৃষি ব্যাংকে যেতে অনুরোধ করলে তিনি অনীহা প্রকাশ করেন। পরে লোক পাঠিয়ে জোর করে সুফিয়াকে ব্যাংকে নিয়ে যান তিনি। সেখানে হেলাল মিয়ার কথামত চেকে স্বাক্ষর না দিলে তাকে দেখে নেয়ার হুমকী দেন। এসময় আজাদ খান ও ব্যাংক ম্যানেজারসহ অন্যান্য কর্মকর্তাদের সহযোগিতায় সুফিয়া বাসায় ফিরে আসেন। তবে, চেকটি ব্যাংক ম্যানেজারের কাছে রাখা হয়। অভিযোগে সুফিয়া আরও উল্লেখ করেন, তিনি তুলনামূলক লেখাপড়া কমজানা মহিলা হওয়ায় তার নাম ব্যবহার করে ব্যাংক থেকে সরকারের টাকা উত্তোলন করে আত্মসাৎ করেছেন ইউপি সদস্য হেলাল মিয়া। এ নিয়ে প্রথমে থানার ওসি বরাবরে অভিযোগ দিলেও প্রভাবশালী ইউপি সদস্য হওয়ায় হেলালের বিরুদ্ধে তিনি কোনো ব্যবস্থা নেননি।
অভিযুক্ত ইউপি সদস্য হেলাল মিয়া সুফিয়া বেগমের অভিযোগটি ভিত্তিহীন উল্লেখ করে বলেন, কর্মসংস্থান কর্মসূচির টাকা মাসে মাসে উত্তোলনের কোনো নিয়ম নেই। ২২ এপ্রিল সুফিয়া ব্যাংকে টাকা উত্তোলন করতে গেলে জাহারগাঁও গ্রামের ওয়ারিছ খানের পুত্র আজাদ খান তাকে মারধোর করে ব্যাংক থেকে বের করে নিয়ে যান।
তবে, আজাদ খান হেলাল মিয়ার অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, হেলাল জোর করে সুফিয়াকে ব্যাংকে নিয়ে তার টাকা উত্তোলন করছেন শুনে আমি সেখানে যাই।
কৃষি ব্যাংক বিশ্বনাথ শাখার ম্যানেজারের সাথে কথা বলতে তার মুঠোফোনে কল এবং ক্ষুদেবার্তা পাঠালেও তিনি কল রিসিভ করেননি।
থানার ওসি (তদন্ত) দুলাল আকন্দ বলেন, এ সংক্রান্ত কোনো অভিযোগ পাইনি।
সদর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ছয়ফুল হক বলেন, কর্মসংস্থান কর্মসূচি প্রকল্পে অনিয়ম হতে পারে, তবে দুর্নীতি হয়নি। জবকার্ড বিষয়টি দেখার জন্যে আমরা কাল বসব। তবে, ওই মহিলা টাকা না পেয়ে থাকলে আমাকে অথবা পিআইও কিংবা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে জানাতে পারতেন। সেটা না করে জেলা প্রশাসক বরাবরে অভিযোগ দেয়াটা রহস্যজনক মনে হচ্ছে।


from সিলেট – দ্যা গ্লোবাল নিউজ ২৪ https://ift.tt/2HU1R55

April 23, 2018 at 09:23PM

0 মন্তব্য(গুলি):

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

 
Top