শচীন টেন্ডুলকার, সৌরভ গাঙ্গুলী ভিভিএস লক্ষ্মণ এবং বীরেন্দ্রর শেহবাগের মতোই জাতের প্লেয়ার ছিলেন গৌতম গম্ভীর। ২০০৮ থেকে ২০১১ সাল পর্যন্ত তিন ফরম্যাটেই ওপেনার হিসেবে এ ক্রিকেটার ছিলেন ভারতের অন্যতম ব্যাটিং স্তম্ভ। তবে প্রতিভা থাকা সত্ত্বেও শচীনদের কাতারে নিজেকে নিয়ে যেতে পারেননি গম্ভীর। মহেন্দ্র সিং ধোনির অধিনায়কত্বে ভারতীয় দলে ধোনির পরেই অবস্থান ছিল গম্ভীরের। ক্যাপ্টেনকুলের অনুপস্থিতিতে দলকে নেতৃত্বও দিয়েছেন দিল্লির এ ব্যাটসম্যান। এত কিছুর পরও নিজের অহংকার ও আচরণের কারণে ভারতীয় দল থেকে বাদ পড়েছেন গৌতম গম্ভীর। ২০০৭ সালের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ এবং ২০১১ সালের ৫০ ওভারের বিশ্বকাপ জয়ী দলের নিয়মিত সদস্য ছিলেন গম্ভীর। দুই বিশ্বকাপের ফাইনালেও সর্বোচ্চ স্কোরার হিসেবে তার নাম উজ্জ্বল অক্ষরে লেখা রয়েছে। এমন অনেক ঐতিহাসিক রেকর্ডের মালিক হওয়া সত্ত্বেও কিংবদন্তি হয়ে ওঠা হল না তার। ২০১১ সালের বিশ্বকাপের পরই জাতীয় দল থেকে বাদ পড়ে যান গম্ভীর। তাকে পেছনে ফেলে এগিয়ে যান বিরাট কোহলি, রোহিত শর্মারা। গম্ভীরের বাদ পড়ে যাওয়া প্রসঙ্গে তৎকালীন ভারতীয় দলের প্রধান নির্বাচক সন্দীপ পাতিল বলেন, গম্ভীরের বাদ পড়ার মূল কারণ ওর ঔদ্ধত্যপূর্ণ আচরণ ও অহমিকা। গম্ভীরের মধ্যে একটা অ্যাংরি ইয়ং ম্যান ভাব ছিল। যার জন্য ওর নাম দিয়েছিলাম অমিতাভ বচ্চন। অর্থাৎ গম্ভীরের গাম্ভীর্যই কাল হয়ে দাঁড়িয়েছিল। গত আসরগুলোতে কলকাতার নেতৃত্ব দেয়া গম্ভীর এবারের আইপিএলে খেলছেন দিল্লি ডেয়ারডেভিলসের হয়ে। দলের বাজে পারফরম্যান্সের কারণে নিজেই অধিনায়কের দায়িত্ব থেকে সরে যান। গম্ভীর প্রসঙ্গে সাবেক প্রধান নির্বাচক সন্দীপ পাটিল আরও বলেন, ২০১১ সালে ইংল্যান্ড সফরে বাউন্সারের আঘাতপ্রাপ্ত হন গম্ভীর। তখনই তিনি দেশে ফিরে আসার সিদ্ধান্ত নেন। যদিও স্ক্যান রিপোর্টে দেখা গিয়েছিল, গম্ভীরের চোট তেমন গুরুতর নয়। সেই সিরিজে খেলা চালিয়ে যেতে পারবেন তিনি। কিন্তু নিজের সিদ্ধান্তে অটল থেকে দেশে ফিরে আসেন। আরও পড়ুন: গেইলের সঙ্গে কে এই বলিউড সুন্দরী? গম্ভীরের পরিবর্তে সুযোগ পেয়ে জাতীয় দলে নিজের জায়গা পাকাপোক্ত করে নেন শিখর ধাওয়ান। আর এই ধাওয়ানের উত্থানের কারণেই গম্ভীরের দলে প্রত্যাবর্তন একপ্রকার অসম্ভব হয়ে যায়। গম্ভীরের সঙ্গে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক ছিল প্রধান নির্বাচকের সঙ্গে। দল থেকে বাদ পড়ে যাওয়া সন্দীপের সঙ্গে দীর্ঘ ৭-৮ বছরের বন্ধুত্বও চুকিয়ে দিয়েছিলেন গম্ভীর। সন্দীপ বলছেন, গম্ভীর হয়তো এখনও আমার ওপর রেগে আছে। কিন্তু আমার কাছে এখনও সে প্রিয় ক্রিকেটার। তথ্যসূত্র: বিডি২৪লাইভ আরএস/০৯:০০/ ৩০ এপ্রিল
from First Bangla interactive newspaper - Deshe Bideshe https://ift.tt/2r9BuRD
April 30, 2018 at 06:44PM
এতে সদস্যতা:
মন্তব্যগুলি পোস্ট করুন (Atom)
0 মন্তব্য(গুলি):
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন